মাদারীপুর প্রতিনিধি
অবশেষে হারিয়ে যাওয়া ১০৮ বছর বয়সী কপিল উদ্দিন খুঁজে পেলেন তাঁর পরিবার। মাদারীপুরের ডাসার থানার পুলিশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কপিল উদ্দিনকে তাঁর পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। পুলিশের এই উদ্যোগে পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিকও মনে করছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যশোরের অভয়নগর থানার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত বহর উদ্দিন মৃধার ছেলে কপিল উদ্দিন মৃধা। তাঁর তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি মেজ ছেলে মনির মৃধার ঢাকার জুরাইনের বাসায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর কাউকে না বলে বাড়িতে আসার পথে হারিয়ে যান। তাঁর পরিবার অনেক খোঁজা-খুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান পাচ্ছিল না।
ডাসার থানার পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে ক্লান্ত এক বৃদ্ধকে কেউ থানার পাশে রেখে চলে যায়। পরে সন্ধান পেয়ে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। বৃদ্ধর শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। পরে ওসির নির্দেশে থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ও সমর ঘোষ অসুস্থ কপিল উদ্দিন মৃধাকে রাত ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী কিনে দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা নাজুক হওয়ায় সারা রাত তাঁর পাশে ছিল পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে কপিল উদ্দিন মৃধা কিছুটা সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা যায়।
পরে যশোরের অভয়নগর থানায় যোগাযোগ করে পরিবারের ঠিকানা সংগ্রহ করে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়ে কপিল উদ্দিনের ছেলে ডাসার থানায় উপস্থিত হলে তাঁর পরিবারের কাছে কপিল উদ্দিন মৃধাকে তুলে দেয় পুলিশ। তখন বৃদ্ধকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে পরিবারের লোকজন। চোখের পানি এড়ায়নি বৃদ্ধর দায়িত্বে থাকা এসআই হাফিজুর রহমান, সমীর ঘোষ ও ওসি হামিদুজ্জামানের। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধর ছেলে মনির মৃধা বলেন, ‘আমার বাবার বয়স ১০৮ বছর। সে কাউকে না জানিয়ে আমার বাসা থেকে বের হয়ে আসে। অনেক খুঁজেও তাঁকে পাইনি। আল্লাহর রহমতে পুলিশের সহযোগিতায় আমার বাবাকে খুঁজে পেয়েছি। পুলিশ সদস্যদের জন্য মন থেকে দোয়া রইল।’
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নিখোঁজ বৃদ্ধকে পাওয়ার বিষয়টি আমরা দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক দৃষ্টিতে দেখেছি। সারাক্ষণ চেষ্টা করেছি তাঁর সেবাযত্নে যাতে ত্রুটি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে। অনেক খুঁজে পরিবারের সন্ধান পাওয়ায় এবং তাঁকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে পেরে নিজেকে হালকা মনে করছি।’
পুলিশের এমন মানবিক উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজ। ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনে খুব ভালো লাগল। পুলিশ যে শুধু চোর-ডাকাত ধরে তেমন না, তারা যে মানবিক আর সহানুভূতিশীল এটাই তার প্রমাণ। আমি ডাসার থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
অবশেষে হারিয়ে যাওয়া ১০৮ বছর বয়সী কপিল উদ্দিন খুঁজে পেলেন তাঁর পরিবার। মাদারীপুরের ডাসার থানার পুলিশের সহযোগিতায় মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কপিল উদ্দিনকে তাঁর পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। পুলিশের এই উদ্যোগে পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিকও মনে করছেন স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যশোরের অভয়নগর থানার পাইকপাড়া গ্রামের মৃত বহর উদ্দিন মৃধার ছেলে কপিল উদ্দিন মৃধা। তাঁর তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি মেজ ছেলে মনির মৃধার ঢাকার জুরাইনের বাসায় বেড়াতে যান। সেখান থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর কাউকে না বলে বাড়িতে আসার পথে হারিয়ে যান। তাঁর পরিবার অনেক খোঁজা-খুঁজির পরেও তাঁর সন্ধান পাচ্ছিল না।
ডাসার থানার পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে ক্লান্ত এক বৃদ্ধকে কেউ থানার পাশে রেখে চলে যায়। পরে সন্ধান পেয়ে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থল থেকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। বৃদ্ধর শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক ছিল। পরে ওসির নির্দেশে থানার পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ও সমর ঘোষ অসুস্থ কপিল উদ্দিন মৃধাকে রাত ১১টার দিকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী কিনে দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা নাজুক হওয়ায় সারা রাত তাঁর পাশে ছিল পুলিশ। পরে মঙ্গলবার সকালে কপিল উদ্দিন মৃধা কিছুটা সুস্থ হলে তাঁর কাছ থেকে গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা যায়।
পরে যশোরের অভয়নগর থানায় যোগাযোগ করে পরিবারের ঠিকানা সংগ্রহ করে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়ে কপিল উদ্দিনের ছেলে ডাসার থানায় উপস্থিত হলে তাঁর পরিবারের কাছে কপিল উদ্দিন মৃধাকে তুলে দেয় পুলিশ। তখন বৃদ্ধকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে পরিবারের লোকজন। চোখের পানি এড়ায়নি বৃদ্ধর দায়িত্বে থাকা এসআই হাফিজুর রহমান, সমীর ঘোষ ও ওসি হামিদুজ্জামানের। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধর ছেলে মনির মৃধা বলেন, ‘আমার বাবার বয়স ১০৮ বছর। সে কাউকে না জানিয়ে আমার বাসা থেকে বের হয়ে আসে। অনেক খুঁজেও তাঁকে পাইনি। আল্লাহর রহমতে পুলিশের সহযোগিতায় আমার বাবাকে খুঁজে পেয়েছি। পুলিশ সদস্যদের জন্য মন থেকে দোয়া রইল।’
এ ব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘নিখোঁজ বৃদ্ধকে পাওয়ার বিষয়টি আমরা দায়িত্বের পাশাপাশি মানবিক দৃষ্টিতে দেখেছি। সারাক্ষণ চেষ্টা করেছি তাঁর সেবাযত্নে যাতে ত্রুটি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে। অনেক খুঁজে পরিবারের সন্ধান পাওয়ায় এবং তাঁকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে পেরে নিজেকে হালকা মনে করছি।’
পুলিশের এমন মানবিক উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজ। ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনে খুব ভালো লাগল। পুলিশ যে শুধু চোর-ডাকাত ধরে তেমন না, তারা যে মানবিক আর সহানুভূতিশীল এটাই তার প্রমাণ। আমি ডাসার থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদের আখড়া বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। আজ শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২ মিনিট আগেতিনি জানান, জরুরি বিভাগের (রুম-৪) নিউরোসার্জারি বিভাগের ডা. মনিমুল আহমেদের গালে চড় মারেন আরিফ হোসেন (১৮)। এরপর আনসার সদস্যরা তাঁকে আটক করে পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে তাঁকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
১২ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়ার পরিকল্পনা, রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর এবং স্টারলিংকের মাধ্যমে ‘সাম্রাজ্যবাদী চক্রের’ আগ্রাসনের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় কুমিল্লায় পৌঁছেছে। ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন
১৮ মিনিট আগেপরে ফজলুল করিমের বাবা এম এ কাইয়ুম মিয়ার মোবাইল নম্বরের ইমো আইডিতে ফোন দিয়ে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারী তৌসিফ মাহবুব ওরফে হৃদয়। টাকা না দিলে ফজলুল করিমকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
২১ মিনিট আগে