নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গরু চুরির অভিযোগে নীলফামারী থানায় ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা হয় জয়পুরহাটের কদোয়া চকপাড়ার তোফাজ্জাল হোসেনসহ তিনজনের নামে। অপর দুজন হলেন সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ার। বিচার শেষে শুধু তোফাজ্জলের সাজা হয়। বাকি দুজনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত। রায়ের সময় পলাতক ছিলেন তোফাজ্জল।
বিচারিক আদালতের রায়ের ৯ বছর পর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তোফাজ্জল। তবে তা খারিজ হলে হাইকোর্টে রিভিশন করেন। হাইকোর্ট তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ। সম্প্রতি রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ১৯৯৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশে বলেছেন, মামলাটির প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারির আদেশে দেখা যায়, আসামিদের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫৪ ধারায় আটক করে এ মামলায় পুনরায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। এতে এটি স্পষ্ট যে প্রকৃতপক্ষে এজাহারটি মিথ্যা। আসামিকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তাই বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বাতিল করা হলো।
হাইকোর্ট বলেন, এজাহার দাখিল, গ্রহণ এবং তদন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অপর দিকে বিচারিক আদালত এবং আপিল আদালতও গতানুগতিকভাবে রায় প্রদান করেছেন। উভয় আদালত চরমঅবহেলা ও অনিয়ম করেছেন, যা বিচারকসুলভ নয়। এ কারণে রায়টি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইল করতে এবং সব থানার এজাহার গ্রহণকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নীলফামারী সদরের ধোবাডাঙ্গা গ্রামের বৈকুণ্ঠ রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁদের পরিবারের প্রতিটি প্রায় ১১ হাজার ৭০০ টাকা দামের পাঁচটি গরু চুরি হয়ে যায়। পরে খবর পান গরুসহ থানায় দুজন চোর ধরা পড়েছে। থানায় যাওয়ার পর তিনি গরু শনাক্ত করেন। ওই ঘটনায় করা মামলায় বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রায় দেন।
রায়ে তোফাজ্জাল হোসেনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে খালাস দেওয়া হয় সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ারকে। রায়ের সময় জামিনে থাকা তোফাজ্জাল পলাতক ছিলেন। পরে দায়রা জজ আদালতে ৯ বছর ৭ মাস ৭ দিন দেরিতে আপিল করেন তোফাজ্জল। তবে ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর দায়রা জজ আদালত আপিল গ্রহণ না করে আবেদন খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন তোফাজ্জল। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
গরু চুরির অভিযোগে নীলফামারী থানায় ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা হয় জয়পুরহাটের কদোয়া চকপাড়ার তোফাজ্জাল হোসেনসহ তিনজনের নামে। অপর দুজন হলেন সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ার। বিচার শেষে শুধু তোফাজ্জলের সাজা হয়। বাকি দুজনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত। রায়ের সময় পলাতক ছিলেন তোফাজ্জল।
বিচারিক আদালতের রায়ের ৯ বছর পর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তোফাজ্জল। তবে তা খারিজ হলে হাইকোর্টে রিভিশন করেন। হাইকোর্ট তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ। সম্প্রতি রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ১৯৯৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশে বলেছেন, মামলাটির প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারির আদেশে দেখা যায়, আসামিদের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫৪ ধারায় আটক করে এ মামলায় পুনরায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। এতে এটি স্পষ্ট যে প্রকৃতপক্ষে এজাহারটি মিথ্যা। আসামিকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তাই বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বাতিল করা হলো।
হাইকোর্ট বলেন, এজাহার দাখিল, গ্রহণ এবং তদন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অপর দিকে বিচারিক আদালত এবং আপিল আদালতও গতানুগতিকভাবে রায় প্রদান করেছেন। উভয় আদালত চরমঅবহেলা ও অনিয়ম করেছেন, যা বিচারকসুলভ নয়। এ কারণে রায়টি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইল করতে এবং সব থানার এজাহার গ্রহণকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, নীলফামারী সদরের ধোবাডাঙ্গা গ্রামের বৈকুণ্ঠ রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁদের পরিবারের প্রতিটি প্রায় ১১ হাজার ৭০০ টাকা দামের পাঁচটি গরু চুরি হয়ে যায়। পরে খবর পান গরুসহ থানায় দুজন চোর ধরা পড়েছে। থানায় যাওয়ার পর তিনি গরু শনাক্ত করেন। ওই ঘটনায় করা মামলায় বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রায় দেন।
রায়ে তোফাজ্জাল হোসেনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে খালাস দেওয়া হয় সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ারকে। রায়ের সময় জামিনে থাকা তোফাজ্জাল পলাতক ছিলেন। পরে দায়রা জজ আদালতে ৯ বছর ৭ মাস ৭ দিন দেরিতে আপিল করেন তোফাজ্জল। তবে ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর দায়রা জজ আদালত আপিল গ্রহণ না করে আবেদন খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন তোফাজ্জল। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
রাশেদা বেগম বলেন, ‘আন্দোলনের কিছু নেতা নিয়মিত চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে জড়িত। যাদের একসময় মোবাইল ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না, তাঁরা আজ আইফোন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তাঁরা আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা চালিয়েছেন।’
১৮ মিনিট আগেসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ব্যবসায়ী শ্যামল কান্ত গোপের থানায় অভিযোগ দায়ের পর স্থানীয় জামায়াত নেতা রেজাউল করিম রিপনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ছিলেন রিপন। তিনি দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
২০ মিনিট আগেরাজশাহীর বাঘায় একই দিন একই সময়ে ফুটবল ও ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হন ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে একজন নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। উপজেলার বাউসা হারুন অর রশিদ শাহ্ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে গতকাল শুক্রবার (১৩ জুন) এই ঘটনা ঘটে।
২৫ মিনিট আগেদলীয় অনুষ্ঠানে প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বেরাইজ্জা (লজ্জাহীন), বেশ্যা (পতিতা) ও পাগলা কুকুর শব্দ ছুড়ে দিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া। গত বুধবার (১১ জুন) এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দলের ভেতরে-বাইরে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
৪০ মিনিট আগে