নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও, তা ততটা কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্য শহরগুলোতেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার পেছনে দায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা। সরকার মশক নিবারণ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করতে পারে। যারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সমন্বয় করে মশক দমনে ভূমিকা রাখবে।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নগরীর মশা নিবারণে সমস্যা, টেকসই সমাধানের একটি রূপরেখা’ সেমিনারে আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংস্থা সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী, তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ, ড. জিএম সাইফুর রহমান।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী বলেন, মশা ও সংক্রামক কীটপতঙ্গ নিবারণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। মশা ও সংক্রামক কীটপতঙ্গ নিবারণের জন্য জাতীয় ভিত্তিক একটা নির্দেশিকা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) আইন, ২০১৮, স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন বিবেচনায় নিতে হবে।
এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের আলোকে এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে। মশা ও সংক্রামক কীটপতঙ্গ নিবারণ মূলত একটি কারিগরি কার্যক্রম। এ ধরনের কার্যক্রমের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে কীট নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবলের ওপর। দক্ষ জনবল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের অভাব ও মশক নিবারণ কর্মকাণ্ড ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ। সরকার মশক নিবারণ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করতে পারে।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের নগর, শহরগুলোতে মশা (কিউলেক্স ও এডিস) একটি প্রধান সমস্যা। দুই দশক আগ পর্যন্ত মশা সমস্যা কেবল শুষ্ক মাসগুলোতে কিউলেক্স মশার দংশন-উপদ্রবে সীমাবদ্ধ ছিল। ২০০০ সাল থেকে বর্ষা মৌসুমে প্রায় বছরই ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। আমাদের শহর-নগরগুলোতে মশা এখন সারা বছরের সমস্যা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মহামারি রূপ নিয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যেই গত ২১ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দেশের জন্য এটা বিব্রতকর যে গত ৫০ বছরেও মশা সমস্যার কোনো সন্তোষজনক সমাধান হয়নি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, যথাযোগ্য জনবল সমস্যা। সিটি করপোরেশনের কোনো প্রশিক্ষিত জনবল নেই। মেডিকেল কীটতত্ত্ববিদ নেই। মশা নিবারণ, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের জন্য এখন পর্যন্ত সরকার কোনো পলিসি, নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সমন্বয় করে মশক নিধনে পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার নানা পদক্ষেপ নিলেও, তা ততটা কার্যকর হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে ঢাকা শহরে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। একই সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্য শহরগুলোতেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার পেছনে দায়ী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতা। সরকার মশক নিবারণ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করতে পারে। যারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সমন্বয় করে মশক দমনে ভূমিকা রাখবে।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘নগরীর মশা নিবারণে সমস্যা, টেকসই সমাধানের একটি রূপরেখা’ সেমিনারে আলোচকেরা এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংস্থা সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী, তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ, ড. জিএম সাইফুর রহমান।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের চেয়ারম্যান কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর এ চৌধুরী বলেন, মশা ও সংক্রামক কীটপতঙ্গ নিবারণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন। মশা ও সংক্রামক কীটপতঙ্গ নিবারণের জন্য জাতীয় ভিত্তিক একটা নির্দেশিকা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বালাইনাশক (পেস্টিসাইড) আইন, ২০১৮, স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন বিবেচনায় নিতে হবে।
এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের আলোকে এই নির্দেশিকা প্রণয়ন করতে হবে। মশা ও সংক্রামক কীটপতঙ্গ নিবারণ মূলত একটি কারিগরি কার্যক্রম। এ ধরনের কার্যক্রমের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে কীট নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে প্রশিক্ষিত দক্ষ জনবলের ওপর। দক্ষ জনবল ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের অভাব ও মশক নিবারণ কর্মকাণ্ড ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম কারণ। সরকার মশক নিবারণ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান গঠন করতে পারে।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের নগর, শহরগুলোতে মশা (কিউলেক্স ও এডিস) একটি প্রধান সমস্যা। দুই দশক আগ পর্যন্ত মশা সমস্যা কেবল শুষ্ক মাসগুলোতে কিউলেক্স মশার দংশন-উপদ্রবে সীমাবদ্ধ ছিল। ২০০০ সাল থেকে বর্ষা মৌসুমে প্রায় বছরই ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। আমাদের শহর-নগরগুলোতে মশা এখন সারা বছরের সমস্যা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মহামারি রূপ নিয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এরই মধ্যেই গত ২১ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দেশের জন্য এটা বিব্রতকর যে গত ৫০ বছরেও মশা সমস্যার কোনো সন্তোষজনক সমাধান হয়নি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, যথাযোগ্য জনবল সমস্যা। সিটি করপোরেশনের কোনো প্রশিক্ষিত জনবল নেই। মেডিকেল কীটতত্ত্ববিদ নেই। মশা নিবারণ, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের জন্য এখন পর্যন্ত সরকার কোনো পলিসি, নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সমন্বয় করে মশক নিধনে পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৭ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৭ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৭ ঘণ্টা আগে