Ajker Patrika

চালের অনিয়মের ভিডিও করায় নেতাকে মারধর, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভিজিএফের চাল বিতরণে ওজনে কারসাজির ভিডিও ধারণ করায় ওই নেতাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

মারধরের শিকার হওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব বিকেলে করিমগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরিব ও দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য সরকার জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দিয়েছে। এই চাল বিতরণ সঠিকভাবে বণ্টন হচ্ছে কি না, তা তদারকি করার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা-কর্মীদের দলীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এই নির্দেশনা অনুযায়ী, করিমগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভিজিএফ চালের ১০ কেজির ওজন সঠিক আছে কি না, তা তদারকি করতে যান ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়ন থেকে চাল নিয়ে বের হওয়ার সময় কয়েকজনের চাল মেপে দেখা যায়, ১০ কেজির জায়গায় কাউকে ৭ কেজি, আবার কাউকে ৮ কেজি করে দেওয়া হচ্ছে।

ওজনে কারসাজির এ ঘটনাটি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারি মো. হাবিবুল্লাহ হাবিব তাঁর মোবাইল ফোনে ধারণ করছিলেন। তা দেখে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের নির্দেশে তাঁর ৮-৯ জন লোক ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের ওপর চড়াও হন। এ সময় তাঁদের ঘিরে রেখে ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ হাবিবকে চড়-থাপ্পড় মারেন। তাঁর নাক-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেন এবং পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলেন।

একজন সংবাদকর্মী ওই ঘটনার স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করার সময় তাঁকেও ইউপি চেয়ারম্যান মারধর করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মানববন্ধন করে চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে দলটি। উপজেলা সদরে এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসেন তালুকদার।

অভিযোগের ব্যাপারে নোয়াবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে ছিলাম। মারধরের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। এ ছাড়া ভিজিএফের চাল সঠিকভাবে ১০ কেজি করে বিতরণ করা হয়েছে। কাউকে ওজনে কম দেওয়া হয়নি।’

এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহবুব মোরশেদ জানান, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই এখন, সারজিসকে বললেন সেনা কর্মকর্তা

আজহারুলের আপিলে তাজুলের প্রসিকিউশন টিম, স্বার্থের সংঘাত দেখছেন ডেভিড বার্গম্যানও

জি এম কাদেরের বাসভবনে হামলা: উত্তপ্ত রংপুর, সেনা জিজ্ঞাসাবাদে নেতারা

কক্সবাজারে ‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ নিয়ে নর্থইস্ট নিউজের সংবাদের প্রতিবাদ জানাল সেনাবাহিনী

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় শুধু একটি দল—প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের যে ব্যাখ্যা দিল প্রেস উইং

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত