কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, জালিয়াতি ও ভুয়া রেজাল্ট শিট তৈরির অভিযোগ করেছেন এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভোট পুনর্গণনা অথবা নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই প্রার্থী।
ওই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। পরপর দুইবার তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক (নির্বাচিত)।
অভিযোগের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে একজন ভোটারকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদের জন্যই একটি করে ব্যালট দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনটি পদেই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটসংখ্যা সমান হওয়ার কথা। ৫ থেকে ১০টি এদিক-সেদিক হলে সেটি ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। অথচ এখানে চেয়ারম্যান পদে কাস্টিং ব্যালট এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাস্টিং ব্যালটের ব্যবধান প্রায় ৫ হাজার। রেজাল্ট শিটটি যে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, কাস্টিং ব্যালটের এই ব্যবধানই এর উত্তম প্রমাণ।’
এ ছাড়া নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও তাঁদের কোনো তৎপরতা পাননি বলেও দাবি করেছেন এ প্রার্থী। সেই সঙ্গে ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত ফলাফলের শিট অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে ৯৪৭ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মো. রফিকুল ইসলাম রেনু পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট।
এতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৭০ হাজার ৩৩৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার ৪১৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৭০ হাজার ২০৬টি। এ হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত ভোটের চেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৮২ ভোট বেশি। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফলে তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর যে ভোট দেখানো হয়েছে, তাদের মোট ভোটের যোগফলেও গরমিল রয়েছে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, ভোটের দিন রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত একটানা ধারাবাহিকভাবে উপজেলার ৮৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৪টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ৭৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি ২৪ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন এবং এমদাদুল হক জুটনের ভোটসংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৫১ ভোট। এরপর প্রায় ৩০ মিনিট আর কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। পরে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা শুরু হয়। ৯টা ৩৮ মিনিটে সমস্ত কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে তাদের পরাজিত ঘোষণা করা হয়।
ফল ঘোষণার পরপরই তিনি এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ওই সময়ের মধ্যে আরও ভোট কারচুপি, জালিয়াতি ও ভুয়া রেজাল্ট শিট তৈরির অভিযোগ করেছেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি (রফিকুল ইসলাম রেনু) যদি অভিযোগ করে থাকেন, বিষয়টি তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে।’
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, জালিয়াতি ও ভুয়া রেজাল্ট শিট তৈরির অভিযোগ করেছেন এক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভোট পুনর্গণনা অথবা নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে দুই দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এই প্রার্থী।
ওই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান। পরপর দুইবার তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। এ ছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক (নির্বাচিত)।
অভিযোগের উল্লেখযোগ্য প্রমাণ হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনে একজন ভোটারকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তিনটি পদের জন্যই একটি করে ব্যালট দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তিনটি পদেই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটসংখ্যা সমান হওয়ার কথা। ৫ থেকে ১০টি এদিক-সেদিক হলে সেটি ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। অথচ এখানে চেয়ারম্যান পদে কাস্টিং ব্যালট এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাস্টিং ব্যালটের ব্যবধান প্রায় ৫ হাজার। রেজাল্ট শিটটি যে জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে, কাস্টিং ব্যালটের এই ব্যবধানই এর উত্তম প্রমাণ।’
এ ছাড়া নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সময়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েও তাঁদের কোনো তৎপরতা পাননি বলেও দাবি করেছেন এ প্রার্থী। সেই সঙ্গে ভোটের দিন বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত ফলাফলের শিট অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে ৯৪৭ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মো. রফিকুল ইসলাম রেনু পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট।
এতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৭০ হাজার ৩৩৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার ৪১৬ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৭০ হাজার ২০৬টি। এ হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত ভোটের চেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৮২ ভোট বেশি। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদের ফলাফলে তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর যে ভোট দেখানো হয়েছে, তাদের মোট ভোটের যোগফলেও গরমিল রয়েছে।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, ভোটের দিন রাত ৮টা ২০ মিনিট পর্যন্ত একটানা ধারাবাহিকভাবে উপজেলার ৮৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭৪টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ৭৪টি কেন্দ্রের ফলাফলে তিনি ২৪ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে ছিলেন এবং এমদাদুল হক জুটনের ভোটসংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ৫১ ভোট। এরপর প্রায় ৩০ মিনিট আর কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। পরে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা করা শুরু হয়। ৯টা ৩৮ মিনিটে সমস্ত কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে তাদের পরাজিত ঘোষণা করা হয়।
ফল ঘোষণার পরপরই তিনি এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ওই সময়ের মধ্যে আরও ভোট কারচুপি, জালিয়াতি ও ভুয়া রেজাল্ট শিট তৈরির অভিযোগ করেছেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনি (রফিকুল ইসলাম রেনু) যদি অভিযোগ করে থাকেন, বিষয়টি তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে।’
গাইবান্ধা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শফিউল ইসলামের ঘুষ চাওয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওই প্রকৌশলীকে প্রকল্পের টাকা ছাড়ে এক ঠিকাদারের কাছে ৬ শতাংশ ঘুষ দাবি করতে শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা জমি দখলের মহোৎসব চলছে। ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬০ মিটার সেতুর দুই পাড়ের অধিকাংশ জমি এরই মধ্যে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ঘর ও দোকান। সেসব ভাড়া দিয়ে টাকা নিচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী।
৪ ঘণ্টা আগে‘তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি কইরা একটা স্কার্ফ ছাড়া তো কিছুই কিনলা না। সকাল সকাল মার্কেটে আইসা কী লাভ হইলো?’ মা তাসলিমা আক্তারকে অনুযোগ করে বলছিল বছর দশেকের মেয়ে সানজিদা ইসলাম। জবাবে মা বললেন, ‘দোকানে আইসাই সাথে সাথে কিন্না ফেলন যায়? আগে তো দেখতে হইবো। দামদর বুঝতে হইবো।’
৫ ঘণ্টা আগে