প্রতিনিধি
ঘাটাইল(টাঙ্গাইল): করোনাকালে ঘাটাইল উপজেলার সর্বত্র বাল্যবিবাহ বেড়েছে। বিবাহের মূল শিকার হচ্ছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েরা বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। অথচ ২০১৬ সালে ঘাটাইল উপেজলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ঘাটাইল উপজেলায় রয়েছে ৬১টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৩২টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষদের সাথে কথা বলে বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চানতার গণ উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বছর সপ্তম শ্রেণীতে ছাত্রী ছিল ৪৬জন অথচ অষ্টম শ্রেণীতে জেএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে ৩৯ জন ছাত্রী। অথাৎ রেজিস্ট্রেশন করেনি ৭ জন। আবার এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরমপূরণ করার কথা ছিল ৫৩ জন ছাত্রীর কিন্তু করেছে মাত্র ৩৮ জন। ফরম পূরণ করেনি ১৫ জন ছাত্রী।
এই অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, অনুপস্থিত ছাত্রীদের অধিকাংশেরই বিয়ে হয়ে গেছে।
ছুনটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। এ বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করার কথা ২৭ জন ছাত্রছাত্রীর। কিন্ত করেছে মাত্র ১৫ জন ছাত্রছাত্রী । যে ১২ জন করেনি তারা সবাই ছাত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের বিয়ে হয়েছে আর বাকীরা পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়েছে।
রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরমপূরণ করেনি ৬ জন ছাত্রী। খোঁজ নিয়ে জেনেছি তাদের প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়ে গেছে। আবার দুইজন বিবাহিত ছাত্রীও ফরমপূরণ করেছে বলে জানান তিনি।
ঘাটাইল সদরে অবস্থিত এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুলবুলি বেগম জানান, শুধু এসএসসি (ভোকেশনাল ) শাখার ১০ জন ছাত্রী বিয়ে হয়ে যাওয়ার সংবাদ তার কাছে এসেছে। এদের মধ্যে কেউ ফরমপূরণ করেনি। একই অবস্থা এসএসসি (সাধারণ) শাখা এবং জেএসসি’র নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। উপজেলার গালা গণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধলাপাড়া চন্দন বালিকা বিদ্যালয়, কুশারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পাকুটিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে একই ধরনের খবর পাওয়া গেছে।
মজিদপুর মহিলা মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আক্তারের বাবা আব্দুস সালামের সাথে কথা হলে তিনি বলে, আমি খোলা বাজারে সরিষার তেল বিক্রি করে সংসার চালাই। করোনার কারণে আয় কমে গেছে। মেয়ের খরচ চালাতে পারছিনা বলে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।
সাগরদিঘী বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী নীলিমা আক্তাররের বিবাহের কারণ জানতে চাইলে তার বাবা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, স্কুল নাই পড়াশুনা বন্ধ এখন কী করব? ভালো একটা ছেলে পাইলাম তাই বিয়ার কাজ শেষ করলাম।
ঘাটাইল পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলাম বলেন, জন্ম নিবন্ধন সনদের কড়াকড়ি থাকায় এসব বিয়ের পড়াতে কেউ কাজী অফিসে আসেন না। উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কাজ শেষ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এমন দুর্যোগকালে বাল্যবিবাহের মতো দু:খজনক ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সংবাদ পেলে আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করবো।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, করোনাকাল শুরুর আগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমরা সফল হয়েছিলাম। বর্তমানে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে কিনা তা আমারা জানা নেই। সংবাদ পেলে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
ঘাটাইল(টাঙ্গাইল): করোনাকালে ঘাটাইল উপজেলার সর্বত্র বাল্যবিবাহ বেড়েছে। বিবাহের মূল শিকার হচ্ছেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েরা বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক ও স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে। অথচ ২০১৬ সালে ঘাটাইল উপেজলাকে বাল্যবিবাহমুক্ত ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
ঘাটাইল উপজেলায় রয়েছে ৬১টি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৩২টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষদের সাথে কথা বলে বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানা গেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চানতার গণ উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বছর সপ্তম শ্রেণীতে ছাত্রী ছিল ৪৬জন অথচ অষ্টম শ্রেণীতে জেএসসি পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছে ৩৯ জন ছাত্রী। অথাৎ রেজিস্ট্রেশন করেনি ৭ জন। আবার এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরমপূরণ করার কথা ছিল ৫৩ জন ছাত্রীর কিন্তু করেছে মাত্র ৩৮ জন। ফরম পূরণ করেনি ১৫ জন ছাত্রী।
এই অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে বিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, অনুপস্থিত ছাত্রীদের অধিকাংশেরই বিয়ে হয়ে গেছে।
ছুনটিয়া উচ্চ বিদ্যালয়েরও একই অবস্থা। এ বিদ্যালয়ে জেএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করার কথা ২৭ জন ছাত্রছাত্রীর। কিন্ত করেছে মাত্র ১৫ জন ছাত্রছাত্রী । যে ১২ জন করেনি তারা সবাই ছাত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১২ জনের মধ্যে ৭ জনের বিয়ে হয়েছে আর বাকীরা পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়েছে।
রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আলী বলেন, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরমপূরণ করেনি ৬ জন ছাত্রী। খোঁজ নিয়ে জেনেছি তাদের প্রত্যেকেরই বিয়ে হয়ে গেছে। আবার দুইজন বিবাহিত ছাত্রীও ফরমপূরণ করেছে বলে জানান তিনি।
ঘাটাইল সদরে অবস্থিত এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুলবুলি বেগম জানান, শুধু এসএসসি (ভোকেশনাল ) শাখার ১০ জন ছাত্রী বিয়ে হয়ে যাওয়ার সংবাদ তার কাছে এসেছে। এদের মধ্যে কেউ ফরমপূরণ করেনি। একই অবস্থা এসএসসি (সাধারণ) শাখা এবং জেএসসি’র নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। উপজেলার গালা গণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ধলাপাড়া চন্দন বালিকা বিদ্যালয়, কুশারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, পাকুটিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে একই ধরনের খবর পাওয়া গেছে।
মজিদপুর মহিলা মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ফারজানা আক্তারের বাবা আব্দুস সালামের সাথে কথা হলে তিনি বলে, আমি খোলা বাজারে সরিষার তেল বিক্রি করে সংসার চালাই। করোনার কারণে আয় কমে গেছে। মেয়ের খরচ চালাতে পারছিনা বলে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি।
সাগরদিঘী বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী নীলিমা আক্তাররের বিবাহের কারণ জানতে চাইলে তার বাবা ইব্রাহিম মিয়া বলেন, স্কুল নাই পড়াশুনা বন্ধ এখন কী করব? ভালো একটা ছেলে পাইলাম তাই বিয়ার কাজ শেষ করলাম।
ঘাটাইল পৌরসভার নিকাহ রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলাম বলেন, জন্ম নিবন্ধন সনদের কড়াকড়ি থাকায় এসব বিয়ের পড়াতে কেউ কাজী অফিসে আসেন না। উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের কাজ শেষ করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এমন দুর্যোগকালে বাল্যবিবাহের মতো দু:খজনক ঘটনা ঘটতে পারে। তবে সংবাদ পেলে আমরা প্রতিরোধের চেষ্টা করবো।
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, করোনাকাল শুরুর আগে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমরা সফল হয়েছিলাম। বর্তমানে বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে কিনা তা আমারা জানা নেই। সংবাদ পেলে আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
আজ সোমবার পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠেছে খাগড়াছড়ির প্রধান পর্যটনকেন্দ্র আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র ও তেরাংতৈকালাই (রিসাং) ঝরনা এলাকা। খাগড়াছড়ি, পর্যটক, তেরাংতৈকালাই, ঝরনা
১৫ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নে পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী ও শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছেন। রোববার (৮ জুন) বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শিদলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
৩৯ মিনিট আগেজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি (৪৫) নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের হলহলিয়া রেল ব্রীজের পশ্চিম পার্শ্বে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনে কাটা পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তবে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
৩৯ মিনিট আগেকোরবানির মাংস সংগ্রহ করা নিয়ে বানানো একটি ভিডিও কন্টেন্ট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সামলোচনাও তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওর প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। তিন কন্যা নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘একটা গরুর রান ভিক্ষা দেন গো’ ক্যাপশনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি আপলোড করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে