Ajker Patrika

মামলার ৩০ বছর পর চুরির অভিযোগ থেকে খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৪, ২০: ১০
মামলার ৩০ বছর পর চুরির অভিযোগ থেকে খালাস

গরু চুরির অভিযোগে নীলফামারী থানায় ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা হয় জয়পুরহাটের কদোয়া চকপাড়ার তোফাজ্জাল হোসেনসহ তিনজনের নামে। অপর দুজন হলেন সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ার। বিচার শেষে শুধু তোফাজ্জলের সাজা হয়। বাকি দুজনকে খালাস দেন বিচারিক আদালত। রায়ের সময় পলাতক ছিলেন তোফাজ্জল।

বিচারিক আদালতের রায়ের ৯ বছর পর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন তোফাজ্জল। তবে তা খারিজ হলে হাইকোর্টে রিভিশন করেন। হাইকোর্ট তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন।

গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রায়টি দিয়েছেন বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ। সম্প্রতি রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ১৯৯৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নীলফামারীর অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশে বলেছেন, মামলাটির প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারির আদেশে দেখা যায়, আসামিদের ২৭ ফেব্রুয়ারি ৫৪ ধারায় আটক করে এ মামলায় পুনরায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে। এতে এটি স্পষ্ট যে প্রকৃতপক্ষে এজাহারটি মিথ্যা। আসামিকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তাই বিচারিক আদালত ও আপিল আদালতের রায় বাতিল করা হলো। 

হাইকোর্ট বলেন, এজাহার দাখিল, গ্রহণ এবং তদন্ত ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। অপর দিকে বিচারিক আদালত এবং আপিল আদালতও গতানুগতিকভাবে রায় প্রদান করেছেন। উভয় আদালত চরমঅবহেলা ও অনিয়ম করেছেন, যা বিচারকসুলভ নয়। এ কারণে রায়টি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইল করতে এবং সব থানার এজাহার গ্রহণকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আশেক মোমিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাকী বেগম ও ফেরদৌসী আক্তার। তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, নীলফামারী সদরের ধোবাডাঙ্গা গ্রামের বৈকুণ্ঠ রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁদের পরিবারের প্রতিটি প্রায় ১১ হাজার ৭০০ টাকা দামের পাঁচটি গরু চুরি হয়ে যায়। পরে খবর পান গরুসহ থানায় দুজন চোর ধরা পড়েছে। থানায় যাওয়ার পর তিনি গরু শনাক্ত করেন। ওই ঘটনায় করা মামলায় বিচার শেষে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রায় দেন। 

রায়ে তোফাজ্জাল হোসেনকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে খালাস দেওয়া হয় সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ারকে। রায়ের সময় জামিনে থাকা তোফাজ্জাল পলাতক ছিলেন। পরে দায়রা জজ আদালতে ৯ বছর ৭ মাস ৭ দিন দেরিতে আপিল করেন তোফাজ্জল। তবে ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর দায়রা জজ আদালত আপিল গ্রহণ না করে আবেদন খারিজ করে দেন। এর বিরুদ্ধে ২০০৬ সালে হাইকোর্টে রিভিশন করেন তোফাজ্জল। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, মাদ্রাসা সুপারসহ তিনজন আটক

মধুচন্দ্রিমায় স্বামী নিহত, কফিন জড়িয়ে হিমাশি

বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক সাফিনুলের পরিবারের ৫৬ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৬ বছর আগে নিহত শিশু ও সাত বছর ধরে প্রবাসী অষ্টগ্রামে মামলার আসামি!

এটা ছোটখাটো অপহরণ: চবির ৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত