Ajker Patrika

ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে জাবি ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

জাবি প্রতিনিধি 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ মিনারের পাদদেশে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাঁরা ঢাবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগসহ নিরাপদ শিক্ষাঙ্গনের দাবি জানান।

অবস্থান কর্মসূচিতে শাখা ছাত্রদলের সদস্য মো. শেখ সাদী হাসান বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে যদি আমাদের ভাই-বন্ধু ও সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে হয়, তাহলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে নতুন কী পেলাম? অবিলম্বে প্রত্যেকটি হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

শেখ সাদী হাসান আরও বলেন, ‘দেশের সব ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডের পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ জন্য আমরা মনে করি, তিনি প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকার অধিকার হারিয়েছেন।’

জাবি শাখা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আফফান আলী বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি। আমাদের সহযোদ্ধারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু গত জুলাই আন্দোলনে বাংলাদেশের আপামর মানুষের সঙ্গে যখন রাজপথে রক্ত দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনাকে সরিয়েছিলাম, তখন বিশ্বাস করতে পেরেছিলাম, বাংলাদেশে হাসিনার সময়ের মতো হয়তো আর রক্ত দেওয়া লাগবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি, কিছু দিন আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল কর্মী পারভেজকে হত্যা করা হয়েছে। আবার সাম্যকে হত্যা করা হলো।’

আফফান আলী আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় উপাচার্য ও প্রক্টরকে তাঁদের চেয়ার থেকে সরে যেতে হবে।’

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হচ্ছে একজন ছাত্রের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। এই পবিত্র স্থানে আমাদের ভাই সাম্যকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে সাম্য হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত