শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ, (নারায়ণগঞ্জ)
‘এখন হাত দিয়ে কাজ করতে পারি না। আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। বর্তমানে আমার মেজ ভাইয়ের গার্মেন্টসে চাকরির ১২ হাজার টাকায় কোনো রকমে সংসার চলছে। এখন হাসপাতাল থেকে বাসায় আসি না। মা, ভাইবোনদের সঙ্গে কথাও বলি না। কীভাবে আসব? ঘরে কীভাবে মুখ দেখাব? আন্দোলনে গিয়ে গুলি খাইছি, আমি এখন ঘরের বোঝা।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া ২০ বছর বয়সী অটোরিকশাচালক মো. নাদিম। জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই থেকে নাদিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ২০ জুলাই বিজিবির গুলিতে আহত হন তিনি। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মোট ৭টি গুলি লাগে।
ঝালকাঠির নলছিটি থানার মৃত খোকা হাওলাদারের ছেলে নাদিম। বাবার মৃত্যুর পর থেকে অভাবের সংসারের হাল ধরতে নিজের পড়াশোনাকে বিসর্জন দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করছিলেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড় ভাই ও দুই বোনের বিয়ে হওয়ায় তাঁরা আলাদা বাস করেন। মেজ ভাই আর নাদিম তাঁর মাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চান টাওয়ারের অন্য পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
২০ জুলাই ঘটনার বিবরণ দিয়ে নাদিম বলেন, ‘বিকেলে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য চিটাগাং রোডে যাচ্ছিলাম, তখন বিজিবি আমাদের উদ্দেশ্যে অতর্কিতে গুলি চালানো শুরু করে। আমি বাঁচার জন্য পালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল পর্যন্ত এসেছিলাম। বিজিবিও আমাদের গুলি করতে করতে পেছনে আসছিল। পুলের কবরস্থান মসজিদের সামনে আসার পরই আমি একের পর এক গুলি খাই। এরপর মাটিতে পড়ে যাই। মোট ৭টা গুলি আমার শরীরে লেগেছে।’
নাদিম বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতায় আমার চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছি না। আমার হাত দিয়ে কিছুই করতে পারি না, অচল হয়ে আছে।’
নাদিমের বড় বোন নাসরিন বলেন, ‘আমার ভাই গুলি খাওয়ার পর তার চিকিৎসার জন্য ওর রিকশা বিক্রি করি। এ ছাড়া ঋণ কইরা ওর চিকিৎসা করছি। এখন ঋণ টানতে কষ্ট হচ্ছে। আমার মায়ের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, আমার ভাইটাকে যেন উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলে। ওর ইনকাম ছাড়া আমার মায়ের সংসার চলবে না।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য কিছু খরচ দেওয়া হয়েছে। সে যদি না পায় তাহলে জেলা পরিষদে যেন যোগাযোগ করে। এ ছাড়া বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের বিষয়টি দেখছে।’
‘এখন হাত দিয়ে কাজ করতে পারি না। আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। বর্তমানে আমার মেজ ভাইয়ের গার্মেন্টসে চাকরির ১২ হাজার টাকায় কোনো রকমে সংসার চলছে। এখন হাসপাতাল থেকে বাসায় আসি না। মা, ভাইবোনদের সঙ্গে কথাও বলি না। কীভাবে আসব? ঘরে কীভাবে মুখ দেখাব? আন্দোলনে গিয়ে গুলি খাইছি, আমি এখন ঘরের বোঝা।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া ২০ বছর বয়সী অটোরিকশাচালক মো. নাদিম। জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই থেকে নাদিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। ২০ জুলাই বিজিবির গুলিতে আহত হন তিনি। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মোট ৭টি গুলি লাগে।
ঝালকাঠির নলছিটি থানার মৃত খোকা হাওলাদারের ছেলে নাদিম। বাবার মৃত্যুর পর থেকে অভাবের সংসারের হাল ধরতে নিজের পড়াশোনাকে বিসর্জন দিয়ে অটোরিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করছিলেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে বড় ভাই ও দুই বোনের বিয়ে হওয়ায় তাঁরা আলাদা বাস করেন। মেজ ভাই আর নাদিম তাঁর মাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চান টাওয়ারের অন্য পাশের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
২০ জুলাই ঘটনার বিবরণ দিয়ে নাদিম বলেন, ‘বিকেলে আন্দোলনে যাওয়ার জন্য চিটাগাং রোডে যাচ্ছিলাম, তখন বিজিবি আমাদের উদ্দেশ্যে অতর্কিতে গুলি চালানো শুরু করে। আমি বাঁচার জন্য পালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ পুল পর্যন্ত এসেছিলাম। বিজিবিও আমাদের গুলি করতে করতে পেছনে আসছিল। পুলের কবরস্থান মসজিদের সামনে আসার পরই আমি একের পর এক গুলি খাই। এরপর মাটিতে পড়ে যাই। মোট ৭টা গুলি আমার শরীরে লেগেছে।’
নাদিম বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতায় আমার চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে কিছুদিন আগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছি না। আমার হাত দিয়ে কিছুই করতে পারি না, অচল হয়ে আছে।’
নাদিমের বড় বোন নাসরিন বলেন, ‘আমার ভাই গুলি খাওয়ার পর তার চিকিৎসার জন্য ওর রিকশা বিক্রি করি। এ ছাড়া ঋণ কইরা ওর চিকিৎসা করছি। এখন ঋণ টানতে কষ্ট হচ্ছে। আমার মায়ের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, আমার ভাইটাকে যেন উন্নত চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলে। ওর ইনকাম ছাড়া আমার মায়ের সংসার চলবে না।’
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের জন্য কিছু খরচ দেওয়া হয়েছে। সে যদি না পায় তাহলে জেলা পরিষদে যেন যোগাযোগ করে। এ ছাড়া বর্তমান সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের বিষয়টি দেখছে।’
চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের রামপুরা এলাকার বাসিন্দা আবদুর সবুর লিটন। তাঁর প্রয়াত বাবা সেলিম ছিলেন আকিজ বিড়ি কারখানার একজন টেকনিশিয়ান। একসময় নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা ছিল পরিবারটির। পরে কেরামত আলী নামের এক ব্যক্তির অনুগ্রহে একটি বিড়ি কোম্পানিতে কাজ নেন লিটন। পরে শ্রমিক সরবরাহ ও সিগারেটের ব্যান্ডরোল
৩ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার চরে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বৈরাগীর চর এলাকায় রাজু হোসেন (১৮) নামের এক তরুণকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই রাতে ও পরদিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আবেদের ঘাট ও বৈরাগীর চর এলাকার পদ্মার চরে অন্তত শতাধি
৩ ঘণ্টা আগেবগুড়ার গাবতলীতে অনুষ্ঠিত হলো ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা। উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পোড়াদহ নামক স্থানে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে ইছামতী নদীর তীর ঘেঁষে এই মেলা বসে। এক দিনের মেলা হলেও এর রেশ থাকে বেশ কয়েক দিন। প্রতিবছর বাংলা সনের মাঘ মাসের শেষ বুধবার এই মেলা হয়। মেলা উপলক্ষে আশপাশের গ্রামের প্রতিটি
৩ ঘণ্টা আগে‘বাহ্! বাঁশ দিয়ে করেছে স্টলটা। টালিও আছে। সুন্দর লাগছে’—একটি প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন দেখে মেলায় আসা মধ্যবয়সী এক ভদ্রলোকের মন্তব্য। তার সামনের প্যাভিলিয়নটি দোচালা টালির ঘরের আদলে তৈরি। মোটা বাঁশের বেড়া। কিছু টালি সরিয়ে করা হয়েছে আলো ঢোকার জানালা। ছিমছাম ও দৃষ্টিনন্দন আয়োজনে এভাবে বইয়ের পসরা সাজিয়েছে প্র
৪ ঘণ্টা আগে