Ajker Patrika

প্রতিবছর দেশে ছানি অপারেশন হয় ১ লাখ ত্রিশ হাজার জনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতিবছর দেশে ছানি অপারেশন হয় ১ লাখ ত্রিশ হাজার জনের

চোখের ছানিজনিত অন্ধত্ব সারা বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্বের প্রধান কারণ। সচেতনতা বৃদ্ধি ও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করানোই ছানিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। যারা ছানির সমস্যায় ভুগছেন তাদের দেরি না করে অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

ছানি সচেতনতা মাস উপলক্ষে আজ বুধবার বাংলাদেশ সোসাইটি অব ক্যাটারাক্ট অ্যান্ড রিফ্লেকটিভ সার্জনস (বি. এসসিআরএস) বেলা ১টায় ঢাকার শাহবাগে মিল্টন হলে ছানি রোগী ও সাংবাদিকদের নিয়ে এক আলোচনা সভা ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। ছানিজনিত অন্ধত্ব এবং এর প্রতিরোধে সারা বিশ্বে ছানি বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে জুন মাস পালিত হয় ছানি সচেতনতা মাস।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ক্যাটারাক্ট বিশেষজ্ঞরা ছানি অপারেশন, এর ব্যয়, ছানির কারণ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। বক্তারা জানান, দেশে ৫ লাখেরও বেশি ছানি অপারেশনযোগ্য রোগী রয়েছেন। এ সময় তাঁরা দেশ থেকে ছানি অন্ধত্ব প্রতিরোধে, ছানি প্রতিরোধে সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই মনে করেন ছানি অপারেশন করলে তারা আরও চোখে দেখতে পারবেন না কিংবা এতে অনেক বেশি খরচ আর ঠিক হতে অনেক বেশি সময় লাগে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে ছানি অপারেশন অনেক সহজেই হয়ে যায় বলে উল্লেখ করেন তাঁরা। বক্তারা আরও উল্লেখ করেন অনেক সময় ডায়বেটিস থাকার কারণে রোগীরা অপারেশন করতে চান না। তবে ডায়বেটিস জনিত সমস্যার সমাধান করে চোখের ছানি অপারেশন করা সম্ভব। লেন্সের কার্যক্রম অনুযায়ী এর দাম বৃদ্ধি ও হ্রাস পায় বলেও উল্লেখ করেন তাঁরা। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, ‘সার্বিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ সকলকে নিতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে রোগ শনাক্ত করা সম্ভব।’ 

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদের তথ্য মতে, আগে ছানি অপারেশন করা যেত ৮০ হাজার জনের। বর্তমানে প্রতি বছর ছানি অপারেশন করা হয় ১ লাখ ৩০ হাজার জনের। তিনি বলেন, এর চেয়ে বেশি আমরা পারছি না অপারেশন করা যাচ্ছে না। ছানি অপারেশন করা ভয়ের কিছু না এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। 

ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদের আরও বলেন, ‘অপারেশনের জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে হবে। দক্ষ জনবল গড়ে তোলার দায়িত্ব বিএসসিআরএস নিতে পারে। তাঁরা একটি ইনস্টিটিউট করতে পারে। সেখানে আমাদের ফ্যাকাল্টিই সাহায্য করতে পারে।’ এ ছাড়া আউটরিচ ও মোবাইল ভ্যান পরিচালনার পরামর্শ দেন তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত