Ajker Patrika

সিরাজদিখানে কালভার্ট নির্মাণের মাস পেরোতেই ভেঙে গর্ত 

আবদুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) 
Thumbnail image

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বক্স কালভার্ট নির্মাণের এক মাসের মাথায় ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের রাস্তার ওপর নির্মিত হয় ওই বক্স কালভার্ট। কৃষিজমিতে পানি চলাচল সচল রাখতে বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করে বিএডিসি (সেচ বিভাগ)। 

কালভার্টটি ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই দ্রুত নতুন বক্স কালভার্ট নির্মাণের দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। 

আজ রোববার বেলা ১টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের রাস্তার ওপর নির্মিত ওই কালভার্ট ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ঢালাইকৃত ইট-সুরকি উঠে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে গর্ত। ফলে যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বক্স কালভার্টটি। 

জানা যায়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প (৩য় পর্যায়) ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ছোট আকারের পানির সংরক্ষণ অবকাঠামো (বক্স কালভার্ট) নির্মাণ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স অর্পিতা এন্টারপ্রাইজ। বাস্তবায়ন করে মুন্সিগঞ্জ বিএডিসি (সেচ বিভাগ)। 

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ উপজেলায় এখন আলু উত্তোলনের ভরা মৌসুম। কৃষকদের জমি থেকে আলু উত্তোলনের পর হিমাগারে নেওয়ার জন্য কালভার্টি ব্যবহার করতে হচ্ছে। আর এখন কালভার্টটির মাঝ অংশে ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো কৃষক। এতে গাড়ি এবং আলুর বস্তার ওজন ধরে রাখতে না পেরে যেকোনো সময় কালভার্টটি ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে কৃষকদের। 

তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা নাদিম হায়দার বলেন, ‘নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কালভার্ট নির্মাণ করছে ঠিকাদার। তাই নির্মাণের এক মাস পর কালভার্ট ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া ঢালাইকৃত সুরকি (কণা) উঠে যাচ্ছে এবং যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে কালভার্টটি।’ 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, কালভার্টটি নির্মাণে পরিমাণের চেয়ে কম রড ও সিমেন্ট এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় মাস না যেতেই এটি ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যাতায়াতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানে দ্রুত সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 

এ বিষয়ে রশুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ বলেন, উত্তর তাজপুর গ্রামের কালভার্টের মাঝ অংশে ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গেই গিয়ে দেখে এসেছি। এই কালভার্টটি নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। গর্তের চিত্র দেখে তাই মনে হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেয় সেই কথাই বলেছি।’ 

সিরাজদিখান ইউনিটের উপসহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) মো. আবদুল মমিন বলেন, ‘আমি এখনই বক্স কালভার্টটি দেখে ঠিকাদারকে জানাব। তাঁরা যেন দ্রুত মেরামত করে দেয়।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আগে জানতাম না, আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমি এখনই খোঁজখবর নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত