ফজলুল কবির, ঢাকা

‘গণগ্রন্থাগার চত্বর যেমন/ হাঁটতে নিলেই বকুল পিষে যায় পায়ের তলায়/ এ এক নৃশংস পদচারণ।’ আসলেই কি তাই? পায়ের দিকে একবার তাকাই। তার তলাটি তো দেখা যায় না। তবে চারদিকে ছড়ানো আহত ও শুষ্ক বকুল ফুল বলে দিচ্ছে নিজের পায়ের তলায়ও এমন আহতের দল পড়ে আছে। তলানিতে বলে কেউ ভ্রুক্ষেপ করছে না; আক্ষেপ তো দূরের কথা। তলায় বা প্রান্তে থাকার নিয়তিই এমন। যাক, সে অন্য কথা। বকুলের সঙ্গে হয়ে যাওয়া এই নিত্যকার নৃশংসতা নিয়ে মনকে আর বাড়তে দেওয়া যায় না। কারণ, চোখের সামনে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নৃশংসতা, তার সমস্তটা নিয়ে। না, আক্ষরিক অর্থে নয়। তবে গণগ্রন্থাগারের ভেঙে পড়া দেখে এই একটি শব্দই ঘুরেফিরে মাথায় আসছে বারবার।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর ও চারুকলা অনুষদকে দুই বাহুতে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গণগ্রন্থাগারের বর্তমান কাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গণগ্রন্থাগারটির পোশাকি নাম সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার। কিন্তু সবার কাছে পাবলিক লাইব্রেরি নামেই পরিচিত। কতটা পরিচিত? ব্যক্তিগত খাতা খুললে তার তল পাওয়া কঠিন।
তার আগে বলে নিই, পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে এই স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পাঠকদের জন্য আপাতত ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে হবে বহুতল ভবন। বিপুল ব্যয়ে সে ভবন নির্মাণ করা হবে, যা শেষ হবে ২০২৪ সালে। পাঠকক্ষগুলোর সংখ্যা ও পরিসরে বড় হবে। ডিজিটাইজেশনের গতি বাড়বে। প্রতিবন্ধীদের কথা মাথায় রেখে আলাদা ব্যবস্থা হবে। গবেষকদের পাঠ উপকরণ ও গবেষণার দিকে আলাদা মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বই, পত্রিকা, সাময়িকী, ডিজিটাল আর্কাইভ ইত্যাদির সংখ্যা বাড়বে। সেবার পরিসর বৃদ্ধির এই প্রতিটি বিষয়ই আনন্দের। কিন্তু কোথায় যেন ব্যথা বাজে। শঙ্কা জাগে, যে সুপ্রশস্ত পরিসর দিয়ে এই গণগ্রন্থাগার মানুষের কাছে সহজ প্রাঙ্গণের পরিচয় নিয়ে হাজির হয়েছিল, তা কি আর আগের মতো থাকবে?
কত না স্মৃতিগদ্য আছে এই স্থাপনা নিয়ে। কত শতজনের কথায়, ছোট ছোট উক্তিতে, বাক্যে এর কথা উঠে এসেছে। এমন স্মৃতি জন্ম দেওয়া, আশ্রয় দেওয়া প্রাঙ্গণ ঢাকায় খুব কম। এর নকশাটাই মানুষকে আপন করে নেয় বলা যায়। আচ্ছা কে এর স্থপতি? খুঁজতে গিয়েই মাথা ঘুরে গেল। কোথাও নেই সে নাম। পুরোনো গণগ্রন্থাগার, অর্থাৎ বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি নন্দিত স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নকশায় করা। কিন্তু যে ভবনে পরে স্থানান্তর করা হলো, তার স্থপতি কে? কোথাও নেই। সরকারি ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে হয়রান হতে হলো। নেই অন্য কোনো ওয়েবসাইটেও। অনেক খুঁটিনাটি তথ্য সেগুলোতে থাকলেও এই জরুরি তথ্যটি নেই। মনটা দমে গেল। এত স্মৃতির রঙিন সিঁড়িগুলো তবে কে বানালেন!
এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন! গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। নব্বইয়ের দশকের বিটিভি নাটকে থানা বলতে যেমন শুধু রমনা থানা ছিল, ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নায়ক-নায়িকার আউটডোর (সে সময়ের নাটকে আউটডোর বিষয়টা বেশ কম ছিল) প্রথম সাক্ষাৎ বলতে যে গুটি কয়েক স্থান ছিল, তার অন্যতম এই জাতীয় গণগ্রন্থাগার।
বাস্তবেও কি তা-ই নয়? এর সেই আইকনিক সিঁড়ি কত শত স্মৃতির আকর! কত তরুণ-তরুণী যে এই সিঁড়িতে বসেই প্রণয়কাল কাটিয়ে দিল, কতজন সদ্য পাওয়া কষ্ট ভুলতে এই সিঁড়িতে চুপ হয়ে বসে থাকল, কতজন কিছুই নয়, শুধু সময় কাটাতে সিঁড়িটুকু আঁকড়ে বসে থাকল! মোবাইল ফোন, বিশেষত স্মার্টফোন আসার আগে এই সিঁড়িতে বসে নানা বয়সী মানুষকে বই পড়তে দেখা যেত। বিকেলের দিকে এই সিঁড়ি ঘিরেই জমত আড্ডা। কবি, শিল্পী থেকে শুরু করে ভবঘুরে আড্ডার উন্মুক্ত স্থান ছিল এটি। তবে হুজ্জতও ছিল; নিরাপত্তাকর্মী বা পাঠাগার তত্ত্বাবধায়কেরা মাঝেমধ্যেই এসে আড্ডা দিতে নিষেধ করতেন। তখন কিছুক্ষণের বিরতি। তারপর আবার হয়তো নতুন কোনো আড্ডাবাজ দলবল নিয়ে বসে যেত।
সিঁড়িতে না টিকলেও ক্ষতি নেই তেমন। বকুলঝরা পথ দিয়ে সোজা চলে গেলেই হলো। একেবারে মাথায় ক্যানটিন, যার বাইরে বসবার জায়গা আছে। সেই ক্যানটিনের স্বভাবও প্রায় গণগ্রন্থাগারের মতোই। এর বাইরে বা ভেতরে বসে দীর্ঘ আড্ডায় সাধারণত কোনো বাধা আসত না। শেষ দিকে এর কিছুটা ব্যত্যয় দেখা দিয়েছিল। বাণিজ্যিক দুনিয়ায় পুঁজির চাপে এর অন্যথাও তো হওয়ার কথা নয়। বরং এত দীর্ঘ সময় যে এটি এমনভাবে উদার থাকল, তাই-বা কম কী।
এই ক্যানটিন থেকে বাম দিকে শওকত ওসমান মিলনায়তনের মধ্যকার সবুজ প্রাঙ্গণটি অন্যরকম এক ভালো লাগা তৈরি করে। কত দীর্ঘ দুপুর ও বিকেল যে এখানে কেটেছে! বিকেল থেকেই শুরু হতো মিলনায়তন ঘিরে নানা তৎপরতা। হয়তো কোনো গানের অনুষ্ঠান আছে, অথবা আছে কোনো নাটকের শো, কিংবা স্বল্পদৈর্ঘ্য বা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। আলোচনা সভাও হতো নিয়মিত। বিকেল থেকেই গমগম করত গোটা প্রাঙ্গণ।
শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর ছিল যে প্রাঙ্গণ, তা এখন ভাঙা ইট-পাথর ও ধুলার রাজত্ব। এখনো মুখর সেই প্রাঙ্গণ, তবে তা হাতুড়ির শব্দে। প্রায় প্রতিদিনই বাইরে থেকে এই ধ্বংসযজ্ঞের শব্দ কানে আসে। ধুলার অত্যাচারে শ্বাস জানান দেয় কিছু একটা ভেঙে পড়ছে। সেদিন ভেতরে ঢুকে পুরো বিষয়টা দেখার ইচ্ছা হলো। দেখা গেল শওকত ওসমান মিলনায়তনের এক পাশ ভেঙে ফেলা হয়েছে এরই মধ্যে। জমে থাকা বর্জ্য সরাতে কাজ করা হচ্ছে। ক্যানটিন ও মিলনায়তনের মাঝখানের প্রাঙ্গণটায়, যেখানে আগে বিশেষত তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল, সেখানে দেখা গেল এক তরুণী বসে আছেন পা দুলিয়ে। বিষণ্ন তাঁর চোখ। নিজের ভেতরে চলতে থাকা নানা ভাবনার ছাপ যেন তাঁর চোখেও দেখা গেল। তাঁর পায়ের তলায়ও যেন বকুল পিষে গেছে অজ্ঞাতে; তাই কী মন খারাপ?
ফিরে এসে আবার সেই সিঁড়ির সামনে দাাঁড়নো গেল। কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা শুধু। গোটা কয় ছবি তোলা হলো। মনের ভেতর একটা মোচড় দিয়ে উঠল। বামে তাকাতেই দেখা গেল স্মৃতিময় শিশু-কিশোর পাঠকক্ষটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, যেখানে কেটেছে শৈশব-কৈশোরের আশ্চর্য সুন্দর কিছু সময়। স্কুল পালিয়ে কত কী করে মানুষ! আমারা দুই-তিনজন ছিলাম, যাঁরা পালিয়ে আসতাম এই পাঠাগারে। পাশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চারুকলায় যাওয়া শুরুও সে সময়েই। কিংবা চলে যেতাম বাংলাবাজার, নীলক্ষেত, পল্টন, গুলিস্তানের বইয়ের দোকানগুলোয়। বইয়ের পোকা ছিল মাথায়। সিনেমা দেখা বা রমনা উদ্যানে ঘুরে বেড়ানো—সে-ও ছিল।
সে যাক। সিঁড়িটি বাদ রেখে মূল ভবনের পেছনের দিকটা ভাঙা হচ্ছে। যাঁরা ভাঙছেন, তাঁদেরও কি মন টানছে না তবে? তাঁদেরও কি কিছু জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে? নাকি এ নিছক কল্পনা?
ছবি তুলতে দেখে আশপাশে ভাঙার কাজে মত্ত পরিশ্রান্ত শ্রমিকেরা আমাকে দেখার ছলেই একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন দেখা গেল। এগিয়ে যেতেই হেসে তাকালেন বয়স্ক একজন। নাম আলতাফ হোসেন। জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। জানতে চাইলাম, কত দিন লাগবে ভাঙতে? হাসলেন। বললেন, ‘তা এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়া যাইব।’ মন কেমন করল! কিছুক্ষণ চুপ থেকে আলতাফ হোসেন বললেন, ‘সিঁড়িটা সুন্দর।’ হয়তো আমাকে দূর থেকে সিঁড়ির আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখেই এমনটা বললেন, হয়তো না। দেখা গেল, পরিশ্রান্ত শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন ততক্ষণে সেই সিঁড়িতে গিয়ে বসেছেন। লাল-সাদা সেই আইকনিক সিঁড়ি; ভেঙে যাওয়ার আগেও যে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষদের আশ্রয় দিতে ভুলছে না।
কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গেলাম। কে জানে, এটাই হয়তো শেষবারের মতো এই সিঁড়ি ভাঙা। মাথার ভেতরে তখন সঞ্জীব চৌধুরী গাইছেন—‘তুমি সিঁড়ি ভাঙো/ কত সিঁড়ি ভাঙো/ ভেঙে ফেলেছ কি স্বপ্নের সিঁড়ি?’ সঞ্জীব সম্পূর্ণ অন্য ভাবনা থেকে গেয়েছেন হয়তো, কিন্তু কেমন মিলে গেল। এ সিঁড়ি তো স্বপ্নেরও। যেকোনো গ্রন্থাগারের সিঁড়িই তা-ই। সে হিসেবে বেশ খাপ খেয়ে যায় সঞ্জীবের গানটি। এ সিঁড়ি আক্ষরিক অর্থেই ভাঙা হবে। এই তো আর কয়েকটি দিন।

‘গণগ্রন্থাগার চত্বর যেমন/ হাঁটতে নিলেই বকুল পিষে যায় পায়ের তলায়/ এ এক নৃশংস পদচারণ।’ আসলেই কি তাই? পায়ের দিকে একবার তাকাই। তার তলাটি তো দেখা যায় না। তবে চারদিকে ছড়ানো আহত ও শুষ্ক বকুল ফুল বলে দিচ্ছে নিজের পায়ের তলায়ও এমন আহতের দল পড়ে আছে। তলানিতে বলে কেউ ভ্রুক্ষেপ করছে না; আক্ষেপ তো দূরের কথা। তলায় বা প্রান্তে থাকার নিয়তিই এমন। যাক, সে অন্য কথা। বকুলের সঙ্গে হয়ে যাওয়া এই নিত্যকার নৃশংসতা নিয়ে মনকে আর বাড়তে দেওয়া যায় না। কারণ, চোখের সামনে সটান হয়ে দাঁড়িয়ে আছে নৃশংসতা, তার সমস্তটা নিয়ে। না, আক্ষরিক অর্থে নয়। তবে গণগ্রন্থাগারের ভেঙে পড়া দেখে এই একটি শব্দই ঘুরেফিরে মাথায় আসছে বারবার।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘর ও চারুকলা অনুষদকে দুই বাহুতে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা গণগ্রন্থাগারের বর্তমান কাঠামো ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গণগ্রন্থাগারটির পোশাকি নাম সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার। কিন্তু সবার কাছে পাবলিক লাইব্রেরি নামেই পরিচিত। কতটা পরিচিত? ব্যক্তিগত খাতা খুললে তার তল পাওয়া কঠিন।
তার আগে বলে নিই, পাঠকের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে এই স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। পাঠকদের জন্য আপাতত ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে হবে বহুতল ভবন। বিপুল ব্যয়ে সে ভবন নির্মাণ করা হবে, যা শেষ হবে ২০২৪ সালে। পাঠকক্ষগুলোর সংখ্যা ও পরিসরে বড় হবে। ডিজিটাইজেশনের গতি বাড়বে। প্রতিবন্ধীদের কথা মাথায় রেখে আলাদা ব্যবস্থা হবে। গবেষকদের পাঠ উপকরণ ও গবেষণার দিকে আলাদা মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বই, পত্রিকা, সাময়িকী, ডিজিটাল আর্কাইভ ইত্যাদির সংখ্যা বাড়বে। সেবার পরিসর বৃদ্ধির এই প্রতিটি বিষয়ই আনন্দের। কিন্তু কোথায় যেন ব্যথা বাজে। শঙ্কা জাগে, যে সুপ্রশস্ত পরিসর দিয়ে এই গণগ্রন্থাগার মানুষের কাছে সহজ প্রাঙ্গণের পরিচয় নিয়ে হাজির হয়েছিল, তা কি আর আগের মতো থাকবে?
কত না স্মৃতিগদ্য আছে এই স্থাপনা নিয়ে। কত শতজনের কথায়, ছোট ছোট উক্তিতে, বাক্যে এর কথা উঠে এসেছে। এমন স্মৃতি জন্ম দেওয়া, আশ্রয় দেওয়া প্রাঙ্গণ ঢাকায় খুব কম। এর নকশাটাই মানুষকে আপন করে নেয় বলা যায়। আচ্ছা কে এর স্থপতি? খুঁজতে গিয়েই মাথা ঘুরে গেল। কোথাও নেই সে নাম। পুরোনো গণগ্রন্থাগার, অর্থাৎ বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি নন্দিত স্থপতি মাজহারুল ইসলামের নকশায় করা। কিন্তু যে ভবনে পরে স্থানান্তর করা হলো, তার স্থপতি কে? কোথাও নেই। সরকারি ওয়েবসাইটগুলো খুঁজে হয়রান হতে হলো। নেই অন্য কোনো ওয়েবসাইটেও। অনেক খুঁটিনাটি তথ্য সেগুলোতে থাকলেও এই জরুরি তথ্যটি নেই। মনটা দমে গেল। এত স্মৃতির রঙিন সিঁড়িগুলো তবে কে বানালেন!
এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন! গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। নব্বইয়ের দশকের বিটিভি নাটকে থানা বলতে যেমন শুধু রমনা থানা ছিল, ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া নায়ক-নায়িকার আউটডোর (সে সময়ের নাটকে আউটডোর বিষয়টা বেশ কম ছিল) প্রথম সাক্ষাৎ বলতে যে গুটি কয়েক স্থান ছিল, তার অন্যতম এই জাতীয় গণগ্রন্থাগার।
বাস্তবেও কি তা-ই নয়? এর সেই আইকনিক সিঁড়ি কত শত স্মৃতির আকর! কত তরুণ-তরুণী যে এই সিঁড়িতে বসেই প্রণয়কাল কাটিয়ে দিল, কতজন সদ্য পাওয়া কষ্ট ভুলতে এই সিঁড়িতে চুপ হয়ে বসে থাকল, কতজন কিছুই নয়, শুধু সময় কাটাতে সিঁড়িটুকু আঁকড়ে বসে থাকল! মোবাইল ফোন, বিশেষত স্মার্টফোন আসার আগে এই সিঁড়িতে বসে নানা বয়সী মানুষকে বই পড়তে দেখা যেত। বিকেলের দিকে এই সিঁড়ি ঘিরেই জমত আড্ডা। কবি, শিল্পী থেকে শুরু করে ভবঘুরে আড্ডার উন্মুক্ত স্থান ছিল এটি। তবে হুজ্জতও ছিল; নিরাপত্তাকর্মী বা পাঠাগার তত্ত্বাবধায়কেরা মাঝেমধ্যেই এসে আড্ডা দিতে নিষেধ করতেন। তখন কিছুক্ষণের বিরতি। তারপর আবার হয়তো নতুন কোনো আড্ডাবাজ দলবল নিয়ে বসে যেত।
সিঁড়িতে না টিকলেও ক্ষতি নেই তেমন। বকুলঝরা পথ দিয়ে সোজা চলে গেলেই হলো। একেবারে মাথায় ক্যানটিন, যার বাইরে বসবার জায়গা আছে। সেই ক্যানটিনের স্বভাবও প্রায় গণগ্রন্থাগারের মতোই। এর বাইরে বা ভেতরে বসে দীর্ঘ আড্ডায় সাধারণত কোনো বাধা আসত না। শেষ দিকে এর কিছুটা ব্যত্যয় দেখা দিয়েছিল। বাণিজ্যিক দুনিয়ায় পুঁজির চাপে এর অন্যথাও তো হওয়ার কথা নয়। বরং এত দীর্ঘ সময় যে এটি এমনভাবে উদার থাকল, তাই-বা কম কী।
এই ক্যানটিন থেকে বাম দিকে শওকত ওসমান মিলনায়তনের মধ্যকার সবুজ প্রাঙ্গণটি অন্যরকম এক ভালো লাগা তৈরি করে। কত দীর্ঘ দুপুর ও বিকেল যে এখানে কেটেছে! বিকেল থেকেই শুরু হতো মিলনায়তন ঘিরে নানা তৎপরতা। হয়তো কোনো গানের অনুষ্ঠান আছে, অথবা আছে কোনো নাটকের শো, কিংবা স্বল্পদৈর্ঘ্য বা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী। আলোচনা সভাও হতো নিয়মিত। বিকেল থেকেই গমগম করত গোটা প্রাঙ্গণ।
শিশু থেকে বৃদ্ধ—সব বয়সী মানুষের পদচারণে মুখর ছিল যে প্রাঙ্গণ, তা এখন ভাঙা ইট-পাথর ও ধুলার রাজত্ব। এখনো মুখর সেই প্রাঙ্গণ, তবে তা হাতুড়ির শব্দে। প্রায় প্রতিদিনই বাইরে থেকে এই ধ্বংসযজ্ঞের শব্দ কানে আসে। ধুলার অত্যাচারে শ্বাস জানান দেয় কিছু একটা ভেঙে পড়ছে। সেদিন ভেতরে ঢুকে পুরো বিষয়টা দেখার ইচ্ছা হলো। দেখা গেল শওকত ওসমান মিলনায়তনের এক পাশ ভেঙে ফেলা হয়েছে এরই মধ্যে। জমে থাকা বর্জ্য সরাতে কাজ করা হচ্ছে। ক্যানটিন ও মিলনায়তনের মাঝখানের প্রাঙ্গণটায়, যেখানে আগে বিশেষত তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল, সেখানে দেখা গেল এক তরুণী বসে আছেন পা দুলিয়ে। বিষণ্ন তাঁর চোখ। নিজের ভেতরে চলতে থাকা নানা ভাবনার ছাপ যেন তাঁর চোখেও দেখা গেল। তাঁর পায়ের তলায়ও যেন বকুল পিষে গেছে অজ্ঞাতে; তাই কী মন খারাপ?
ফিরে এসে আবার সেই সিঁড়ির সামনে দাাঁড়নো গেল। কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা শুধু। গোটা কয় ছবি তোলা হলো। মনের ভেতর একটা মোচড় দিয়ে উঠল। বামে তাকাতেই দেখা গেল স্মৃতিময় শিশু-কিশোর পাঠকক্ষটি ভেঙে ফেলা হয়েছে, যেখানে কেটেছে শৈশব-কৈশোরের আশ্চর্য সুন্দর কিছু সময়। স্কুল পালিয়ে কত কী করে মানুষ! আমারা দুই-তিনজন ছিলাম, যাঁরা পালিয়ে আসতাম এই পাঠাগারে। পাশের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা চারুকলায় যাওয়া শুরুও সে সময়েই। কিংবা চলে যেতাম বাংলাবাজার, নীলক্ষেত, পল্টন, গুলিস্তানের বইয়ের দোকানগুলোয়। বইয়ের পোকা ছিল মাথায়। সিনেমা দেখা বা রমনা উদ্যানে ঘুরে বেড়ানো—সে-ও ছিল।
সে যাক। সিঁড়িটি বাদ রেখে মূল ভবনের পেছনের দিকটা ভাঙা হচ্ছে। যাঁরা ভাঙছেন, তাঁদেরও কি মন টানছে না তবে? তাঁদেরও কি কিছু জড়িয়ে আছে এর সঙ্গে? নাকি এ নিছক কল্পনা?
ছবি তুলতে দেখে আশপাশে ভাঙার কাজে মত্ত পরিশ্রান্ত শ্রমিকেরা আমাকে দেখার ছলেই একটু জিরিয়ে নিচ্ছেন দেখা গেল। এগিয়ে যেতেই হেসে তাকালেন বয়স্ক একজন। নাম আলতাফ হোসেন। জানালেন, বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন। জানতে চাইলাম, কত দিন লাগবে ভাঙতে? হাসলেন। বললেন, ‘তা এক সপ্তাহের মধ্যেই হয়া যাইব।’ মন কেমন করল! কিছুক্ষণ চুপ থেকে আলতাফ হোসেন বললেন, ‘সিঁড়িটা সুন্দর।’ হয়তো আমাকে দূর থেকে সিঁড়ির আশপাশে ঘুরঘুর করতে দেখেই এমনটা বললেন, হয়তো না। দেখা গেল, পরিশ্রান্ত শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন ততক্ষণে সেই সিঁড়িতে গিয়ে বসেছেন। লাল-সাদা সেই আইকনিক সিঁড়ি; ভেঙে যাওয়ার আগেও যে পরিশ্রান্ত ক্লান্ত মানুষদের আশ্রয় দিতে ভুলছে না।
কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে গেলাম। কে জানে, এটাই হয়তো শেষবারের মতো এই সিঁড়ি ভাঙা। মাথার ভেতরে তখন সঞ্জীব চৌধুরী গাইছেন—‘তুমি সিঁড়ি ভাঙো/ কত সিঁড়ি ভাঙো/ ভেঙে ফেলেছ কি স্বপ্নের সিঁড়ি?’ সঞ্জীব সম্পূর্ণ অন্য ভাবনা থেকে গেয়েছেন হয়তো, কিন্তু কেমন মিলে গেল। এ সিঁড়ি তো স্বপ্নেরও। যেকোনো গ্রন্থাগারের সিঁড়িই তা-ই। সে হিসেবে বেশ খাপ খেয়ে যায় সঞ্জীবের গানটি। এ সিঁড়ি আক্ষরিক অর্থেই ভাঙা হবে। এই তো আর কয়েকটি দিন।

রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১ মিনিট আগে
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
১৭ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিল আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবি আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
২৮ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল এবং প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম। প্যাগোডার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আজ রোববার রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুসংঘ এবং রাজবন বিহারের উপাসক উপাসিকা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আজ সকালে রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলকে সংবর্ধনা দেয় এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

পুণ্যার্থীদের দানের টাকায় ২০১৪ সালে রাঙামাটির রাজবন বিহারের পশ্চিম পাশে মাঠে শুরু হয় প্যাগোডার নির্মাণকাজ। রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশে এটি হবে সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ প্যাগোডা। রাজবন বিহার এই প্যাগোডার নাম দিয়েছে রাজবন বিহার বিশ্বশান্তি প্যাগোডা।

রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল এবং প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম। প্যাগোডার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আজ রোববার রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষুসংঘ এবং রাজবন বিহারের উপাসক উপাসিকা পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
আজ সকালে রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলকে সংবর্ধনা দেয় এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

পুণ্যার্থীদের দানের টাকায় ২০১৪ সালে রাঙামাটির রাজবন বিহারের পশ্চিম পাশে মাঠে শুরু হয় প্যাগোডার নির্মাণকাজ। রাজবন বিহার কর্তৃপক্ষ জানায়, নির্মাণকাজ শেষ হলে বাংলাদেশে এটি হবে সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ প্যাগোডা। রাজবন বিহার এই প্যাগোডার নাম দিয়েছে রাজবন বিহার বিশ্বশান্তি প্যাগোডা।

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
১৭ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিল আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবি আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
২৮ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেকিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপিকে যদি রাজপথে নামতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ রোববার কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভার মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারদুষ্ট আচরণ কখনো প্রত্যাশা করি না।
‘তারা যদি তাদের জায়গা থেকে স্বাধীন-স্বকীয়তা প্রদর্শন না করতে পারে, তাহলে আগামীর নির্বাচনে তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে পারব না। আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। এনসিপির প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। আমরা এটাও মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এককভাবে বিএনপি এবং জামায়াত তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে তরুণ প্রজন্মের এনসিপির অংশগ্রহণ আবশ্যক।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ বাস্তবতায় আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ায় এনসিপিসহ তরুণদের অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। সেই জন্য জুলাই সনদ নিয়ে আমরা আমাদের আপসহীন অবস্থান ব্যক্ত করেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন জুলাই সনদের প্রশ্নে নিশ্চয়তার যেটি প্রয়োজন ছিল, সেই নিশ্চয়তার প্রসেসিং কীভাবে হবে, কবে হবে—সেটি ঠিক না করে শুধুমাত্র নির্বাচনমুখী আচরণ করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল; তখন এনসিপি তাদের জায়গা থেকে মেরুদণ্ড সোজা করে নিশ্চয়তা চেয়েছে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন সেই আদেশ জারি করা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এবং গণভোটে যদি জুলাইয়ের পক্ষে রায় আসে, তখন কোনো নোট অব ডিসেন্টকে বিবেচনা করা হবে না—এই নিশ্চয়তা যখন আসবে, তখন জনগণের পক্ষে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। এনসিপি কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া একটি কাগজে স্বাক্ষর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না।’
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এনসিপি শুধু আগামী নির্বাচনে কয়েকটি সিটের জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য জোট করার জন্য কাজ করছে না। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কার বাস্তবায়নে কমিটেড থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ করতে কমিটেড থাকে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কমিটেড থাকে, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমিটেড থাকে, তাহলে ওই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স হতে পারি।’
প্রশাসন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘প্রশাসনে ঘুরেফিরে এখন পর্যন্ত যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউ বিএনপিপন্থী আচরণ করেন, কেউ জামায়াতপন্থী আচরণ করেন, কেউ পূর্বের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বলে ওই পন্থী আচরণ করেন। বিশেষ করে যাঁরা ইউএনও আছেন, ওসি আছেন, তাঁদের আচরণটা দলীয় আচরণ আসে। তাঁরা বিভিন্ন দলীয় ইউএনও, দলীয় ওসি হয়ে উঠতে চান। আমাদের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাঁরা আছেন, তাঁরাও দলীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হয়ে উঠতে চান।
‘মন্ত্রণালয়ে কিছু সচিব আছেন, তাঁরা দলীয় সচিব হয়ে উঠতে চান। আমরা তাঁদের স্পষ্ট করে বলি, এবার তাঁরা অনেকটাই পার পেয়ে গিয়েছে। কারণ, এই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের আগে ছিল না। কিন্তু আগামীতে যদি তাঁরা এই আচরণ বহাল রাখেন, আর আমাদের আবার এই রকম একটা বড় ঘটনার দিকে যেতে হয়, তখন কেউ আর বিন্দুমাত্র আশ্রয় পাবেন না, প্রশ্রয় পাবেন না। আমি অনুরোধ করব আপনাদের যে আপনারা দলীয় প্রশাসন না হয়ে ওঠেন। আপনারা বাংলাদেশের প্রশাসন হয়ে উঠুন। বাংলাদেশের মানুষের হয়ে উঠুন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা রাজপথের যোদ্ধা ছিল, শহীদ পরিবাররা ছিল, তাদের এখন হুমকি দেয়। হুমকি দেয় কারা—যারা ’২৪-এ আমাদের এই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছিল, গুলি ছুড়েছিল। তারা এখন টাকার বিনিময়ে, তারা এখন বিভিন্ন নেগোসিয়েশনের বিনিময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পেছন থেকে আঁতাত করে, ক্ষমতায় থাকা প্রশাসনের কিংবা বিচার বিভাগে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে, তারা জামিন নিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি এই বিষয়ে কঠোর না হন, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আপনারা নিশ্চিত করতে পারবেন না, নির্বাচন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। এই কথাটা দিয়ে আপনারা এই দিকে টানবেন না যে নির্বাচনে অনিশ্চয়তার কথা বলেছে; তার মানে এনসিপি বলে নির্বাচন পেছাতে চায়। না। এটা হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতা।
‘যদি আমার একজন আহত যোদ্ধা, আমার একজন শহীদ পরিবারের ওপরে এই ধরনের আক্রমণ হয় এবং অনিরাপত্তায় ভোগে, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হবে।’
আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল এবং কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহ। এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপিকে যদি রাজপথে নামতে হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ রোববার কিশোরগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জেলা ও উপজেলা কমিটির সমন্বয় সভার মধ্যাহ্ন বিরতিতে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘আইনগতভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তাদের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাচারিতা করছে এবং পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাচারদুষ্ট আচরণ কখনো প্রত্যাশা করি না।
‘তারা যদি তাদের জায়গা থেকে স্বাধীন-স্বকীয়তা প্রদর্শন না করতে পারে, তাহলে আগামীর নির্বাচনে তাদের ওপর আমাদের আস্থা রাখতে পারব না। আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি এবং জামায়াত এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গায় তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। এনসিপির প্রতিনিধিত্ব আবশ্যক। আমরা এটাও মনে করি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এককভাবে বিএনপি এবং জামায়াত তাদের জায়গা থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। সেই জায়গা থেকে তরুণ প্রজন্মের এনসিপির অংশগ্রহণ আবশ্যক।’
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশ বাস্তবতায় আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক উত্তরণের যে প্রক্রিয়া, সেই প্রক্রিয়ায় এনসিপিসহ তরুণদের অংশগ্রহণ অতীব জরুরি। সেই জন্য জুলাই সনদ নিয়ে আমরা আমাদের আপসহীন অবস্থান ব্যক্ত করেছি। অন্যান্য রাজনৈতিক দল যখন জুলাই সনদের প্রশ্নে নিশ্চয়তার যেটি প্রয়োজন ছিল, সেই নিশ্চয়তার প্রসেসিং কীভাবে হবে, কবে হবে—সেটি ঠিক না করে শুধুমাত্র নির্বাচনমুখী আচরণ করে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল; তখন এনসিপি তাদের জায়গা থেকে মেরুদণ্ড সোজা করে নিশ্চয়তা চেয়েছে এবং জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যেদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, যেদিন সেই আদেশ জারি করা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এবং গণভোটে যদি জুলাইয়ের পক্ষে রায় আসে, তখন কোনো নোট অব ডিসেন্টকে বিবেচনা করা হবে না—এই নিশ্চয়তা যখন আসবে, তখন জনগণের পক্ষে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব। এনসিপি কোনো নিশ্চয়তা ছাড়া একটি কাগজে স্বাক্ষর করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে না।’
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এ মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘এনসিপি শুধু আগামী নির্বাচনে কয়েকটি সিটের জন্য সংসদে যাওয়ার জন্য জোট করার জন্য কাজ করছে না। এনসিপি মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের জায়গা থেকে জুলাই সনদের প্রত্যেকটি সংস্কার বাস্তবায়নে কমিটেড থাকে, বিচারিক প্রক্রিয়াকে ধারাবাহিকভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ করতে কমিটেড থাকে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কমিটেড থাকে, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমিটেড থাকে, তাহলে ওই নির্বাচনে তাদের সঙ্গে অ্যালায়েন্স হতে পারি।’
প্রশাসন সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘প্রশাসনে ঘুরেফিরে এখন পর্যন্ত যাঁরা আছেন, তাঁরা কেউ বিএনপিপন্থী আচরণ করেন, কেউ জামায়াতপন্থী আচরণ করেন, কেউ পূর্বের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল বলে ওই পন্থী আচরণ করেন। বিশেষ করে যাঁরা ইউএনও আছেন, ওসি আছেন, তাঁদের আচরণটা দলীয় আচরণ আসে। তাঁরা বিভিন্ন দলীয় ইউএনও, দলীয় ওসি হয়ে উঠতে চান। আমাদের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার যাঁরা আছেন, তাঁরাও দলীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার হয়ে উঠতে চান।
‘মন্ত্রণালয়ে কিছু সচিব আছেন, তাঁরা দলীয় সচিব হয়ে উঠতে চান। আমরা তাঁদের স্পষ্ট করে বলি, এবার তাঁরা অনেকটাই পার পেয়ে গিয়েছে। কারণ, এই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের মানুষের আগে ছিল না। কিন্তু আগামীতে যদি তাঁরা এই আচরণ বহাল রাখেন, আর আমাদের আবার এই রকম একটা বড় ঘটনার দিকে যেতে হয়, তখন কেউ আর বিন্দুমাত্র আশ্রয় পাবেন না, প্রশ্রয় পাবেন না। আমি অনুরোধ করব আপনাদের যে আপনারা দলীয় প্রশাসন না হয়ে ওঠেন। আপনারা বাংলাদেশের প্রশাসন হয়ে উঠুন। বাংলাদেশের মানুষের হয়ে উঠুন।’
সারজিস আলম বলেন, ‘জুলাইয়ে যারা রাজপথের যোদ্ধা ছিল, শহীদ পরিবাররা ছিল, তাদের এখন হুমকি দেয়। হুমকি দেয় কারা—যারা ’২৪-এ আমাদের এই সহযোদ্ধাদের ওপর হামলা করেছিল, গুলি ছুড়েছিল। তারা এখন টাকার বিনিময়ে, তারা এখন বিভিন্ন নেগোসিয়েশনের বিনিময়ে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পেছন থেকে আঁতাত করে, ক্ষমতায় থাকা প্রশাসনের কিংবা বিচার বিভাগে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আঁতাত করে, তারা জামিন নিয়ে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট যাঁরা আছেন, তাঁরা যদি এই বিষয়ে কঠোর না হন, তাহলে আগামীর বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা আপনারা নিশ্চিত করতে পারবেন না, নির্বাচন একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাবে। এই কথাটা দিয়ে আপনারা এই দিকে টানবেন না যে নির্বাচনে অনিশ্চয়তার কথা বলেছে; তার মানে এনসিপি বলে নির্বাচন পেছাতে চায়। না। এটা হচ্ছে বর্তমান বাস্তবতা।
‘যদি আমার একজন আহত যোদ্ধা, আমার একজন শহীদ পরিবারের ওপরে এই ধরনের আক্রমণ হয় এবং অনিরাপত্তায় ভোগে, তাহলে আগামীতে পরিস্থিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হবে।’
আহনাফ সাঈদ খানের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) খায়রুল কবির ও সাঈদ উজ্জ্বল এবং কেন্দ্রীয় সদস্য দিদার শাহ। এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিল আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবি আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
২৮ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেশরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিল আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবি আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই যুবকের মৃত্যুর খবর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহত কালামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তাঁর ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবি আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিল। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আসো। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর শুনি—মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ও-ই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিলেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেওয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতিমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’

শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিল আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবি আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এই যুবকের মৃত্যুর খবর পৌঁছালে গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।
নিহত কালামের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট ছিলেন তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায়। গ্রামে থাকা ভাইদের সংসারের জন্যও নিয়মিত টাকা পাঠাতেন তিনি।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে তাঁর ওপর পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

আবুল কালামের ভাবি আসমা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে ফোনে কথা হইছিল। আমি বলছিলাম, ভাইয়ের সাথে কথা বলো, বাড়িতে চলে আসো। সে বলেছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই আসবে। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর শুনি—মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে মারা গেছে!’
সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসমা বলেন, ‘আমাদের সংসারের হাল ও-ই ধরেছিল। এখন ওর সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।’
ছোটবেলা থেকেই কালাম পরিশ্রমী ছিলেন বলে জানান তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার। তিনি বলেন, ‘সংসারের বোঝা একা কাঁধে নিয়েছিল সে। হঠাৎ এমন মৃত্যুকে মেনে নেওয়া কঠিন।’
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা ইতিমধ্যে খবর পেয়েছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১ মিনিট আগে
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
১৭ মিনিট আগে
জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩৬ মিনিট আগেভোলা প্রতিনিধি

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

জিনের বাদশাহ সেজে প্রতারণার অভিযোগে মো. জাহাঙ্গীর মাঝি (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর মাঝি লালমোহন উপজেলার চর কালাই দাস গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগর মাঝির ছেলে।
তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮-এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জাহাঙ্গীর মাঝি ও মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন মীর নামের দুজনসহ কয়েকজন প্রতারক জিনের বাদশাহ সেজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছিলেন। সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. দিদারুল আলম (৪০) নামের এক ব্যক্তি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে তাঁদের দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বললে প্রতারকেরা বিভিন্ন কৌশলে তাঁর সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এর জন্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশে ৫৩ লাখ ৫ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন। পরে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী দিদারুল আলম চট্টগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ফটিকছড়ি থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার শাহরিয়ার রিফাত অভি বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার মানিকার হাটবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করি। আমরা এর আগে ১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক কামাল উদ্দিনকেও গ্রেপ্তার করি। অন্য প্রতারকদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এই গণগ্রন্থাগারের সিঁড়ি তো বিখ্যাত হয়ে আছে নব্বইয়ের দশকে বিটিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকের কল্যাণে। এর সিঁড়িতে বসে তৌকীর আহমেদ, বিপাশা হায়াত, জাহিদ হাসান, শমী কায়সারেরা কত যে প্রেম করেছেন। গ্রন্থাগারের পাঠকক্ষে বই সরাতে গিয়ে কত নায়ক-নায়িকার চার চোখের মিলন হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
২৩ মে ২০২২
রাঙামাটির রাজবন বিহারে নির্মাণাধীন সবচেয়ে বড় প্যাগোডার কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছেন থাইল্যান্ডের স্থাপত্য শিল্পী ড. সুচাই সিরিরাভেকুল ও প্রকৌশলী চাইয়াত সাতরাকুম।
১ মিনিট আগে
আমরা মনে করি, তাদের নিরপেক্ষতা কাজে এবং কথার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। যদি এনসিপিকে শাপলা প্রতীক পেতে রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হয়, তাহলে এনসিপি ওই স্বেচ্ছাচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনেও যাবে।
১৭ মিনিট আগে
শরীয়তপুরের আবুল কালাম চোকদারের সঙ্গে বাড়ির লোকজনের শেষবারের মতো কথা হয়েছিল আজ রোববার দুপুরে। বেলা ১১টার দিকে ভাবি আসমা বেগমকে তিনি জানিয়েছিলেন, কয়েক দিন পরই বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু ফেরা আর হলো না তাঁর। মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড তাঁর প্রাণ কেড়ে নিল। রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বেসরকারি
২৮ মিনিট আগে