Ajker Patrika

মুন্সিগঞ্জে তেলের পাম্পের ট্যাংক থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২: ৪৮
Thumbnail image
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে এক ফিলিং স্টেশনের তেলের ট্যাংক থেকে জুনায়েত (১২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় উপজেলার হাঁসাড়া এলাকার ওই ফিলিং স্টেশনের ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নিহত জুনায়েদ উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার নুর হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানায়, শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাব্বির আহমেদ নাসিমের মালিকানাধীন ফিলিং স্টেশনটি প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ ছিল। এটি পুনরায় চালু করার জন্য কয়েক দিন ধরে ট্যাংক পরিষ্কারের কাজ চলছিল। রোববার রাতে পাম্পের লোকজন পরিষ্কার কাজ করার সময় ট্যাংকের ভেতরে একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিস এসে মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরে লাশটি শনাক্ত করে জুনায়েতের পরিবারের লোকজন।

তবে কীভাবে জুনায়েতের মরদেহ তেলের ট্যাংকে গেল সে বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে উদ্ধার কাজে করার সময় রাত ১০টার দিকে ট্যাংকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে রাসেল (২২) নামের এক দমকলকর্মীসহ ৫ জন অসুস্থ হয়ে যায়। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তেলের ট্যাংকিতে শিশুর মরদেহের খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। তবে ট্যাংকিতে প্রচুর গ্যাস জমে থাকায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়। রাত ১০টার দিকে বিস্ফোরণে আমাদের কয়েকজন আহত হয়। পরে আবারও চেষ্টায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

পুলিশ নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, ওই পাম্পে আলমপুর এলাকার রাহাত (১২) নামে এক শিশু কাজ করত। রাহাতের সঙ্গে জুনায়েতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। জুনায়েত প্রায় পাম্পে গিয়ে রাহাতের সঙ্গে খেলা করত। জুনায়েত পাম্পে কাজও করতে চেয়েছিল। তবে পরিবার কাজ করতে নিষেধ করে। ঘটনার পর থেকে শিশু রাহাতকে সোমবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ওসি কাইয়ুম উদ্দীন চৌধুরী সোমবার সকালে বলেন, ওই তেলের ট্যাংকিতে তিনটি মুখ ছিল। এর মধ্যে এই একটি মুখ খোলা ছিল। ওই ট্যাংকিটি ২০ ফুট গভীর। সেখানে প্রায় ৭ ফুটের মতো তেল ছিল। ট্যাংকির কূপের সঙ্গে রশি দিয়ে একটি বালতি ঝোলানো ছিল। সেখানেই জুনায়েতের মরদেহ পাওয়া গেছে। জুনায়েতের পরিচিত রাহাতকে এখনো পাওয়া যায়নি। জুনায়েতের শরীরে ছোট, কাটা-ছেঁড়ার জখম আছে। সে কীভাবে ট্যাংকিতে গেল কীভাবে এবং কী ঘটেছিল সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, গত পরশু (শুক্রবার) বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় জুনায়েত। এ বিষয়ে পরিবারের লোকজন থানায় কোনো অভিযোগ, সাধারণ ডায়েরিও করেনি। লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সব বিষয়ে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত