Ajker Patrika

বিধিনিষেধেও বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ৫৪
বিধিনিষেধেও বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলছে বিধিনিষেধ। ফলে আজ শনিবার থেকে বাসে যত আসন তত যাত্রী নিয়ে চলার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ বাসেই তা মানা হচ্ছে না। বাসে আসনসংখ্যার বেশি দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে নেই কোনো তৎপরতা। 

শনিবার বাসে বিধিনিষেধের প্রথম দিন সকালে এমনটি দেখা যায়। বিশেষ করে উত্তরা থেকে গুলিস্তান, মতিঝিল, সায়েদাবাদ রুটের বাসগুলোতে দাঁড়িয়ে যাত্রী নিতে দেখা গেছে।   

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চালাতে বিআরটিএর পক্ষ থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তার বেশির ভাগই উপেক্ষিত হয়েছে। বাসের চালক ও হেলপারদের মুখে মাস্ক থাকছে না। যাত্রীরা মাস্ক থুতনির নিচেও রেখে দিচ্ছে না। বাসে ওঠার আগে কোনো স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা নেই। বাসে ওঠার সময় দেখা হচ্ছে না যাত্রীর মাস্ক আছে কি না। তা ছাড়া সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত যাত্রীও তোলা হচ্ছে। যাত্রীরাও এসব বিধিনিষেধ ভুলে গন্তব্যে যেতেই মহাব্যস্ত। বেশির ভাগ চালক-হেলপার এখনো করোনা টিকার আওতায় আসেনি। ফলে অনেকেই টিকা দেওয়া ছাড়াই গাড়ি চালাচ্ছেন। 

রাজধানীর উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ রুটে চলাচল করা তুরাগ পরিবহনের চালক ইসমাইল আলী বলেন, ‘বাসের সিটের বাইরে অতিরিক্ত কোনো যাত্রী আমরা নিতে চাইছি না, কিন্তু যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়ছে। অফিস টাইমে বাসস্ট্যান্ডে বাস দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা ঠেলে উঠে যাচ্ছে। সেখানে আমরা কী করতে পারি? স্বাস্থ্যবিধি যতটুকু মানার সেটা মানছি। করোনার টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছি, এখনো টিকা দেওয়া হয়নি।’ 

বাসের সহকারীর থুতনিতে মাস্ক।বেসরকারি চাকরিজীবী আসিফ আলী নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘যে বিধিনিষেধ চলছে সেটি কাগজে-কলমে, বাস্তবে ভিন্ন। কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না এবং সেটা দেখভালও করা হচ্ছে না। শুধু বাসের বেলায় যত সমস্যা। আমরা বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী হতে বাধ্য হই, কারণ আমাদের সেই ধরনের গণপরিবহনব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। মানুষের তুলনায় বাসের অভাব আছে।’ 

বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বিআরটিএর নির্দেশনা 
গণপরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, হেলপারসহ টিকিট বিক্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গণপরিবহনে যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। মোটরযানের চালক ও সহযোগীদের করোনার টিকা দেওয়ার সনদ থাকতে হবে। যাত্রার শুরু এবং শেষে মোটরযান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া মোটরযানের মালিকগণকে যাত্রীদের হ্যান্ডব্যাগ, মালপত্র জীবাণুনাশক ছিটিয়ে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত