Ajker Patrika

১০ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চতার ‘কালা পাহাড়ের’ ওজন ৩০ মণ

বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুন ২০২৩, ১৪: ২৫
Thumbnail image

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি এলাকার খামারি মো. নিজাম মহাজন (৩৫)। তাঁর খামারে বেশ কয়েকটি গরু রয়েছে। তার একটি ‘কালা পাহাড়’। ১০ ফুট লম্বা আর ৬ ফুট উচ্চতার ‘কালা পাহাড়ের’ ওজন প্রায় ৩০ মণ।

উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড অলংকারপুর গ্রামে নিজাম মহাজনের বাড়ি। নিজের খামারে চার বছর ধরে ষাঁড়টি লালনপালন করছেন তিনি। তাঁর নিজের খেতে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত খাবার ও কাঁচা ঘাস খেয়ে পরম মমতায় বেড়ে উঠেছে ‘কালা পাহাড়’।

খামারি নিজাম মহাজন জানিয়েছেন, প্রতিদিন কালা পাহাড়ের জন্য তাঁর ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা। লম্বা ও উচ্চতায় ফিতার মাপে কালা পাহাড়ের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

কালা পাহাড়ের খাবার মেনুতে রয়েছে কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, গম, খেসারির ভুসির মতো প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি কলা, আপেল, কমলা, বেদানা, বেগুন ও মৌসুমি ফল আম।

খামারি নিজাম মহাজন বলেন, ‘আমার বাড়িতে পালিত গাভি থেকে চার বছর আগে জন্ম নেয় এই কালা পাহাড়। সম্পূর্ণ কালা রং ও এর দৈহিক বৃদ্ধি দেখে আদর করে নাম রাখি ‘কালা পাহাড়’। এখন ষাঁড়টির ওজন ৩০ মণ। আমি নিজের সন্তানের মতো আদর করে ষাঁড়টিকে বড় করেছি। চার দাঁতের কালা পাহাড়ের দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে সাড়ে ১০ লাখ টাকা দাম উঠেছে। কালা পাহাড়কে দেখতে প্রতিদিন আমার বাড়িতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছে। আমি বাড়ি থেকেই ষাঁড়টি বিক্রি করতে চাই।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ লস্কর বলেন, ‘আমি এত বড় ষাঁড় আগে দেখিনি। এ বছর শুধু আমাদের বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়ন নয়, রাজবাড়ী জেলাসহ আমাদের আশপাশের কয়েকটি জেলায় এত বড় ষাঁড় মনে হয় আর নেই। ৩০ মণ ওজনের বিশাল দেহের কালো রঙের ষাঁড়টি সত্যিই দেখতে পাহাড়ের মতো।’

স্থানীয় মো. মোকাদেস হোসেন বলেন, ‘খামারি নিজাম মহাজন আমার প্রতিবেশী। চার বছর ধরে তিনি অনেক পরিশ্রম করে নিজের খেতে উৎপাদিত ঘাস, খড়, গমের দানা, ভুট্টার দানা, বেগুন, আম, কলা, আপেলসহ নানাবিধ দানাদার খাবার খাইয়ে ষাঁড়টিকে বড় করেছেন।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মানবেন্দ্র মজুমদার বলেন, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত ও চিকিৎসাসেবা প্রদানে প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে ভেটেরিনারি মেডিকেলের দুটি টিম থাকবে। এ বছর উপজেলায় ১ হাজার ১৯৫টি খামারে ৭ হাজার ৮৯২টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এ বছর ৩ হাজার ৮২৫টি ষাঁড়, ১৮টি বলদ, ৩ হাজার ৪৮৪টি ছাগল, ৫৫৫টি গাভি, দুটি মহিষ, আটটি ভেড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত