নাজমুল হাসান সাগর, ঢাকা
লাল-সবুজের পতাকা অর্ধনমিত। হিমেল হাওয়ায় মৃদু ওড়াউড়ি করছে দীর্ঘপথের ক্লান্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো। পাশেই শহীদ বেদি। বাহারী ফুলে বানানো বড় বড় ডালায় সেখানে শহীদ ও নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, জানিয়েছেন। কেউ কেউ ভিড়-ঠেলাঠেলি উপেক্ষা করে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছেন পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে। প্রথম সকাল থেকেই এমন সব আয়োজন, উদ্যোগে কলরব রায়েরবাজার বধ্যভূমি।
শ্রদ্ধা জানানোর এত আবেগ, দেশপ্রেম ও আয়োজনের মাঝেও কিছু মানুষের আবেগ, আয়োজন আড়ালে থেকে যায়। অগোচরে থাকা এমন কিছু প্রচেষ্টা নজরে এল বেলা ১১টায়। তখন সকালের হিমেল আবহ কেটে রোদের আঁচ বাড়তে শুরু করেছে। তবে কমতে শুরু করেছে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সংখ্যা। কিন্তু বেদি থেকে একটু সামনে সিঁড়িতে বসে কয়েকজন ছিন্নমূল শিশুকে ভাঙা কর্কশিটে নানা পদের ফুল গুঁজে ডালা বানাতে দেখা গেল। তাদের একজন নাবিলা আক্তার। পরিষ্কার গায়ের রং, মায়াবী মুখের ১০ বছরের এই শিশুর সঙ্গে কথা কথা বলার চেষ্টা।
শুরুতে রাজি না হলেও পরে কিছুটা নমনীয় হলো। জানাল, তার কাছে থাকা ফুল দিয়ে পুরো ডালাটা সাজানো যাচ্ছে না। আরও কিছু ফুল লাগবে কিন্তু কোথায় পাবে? এই নিয়ে তার দুশ্চিন্তা। নাবিলা পড়াশোনা করছে জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ডালা দিয়ে কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে, ‘একডু পরে এইহান থাইকা মানুষ সবডি যাইব গা। তহন আমার বানানি এই ডালা ঐহানে (বেদিতে) দিমু। কিন্তু আর ফুল নাই!’
পাশে বসেই একটা বড় ডালায় ফুল গুজছিলো লামিয়া আক্তার সাদিয়া। বয়সে একটু বড় হওয়ায় তার মাঝে একটু নেতৃত্বভাব আছে। ফুল গুঁজতে গুঁজতেই এপাশের কথোপকথন সব শুনছিল সে। তাই নাবিলার কথার মাঝেই সে বললো, ‘খাড়া আমারডা শেষ হইলে তরে কয়ডা ফুল দিতাছি। তহন বানাইস।’
এবার নাবিলাকে কিছুটা চিন্তামুক্ত হতে দেখা গেল। টুকটাক কথা এগোতে থাকল সাদিয়ার সঙ্গে। সাদেক খান বাজারের পাশেই তার বাসা। এই বাজারের ঢালেই ডাসডা সোসাইটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল সে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে তার ভালোই জানা-বোঝা আছে। খুব অল্প কথায় সে জানাল, ৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা অনেক বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। আজ তাদের স্মরণেই সবাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছ। এসব কোথায় জেনেছে জিজ্ঞেস করলে সাদিয়া বলে, ‘প্রত্যেক বছর এহানে এমন মানুষ আহে। ছোট বেলা থাইকাই দেখতে দেখতে জানছি।’
পাশেই দাঁড়ানো সমবয়সী রবিজা আক্তার নুপুর। নাবিলা, সাদিয়ার খেলার সঙ্গী ও স্কুলের সহপাঠী। ডালা বানানো নিয়ে তার মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা গেল। নুপুর বললো, ‘এইডা বানানি হইলে আমরা বেদিতে দিমু না। বেদির নিচে পানি আছে ঐহানে ভাসায়া দিমু। তাইলে ভাসতে ভাসতে ওই দেওয়ালের কাছে যাইব। আমাগো শ্রদ্ধা সবার আগে পৌঁছাইবো।’
তবে দলে থাকা অনেকেই চায় এই ডালা এখানে না দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবে। তাদের একজন সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আব্দুল্লাহ। সে বড়দের উদ্দেশ্য করে বলে, ‘না, একডা বাইত নিয়া যামু। আমাগো ঘরে রাইখা দিমু। সোন্দর দেহা যাইব।’
এবারও বিচক্ষণ নেতার মতো এগিয়ে এলো সাদিয়া। নিজের ফ্রকের আড়লে রাখা কিছু ফুল দেখিয়ে আবদুল্লাহকে শান্ত করল এবং বললো, ‘এই যে আমার কাছে ফুল আছে ৷ এডি দিয়া তোরে আরেকটা বানায়া দিমু। তহন বাড়িত নিয়া যাইস। যেডি বানাইছি এডি পানিতে ভাসায়া দিমু।’ এবার লক্ষ্মী ছেলের মতো চুপটি মেরে গেলো আব্দুল্লাহ।
এদিকে নাবিলার ডালাও বানানো শেষ সাদিয়ার দেওয়া ফুল দিয়ে। এবার শুধু বেদির কাছে থাকা লোক ও পুলিশ কমার অপেক্ষা। তারপরেই অর্পণ হবে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে বানানো শ্রদ্ধার্ঘ্য।
লাল-সবুজের পতাকা অর্ধনমিত। হিমেল হাওয়ায় মৃদু ওড়াউড়ি করছে দীর্ঘপথের ক্লান্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো। পাশেই শহীদ বেদি। বাহারী ফুলে বানানো বড় বড় ডালায় সেখানে শহীদ ও নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে অনেকেই শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, জানিয়েছেন। কেউ কেউ ভিড়-ঠেলাঠেলি উপেক্ষা করে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছেন পুষ্পার্ঘ্য নিয়ে। প্রথম সকাল থেকেই এমন সব আয়োজন, উদ্যোগে কলরব রায়েরবাজার বধ্যভূমি।
শ্রদ্ধা জানানোর এত আবেগ, দেশপ্রেম ও আয়োজনের মাঝেও কিছু মানুষের আবেগ, আয়োজন আড়ালে থেকে যায়। অগোচরে থাকা এমন কিছু প্রচেষ্টা নজরে এল বেলা ১১টায়। তখন সকালের হিমেল আবহ কেটে রোদের আঁচ বাড়তে শুরু করেছে। তবে কমতে শুরু করেছে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের সংখ্যা। কিন্তু বেদি থেকে একটু সামনে সিঁড়িতে বসে কয়েকজন ছিন্নমূল শিশুকে ভাঙা কর্কশিটে নানা পদের ফুল গুঁজে ডালা বানাতে দেখা গেল। তাদের একজন নাবিলা আক্তার। পরিষ্কার গায়ের রং, মায়াবী মুখের ১০ বছরের এই শিশুর সঙ্গে কথা কথা বলার চেষ্টা।
শুরুতে রাজি না হলেও পরে কিছুটা নমনীয় হলো। জানাল, তার কাছে থাকা ফুল দিয়ে পুরো ডালাটা সাজানো যাচ্ছে না। আরও কিছু ফুল লাগবে কিন্তু কোথায় পাবে? এই নিয়ে তার দুশ্চিন্তা। নাবিলা পড়াশোনা করছে জাফরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই ডালা দিয়ে কী করবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলে, ‘একডু পরে এইহান থাইকা মানুষ সবডি যাইব গা। তহন আমার বানানি এই ডালা ঐহানে (বেদিতে) দিমু। কিন্তু আর ফুল নাই!’
পাশে বসেই একটা বড় ডালায় ফুল গুজছিলো লামিয়া আক্তার সাদিয়া। বয়সে একটু বড় হওয়ায় তার মাঝে একটু নেতৃত্বভাব আছে। ফুল গুঁজতে গুঁজতেই এপাশের কথোপকথন সব শুনছিল সে। তাই নাবিলার কথার মাঝেই সে বললো, ‘খাড়া আমারডা শেষ হইলে তরে কয়ডা ফুল দিতাছি। তহন বানাইস।’
এবার নাবিলাকে কিছুটা চিন্তামুক্ত হতে দেখা গেল। টুকটাক কথা এগোতে থাকল সাদিয়ার সঙ্গে। সাদেক খান বাজারের পাশেই তার বাসা। এই বাজারের ঢালেই ডাসডা সোসাইটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল সে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সম্পর্কে তার ভালোই জানা-বোঝা আছে। খুব অল্প কথায় সে জানাল, ৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা অনেক বুদ্ধিজীবীদের বাসা থেকে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। আজ তাদের স্মরণেই সবাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছ। এসব কোথায় জেনেছে জিজ্ঞেস করলে সাদিয়া বলে, ‘প্রত্যেক বছর এহানে এমন মানুষ আহে। ছোট বেলা থাইকাই দেখতে দেখতে জানছি।’
পাশেই দাঁড়ানো সমবয়সী রবিজা আক্তার নুপুর। নাবিলা, সাদিয়ার খেলার সঙ্গী ও স্কুলের সহপাঠী। ডালা বানানো নিয়ে তার মধ্যে বেশ আগ্রহ দেখা গেল। নুপুর বললো, ‘এইডা বানানি হইলে আমরা বেদিতে দিমু না। বেদির নিচে পানি আছে ঐহানে ভাসায়া দিমু। তাইলে ভাসতে ভাসতে ওই দেওয়ালের কাছে যাইব। আমাগো শ্রদ্ধা সবার আগে পৌঁছাইবো।’
তবে দলে থাকা অনেকেই চায় এই ডালা এখানে না দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাবে। তাদের একজন সর্বকনিষ্ঠ সদস্য আব্দুল্লাহ। সে বড়দের উদ্দেশ্য করে বলে, ‘না, একডা বাইত নিয়া যামু। আমাগো ঘরে রাইখা দিমু। সোন্দর দেহা যাইব।’
এবারও বিচক্ষণ নেতার মতো এগিয়ে এলো সাদিয়া। নিজের ফ্রকের আড়লে রাখা কিছু ফুল দেখিয়ে আবদুল্লাহকে শান্ত করল এবং বললো, ‘এই যে আমার কাছে ফুল আছে ৷ এডি দিয়া তোরে আরেকটা বানায়া দিমু। তহন বাড়িত নিয়া যাইস। যেডি বানাইছি এডি পানিতে ভাসায়া দিমু।’ এবার লক্ষ্মী ছেলের মতো চুপটি মেরে গেলো আব্দুল্লাহ।
এদিকে নাবিলার ডালাও বানানো শেষ সাদিয়ার দেওয়া ফুল দিয়ে। এবার শুধু বেদির কাছে থাকা লোক ও পুলিশ কমার অপেক্ষা। তারপরেই অর্পণ হবে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে বানানো শ্রদ্ধার্ঘ্য।
শাকিব খানের আলোচিত তাণ্ডব সিনেমার শো চলার সময় ময়মনসিংহ সদরের ছায়াবাণী হলে ভাঙচুর ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেলের এ ঘটনা ঘটে। কারিগরি ত্রুটিতে শো বিঘ্নিত হলে উত্তেজিত দর্শকরা এ কাণ্ড ঘটায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর আবার শো চালু হয়।
৫ ঘণ্টা আগেঈদুল আজহায় জমে উঠেছে ঢাকা ও আশেপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার পর থেকে ধীরে ধীরে পর্যটন কেন্দ্রে দর্শনার্থীরা আশা শুরু করে দিয়েছে। কোরবানি ঈদের দিনেই দর্শনার্থীদের সংখ্যাটা কম থাকলেও সন্ধ্যার পরে লোকসমাগম বেশি হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোল রুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এই ঘোষণার কথা জানান।
৫ ঘণ্টা আগেশেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ডোবায় পড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের মলামারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৫ ঘণ্টা আগে