Ajker Patrika

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা: মুক্তির জালিয়াতি করে নেওয়া জামিন বিষয়ে শুনানি ২৭ নভেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০: ০৮
Thumbnail image

টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন শুনানির জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হবে। আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এই দিন ধার্য করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। 

এর আগে তথ্য গোপন করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে সহিদুর রহমান খান মুক্তির বিরুদ্ধে। পরে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আজ বৃহস্পতিবার আইনমন্ত্রী আনিসুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টে করা জামিন আবেদনে আপিল বিভাগের আদেশ গোপন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আবেদনে নাম পরিবর্তন করে লেখা হয়েছে সহিদুল রহমান খান। জেলা দেখানো হয়েছে ঢাকা। এ ছাড়া দেওয়া হয়নি টেন্ডার নম্বরও।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানার পর মঙ্গলবার রাতে কারাগারের জেলারকে ফোন করে বলেছিলাম চেম্বার আদালতে যাব, তাকে যেন ছাড়া না হয়। এরপরও বুধবার দুপুরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে চেম্বার আদালত আগামী সোমবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। 

এর আগে সহিদুর রহমান খান মুক্তি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন বিচারাধীন থাকার তথ্য গোপন করে আরেকটি বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি নজরে আনার পর আদালত জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন মুক্তি। চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান। পরে গত ২৭ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। 

আপিল বিভাগের নির্দেশনা গোপন করে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান। ওই আদেশ কারাগারে পৌছালে বুধবারই তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। 

সহিদুর রহমান এ মামলার অন্য আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তাঁর বাবা আতাউর রহমান খান এই আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। 

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। 

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তাঁর অন্য তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত