Ajker Patrika

দক্ষিণে সাজ সাজ রব

তানিম আহমেদ, জাজিরা (শরীয়তপুর) থেকে
Thumbnail image

সুধী সমাবেশের পরে মাওয়া প্রান্তের নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহু কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে টোল দিয়ে সেতু পার হবেন তিনি। জাজিরা প্রান্তে এসে পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন শেষে শেখ হাসিনা মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ির ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাটে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে যোগ দেবেন।

২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জেলায় জনসমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। করোনা-পরবর্তী সময়ে এবারই প্রথম ঢাকার বাইরে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে ঘিরে সাজ সাজ রব শিবচরে। মঞ্চ বানানো হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে। মঞ্চের সামনে প্রমত্তা পদ্মার প্রতিচ্ছবি, তার ওপরে ভাসছে নৌকা।

মাদারীপুরে সমাবেশে শেখ হাসিনা অংশ নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত পদ্মাপারের দলের নেতা-কর্মীরা। জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও তদারকিতে হাত লাগিয়েছেন। তাঁদের আশা, ১০ লাখের বেশি জনসমাগম হবে। 
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, ‘জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি, স্মরণকালের বৃহৎ জনসভা হবে।’ জাজিরা প্রান্তের নাওডোবা, মাঝিঘাট, বাংলাবাজারের রাস্তাঘাট ছেয়ে গেছে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন আর বড় বড় তোরণে। খুলনা, বরিশালসহ দক্ষিণের নৌপথ ব্যবহার করে যাঁরা জনসভায় যোগ দেবেন, তাঁদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ২০টি অস্থায়ী পন্টুন।

বিশাল জমায়েতের কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তায় থাকছে বেশ কড়াকড়ি। সভাস্থল নজরদারি করতে এবারই প্রথম ভ্রাম্যমাণ ওয়াচ টাওয়ার ব্যবহার হচ্ছে, যা আনা হয়েছে আমেরিকা থেকে। নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে পুলিশের মহাপরিদর্শক অনুরোধ করেছেন, করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসভাস্থলে আসতে হবে। জনসভায় আগত মানুষের চিকিৎসার জন্য ২১০ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী প্রস্তুত থাকবেন। একটি ২০ শয্যা ও দুটি ১০ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত