Ajker Patrika

টেজার গান দেখতে চেয়ে খুন হন সাম্য: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, ০৫: ৫০
শাহরিয়ার আলম সাম্য। ছবি: সংগৃহীত
শাহরিয়ার আলম সাম্য। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খাবার খেতে গিয়ে মাদক কারবারিদের কাছে ট্রেজার গান (ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মেশিন) নজরে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য। সেই টেজার গান দেখতে চাওয়া নিয়ে তাৎক্ষণিক ধস্তাধস্তিতে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন তিনি।

রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজনকে ঘটনার দিন রাতে এবং পরে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আটজন হলেন রাব্বী, মেহেদী, পাভেল, রিপন, সোহাগ, রবিন, হৃদয় ও সুজন সরদার। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে দুজন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া মেহেদীর সাহায্যে সোহারাওয়ার্দী উদ্যানে তিন নেতার মাজারের পাশ থেকে মাটিচাপা দিয়ে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি সুইস গিয়ার চাকু উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম জানান, এ হত্যাকাণ্ড ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আসামিরা রিমান্ডে আছে জানিয়ে নেপথ্যের কারণ জানার ‘চেষ্টা করবেন’ বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনাটি ‘গুরুত্বের’ সঙ্গে নিয়ে পুলিশের নানা তৎপরতার কথা তুলে ধরেন কমিশনার। জানানো হয়, গত সোমবার সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনকে আদালতে হাজির করলে রিমান্ডে পায় ডিবি। সেদিন রিপন আদালতে দোষ ‘স্বীকার করে’ জবানবন্দি দিয়েছেন এবং সুজন সরকারকে কারাগারে পাঠান আদালত। গতকাল গ্রেপ্তার নাহিদ হাসান পাপেল ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর রাব্বী এবং মেহেদীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

তবে সাম্য হত্যার ঘটনাটিকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে মনে করছেন তাঁর বড় ভাই সরদার আমিরুল ইসলাম সাগর। হত্যাকাণ্ডের ‘কারণ’ না জানতে পেরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের সামনে সাংবাদিকদের কাছে হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ছিলাম, কিন্তু পুলিশের কর্মকাণ্ডে হতাশ। কী কারণে মারল, মোটিভটা কী?’

১৩ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ভিসায় ছয় দেশ

এর জবাব দেশে দিইনি, জাপানে দিলে বিপদ হবে: পদত্যাগ প্রশ্নে ড. ইউনূস

চারটি গুলির পর নিরস্ত্র মেজর সিনহার গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়: অ্যাটর্নি জেনারেল

‘বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতলেও পাকিস্তানের কোনো লাভ হবে না’

বাজে হারের পরও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত