Ajker Patrika

ডিএনসিসিতে কিউলেক্স মশার ৯২৫ হটস্পট, বেশি সাঁতারকুলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিএনসিসিতে কিউলেক্স মশার ৯২৫ হটস্পট, বেশি সাঁতারকুলে

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) কিউলেক্স মশার প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এই সিটি করপোরেশন এলাকায় কিউলেক্স মশার মোট ৯২৫টি হটস্পট শনাক্ত করা হয়েছে। বেশি হটস্পট শনাক্ত হয়েছে সাঁতারকুলে। সেখানে ছোট বড় জলাশয় মিলিয়ে মোট ৫২৩ বিঘা জায়গায় কিউলেক্স মশা জন্মে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিরপুর। সেখানে ৭৩টি নালা ও ৫২০ বিঘা জলাশয়ে মশা জন্মে। তুলনামূলক কম হটস্পট রয়েছে মোহাম্মদপুরে। সেখানে নালা রয়েছে ৭২ টি, আর জলাশয় রয়েছে ১৬ টি। এরপরেই রয়েছে দক্ষিণখান, এখানে ৪০টি নালা এবং ১৯টি জলাশয় রয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার ডিএনসিসির নগর ভবনে মশক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ডিএনসিসি বহির্ভূত বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের নিয়ে সভায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম এসব তথ্য তুলে ধরেন। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অংশ নেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, মিরপুর ডিওএইচএস, বারিধারা ডিওএইচএস এবং বিভিন্ন আবাসন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। 

কিউলেক্স প্রজাতির মশা কয়েক প্রজাতির পাখি, মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর এক বা একাধিক রোগের ভেক্টর (জীবাণুর বাহক) হিসাবে কাজ করে। এই প্রজাতির মশা যেসব রোগের বাহক এর মধ্যে রয়েছে-আর্বোভাইরাস সংক্রমণ যেমন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, জাপানিজ এনসেফালাইটিস বা সেন্ট লুইস এনসেফালাইটিস। ফাইলেরিয়াসিস এবং এভিয়ান ম্যালেরিয়াও রয়েছে। 

অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মশা নির্মূলে দুটো চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একটি হচ্ছে কিউলেক্স মশার চ্যালেঞ্জ। অন্যটি এডিস মশার। শীত এসে গেলেও রয়ে গেছে এডিস মশা। এর কারণে ডেঙ্গু রোগীর প্রাদুর্ভাব কমছে না।’ 

সিটি করপোরেশনের মধ্যে কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো জায়গা আছে জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসির মধ্যে কিছু সরকারি সংস্থা রয়েছে। যাদের এলাকায় ডিএনসিসির মশক কর্মীরা যেতে পারে না। যার কারণে ওই সব এলাকায় মশার উৎপাদন হচ্ছে। আপনারা জানেন কিউলেক্স মশা আশপাশের তিন কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। তাই মশা নির্মূলে প্রতিটি সংস্থাকে দায়িত্ব নিতে হবে। ডিএনসিসির একার প্রচেষ্টায় মশক মুক্ত শহর গড়া সম্ভব নয়।’ 

ডিএনসিসির নগর ভবনে মশক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক সভায় হটস্পটের চিত্র তুলে ধরা হয়

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে না পারলে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। আমরা মশার ৯২৫টি হটস্পট নির্দিষ্ট করেছি। তার মধ্যে সিটি করপোরেশনের জায়গায় মশার হটস্পট রয়েছে ৫৬১ টি। ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গায় রয়েছে ২৮৮ টি। রাজউকের ৬ টি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১ টি, অন্যান্য আরও ৫৯টি কিউলেক্স মশার হটস্পট রয়েছে।’ 

যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘সুন্দর শহর গড়তে সবাইকে জবাবদিহিমূলক দায়িত্ব নিতে হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ে, সিভিল অ্যাভিয়েশন ও একাধিক বেসরকারি কোম্পানির বিরুদ্ধে কেস করেছি। আগামীদিনেও নাগরিকদের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ সময় হটস্পটের স্থানগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে সাত দিনের সময় বেঁধে দেন মেয়র। 

সভায় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দশটি অঞ্চলে মশা নির্মূলে নিয়মিত কর্মী রয়েছে ৫৫০ জন। এর পাশাপাশি আরও কিছু অনিয়মিত কর্মীসহ সর্বমোট মশক কর্মী রয়েছে এক হাজার জন। এত কম কর্মী নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা অনেক কঠিন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত