সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের পাশে আশুলিয়ার একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ভেতরে শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ট্রাফিক পুলিশ (টিআই) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অটোরিকশা থেকে সরকারি জরিমানার কথা বলে রসিদ ছাড়া টাকা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে অভিযোগের ব্যাপারে জানান ভুক্তভোগী ওই পোশাকশ্রমিক। গত শনিবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাইপাইলের টিআই জাহাঙ্গীর ক্রসিং পুলিশ বক্সে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। সেই পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) খসরু পারভেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পোশাকশ্রমিকের নাম মো. ছালেক মিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি রংপুরে হলেও আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
ভুক্তভোগী ছালেক মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার এক পূর্বপরিচিত শফিকুলের অটোরিকশা বাইপাইলে আটক করে জরিমানা বাবদ দুই হাজার টাকা দাবি করেন ট্রাফিক পুলিশ। শফিকুলের কাছে টাকা না থাকায় আমাকে খবর দেয়। আমার বন্ধু আব্দুল জলিলকে নিয়ে পুলিশ বক্সে যাই। গিয়ে দেখি খসরু সাহেব বসে আছেন। তাঁকে জরিমানা মওকুফের অনুরোধ করলে তিনি বলেন সরকারি জরিমানা কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’
ছালেক মিয়া বলেন, ‘পরে আব্দুল জলিল টিআই খসরুর হাতে জরিমানা বাবদ দুই হাজার টাকা দিলে খেপে যান তিনি। তখন আব্দুল জলিল বলেন সরকারি ফাইন যেহেতু, ক্যামেরার সামনে দিলেই কী আর পেছনে দিলেই কী? পরে আব্দুল জলিলসহ আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে আমাকে আবার ডেকে নেন পুলিশ বক্সের ভেতর। তারপর আমাকে চড়-ঘুষি-কিল-থাপ্পড় মারতে থাকেন। আমাকে গ্রেপ্তারের ভয়ও দেখান। পোশাক কারখানার আইডি কার্ড দেখালে আমাকে ছেড়ে দেন।’
ছালেক মিয়াকে এরপর কোনো দিন দেখলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল বলেন, ‘পরে দুই হাজার টাকা দিলে রিকশা ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ টাকার কোনো রসিদ দেননি। যদি সরকারি জরিমানাই হবে, সিসি ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে তাঁর সমস্যা কী?’
ভুক্তভোগী ছালেক মিয়া ও আব্দুল জলিল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে রিকশাচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার এক রোগীকে হাসপাতালে নামিয়ে ফেরার পথে আমার রিকশাটি আটক করে পুলিশ। পরে আমি আব্দুল জলিল ও ছালেক ভাইকে জানাই। তাঁরা আসলে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পর আমাকে আর সেখানে থাকতে দেননি। আমার কাছ থেকে জরিমানার কথা বলে টাকা ঠিকই রেখেছেন। কিন্তু কোনো রসিদ দেননি। পরে রিকশা আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টিআই খসরু পারভেজ বলেন, ‘কাজ করলে অভিযোগ থাকবেই। আপনারা যাচাই করে দেখেন। যারা কাজ করে না, তাদের বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ থাকে না।’ এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানি না। এ ব্যাপারে আমার কোনো মাথাব্যথাও নেই।’
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘এমন অভিযোগ আমার কাছে এখনো পৌঁছেনি। আমরা অনেক সময়ই এমন অভিযোগ পাই। তবে তদন্ত করলে দেখা যায় সত্যতা নেই। রসিদ ছাড়া টাকা আদায়ের তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এমন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পুলিশি হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে শামীম সিকদার (৩৫) নামের এক রিকশাচালক নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। বাইপাইলের এই ট্রাফিক বক্সের সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। এতে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর।
আবদুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কের পাশে আশুলিয়ার একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ভেতরে শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক ট্রাফিক পুলিশ (টিআই) কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অটোরিকশা থেকে সরকারি জরিমানার কথা বলে রসিদ ছাড়া টাকা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। জেলা পুলিশ সুপার বরাবর এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে অভিযোগের ব্যাপারে জানান ভুক্তভোগী ওই পোশাকশ্রমিক। গত শনিবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বাইপাইলের টিআই জাহাঙ্গীর ক্রসিং পুলিশ বক্সে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। সেই পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) খসরু পারভেজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পোশাকশ্রমিকের নাম মো. ছালেক মিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ি রংপুরে হলেও আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
ভুক্তভোগী ছালেক মিয়া বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার এক পূর্বপরিচিত শফিকুলের অটোরিকশা বাইপাইলে আটক করে জরিমানা বাবদ দুই হাজার টাকা দাবি করেন ট্রাফিক পুলিশ। শফিকুলের কাছে টাকা না থাকায় আমাকে খবর দেয়। আমার বন্ধু আব্দুল জলিলকে নিয়ে পুলিশ বক্সে যাই। গিয়ে দেখি খসরু সাহেব বসে আছেন। তাঁকে জরিমানা মওকুফের অনুরোধ করলে তিনি বলেন সরকারি জরিমানা কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’
ছালেক মিয়া বলেন, ‘পরে আব্দুল জলিল টিআই খসরুর হাতে জরিমানা বাবদ দুই হাজার টাকা দিলে খেপে যান তিনি। তখন আব্দুল জলিল বলেন সরকারি ফাইন যেহেতু, ক্যামেরার সামনে দিলেই কী আর পেছনে দিলেই কী? পরে আব্দুল জলিলসহ আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে আমাকে আবার ডেকে নেন পুলিশ বক্সের ভেতর। তারপর আমাকে চড়-ঘুষি-কিল-থাপ্পড় মারতে থাকেন। আমাকে গ্রেপ্তারের ভয়ও দেখান। পোশাক কারখানার আইডি কার্ড দেখালে আমাকে ছেড়ে দেন।’
ছালেক মিয়াকে এরপর কোনো দিন দেখলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
ভুক্তভোগী আব্দুল জলিল বলেন, ‘পরে দুই হাজার টাকা দিলে রিকশা ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এ টাকার কোনো রসিদ দেননি। যদি সরকারি জরিমানাই হবে, সিসি ক্যামেরার সামনে টাকা নিতে তাঁর সমস্যা কী?’
ভুক্তভোগী ছালেক মিয়া ও আব্দুল জলিল এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ-সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে জমা দিয়েছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে রিকশাচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার এক রোগীকে হাসপাতালে নামিয়ে ফেরার পথে আমার রিকশাটি আটক করে পুলিশ। পরে আমি আব্দুল জলিল ও ছালেক ভাইকে জানাই। তাঁরা আসলে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়ার পর আমাকে আর সেখানে থাকতে দেননি। আমার কাছ থেকে জরিমানার কথা বলে টাকা ঠিকই রেখেছেন। কিন্তু কোনো রসিদ দেননি। পরে রিকশা আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টিআই খসরু পারভেজ বলেন, ‘কাজ করলে অভিযোগ থাকবেই। আপনারা যাচাই করে দেখেন। যারা কাজ করে না, তাদের বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ থাকে না।’ এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ অভিযোগের ব্যাপারে কিছু জানি না। এ ব্যাপারে আমার কোনো মাথাব্যথাও নেই।’
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ‘এমন অভিযোগ আমার কাছে এখনো পৌঁছেনি। আমরা অনেক সময়ই এমন অভিযোগ পাই। তবে তদন্ত করলে দেখা যায় সত্যতা নেই। রসিদ ছাড়া টাকা আদায়ের তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এমন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ জুন পুলিশি হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে শামীম সিকদার (৩৫) নামের এক রিকশাচালক নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। বাইপাইলের এই ট্রাফিক বক্সের সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি। এতে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর।
ট্রলার ভাড়া করে অর্ধশত মানুষ নিয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে। রাতে ফেরার পথে ‘বাহেরচর কাতলা’ এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে বালুবাহী বাল্কহেডের সাথে পিকনিকের ট্রলারটি ধাক্কা লাগে। এতে পিকনিকের ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। পরে তাদের অন্য ট্রলারের সহযোগিতায় উদ্ধার...
১৭ মিনিট আগেমাগুরার আলোচিত শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ শনিবার ঘোষণা করেছেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি শিশুটির বোনের শ্বশুরকে ফাঁসিসহ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে বোনের শাশুড়ি, বোনের স্বামী ও ভাশুরকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টায় মাগুরা দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী ও শিশু...
৪৩ মিনিট আগেসকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসব শুরু হয়। এরপর শুরু হয় এক ঘণ্টার এমসিকিউ পরীক্ষা। জুনিয়র ক্যাটাগরিতে (৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম) ২১০ জন, মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে (নবম ও দশম) ১৭০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে (একাদশ ও দ্বাদশ) ৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
১ ঘণ্টা আগেঝগড়ার বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা সালিশ করি। সালিশে উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে সিএনজি চালকের চিকিৎসাবাবদ মোটরসাইকেল চালককে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাখন বিচার মেনে একহাজার টাকা জমা দেন মোটরসাইকেল চালক। দু’দিন পর বাকি টাকা পরিশোধ করবেন বলে কথা দেন। সালিশ দরবার শেষ করে সন্ধ্যায় আমরা চলে...
১ ঘণ্টা আগে