Ajker Patrika

বিমানবন্দর এলাকায় ছিনতাইকালে খুন, চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮: ৫৯
বিমানবন্দর এলাকায় ছিনতাইকালে খুন, চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

বিমানবন্দরের কাওলা রেললাইন এলাকায় মোবাইল ফোন ও ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের জন্য পথচারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় ধরা পড়েছেন ছিনতাইকারী চক্রের দুই হোতা। গাজীপুরের টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকা থেকে গতকাল রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

এ সময় তাঁদের কাছ থেকে নিহত ওই পথচারীর একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। তাঁরা ওই এলাকায় প্রায়ই ছিনতাই ও খুনখারাবি করে থাকে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আকাশ (১৯) ও বিল্লাল হোসেন (৩০)। গ্রেপ্তার হওয়া আকাশের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় আগের একটি হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। বিল্লালের বিরুদ্ধেও একই থানায় ছিনতাই মামলা রয়েছে।

র‍্যাব-১ কার্যালয়ে আজ সোমবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মুসতাক আহমদ।

এর আগে বিমানবন্দরের কাওলা রেললাইনের ওপর গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিভিল অ্যাভিয়েশনের গাড়িচালক (পথচারী) মো. আরমান আলীকে (২৫) ছুরিকাঘাতের পর হত্যা করে মোবাইল ফোন ও ২০ হাজার টাকাসহ মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় আরমানের দুলাভাই মোকলেছ উদ্দিন বাদী হয়ে ঢাকার কমলাপুরের রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

র‍্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মুসতাক আহমদ বলেন, ঘটনার দিন অফিস শেষ করে হেঁটে কাওলা এলাকার বাসায় জন্য রওনা হন আরমান আলী। পথিমধ্যে কাওলা রেলক্রসিং থেকে রেললাইনের দক্ষিণ দিকে ৫০০ গজ দূরে অজ্ঞাতনামা তিন-চারজন ছিনতাইকারী তাঁর গতিরোধ করে। পরে ছিনতাইকারীরা তাঁর কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনতাইয়ের জন্য ভিকটিমের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে আরমানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে মুসতাক বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। তাঁরা বিমানবন্দর রেলস্টেশন ও তার আশপাশে এলাকায় রেল-বাসযাত্রীদের স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইলসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র প্রতিনিয়ত ছিনতাই করে থাকেন। ছিনতাইয়ে বাধা দিলে তাঁরা চাকু, স্পেয়ার ব্লেডসহ বিভিন্ন ধারালো জিনিস দিয়ে ভিকটিমকে খুন করেন।

গ্রেপ্তারের পর তাঁরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানিয়েছেন র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত