নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাথার ওপর চৈত্রের প্রখর রোদ। চারপাশে মানুষে গিজগিজ করছে। নতুন কেনা চৌকি পেতে তার ওপর কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বিক্রেতারা কেউ কেউ ঘেমে একাকার, রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় ছাতা ধরে তারা হাঁকডাক দিয়ে ক্রেতা খুঁজছেন। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের পুড়ে যাওয়া চার মার্কেটের খোলা স্থানে অস্থায়ীভাবে সকাল থেকে ব্যবসা শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তারই চিত্র এটি।
অনেক ব্যবসায়ী আবার এখনো প্রস্তুতি শেষ করতে পারেননি। তাঁদের কেউ কেউ মাথায় করে চৌকি নিয়ে আসছেন। সমিতির দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় সেই চৌকি পাতছেন। অগ্নিকাণ্ডের আগে যাঁর যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই চৌকি পাতছেন তাঁরা। পাশের আনন্দ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব চৌকি কিনে এনেছেন তাঁরা। একেকটি চৌকির আয়তন লম্বায় ৫ ফুট ও প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট। মানভেদে একেকটি চৌকির দাম পড়েছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। একজন ব্যবসায়ীকে আপাতত একটি চৌকি বসাতে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছেন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটের ২ হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে লুঙ্গি, গেঞ্জি ও শীতের চাদরের দোকান ছিল মো. হালিম মিয়ার। আগুনে পুড়ে তাঁর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। তার পরও নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি। এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগুনে কিছুই বাঁচাতে পারিনি। এখন পার্টির থেকে বাকিতে পণ্য এনে এখানে অস্থায়ীভাবে বসব। ঈদের আগে আমাদের ভালো ব্যবসা হতো। এখন সেটি না হলেও আপাতত খেয়ে-পরে বাঁচার ব্যবস্থা হবে।’
আরেক ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার বলেন, দোকান মালিক সমিতি ও সিটি করপোরেশন আমাদের এখানে অস্থায়ীভাবে বসতে দেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে ৷ তা না হলে ঈদের আগে না খেয়ে মরতে হতো।
মাথার ওপর ছায়া দেওয়ার মতো কিছু না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদ হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আপাতত চৌকি বসানো হচ্ছে ৷ তারপর মালিক সমিতি যদি মাথার ওপর ছায়া দেওয়ার মতো কিছু ব্যবস্থা না করে তাহলে নিজেরাই সেটি করবে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী এই চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরুর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ ঘটনায় ডিএসসিসির পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে মোট ৩ হাজার ৮৪৫ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ২ হাজার ৯৬১ জন। সিগারেটের অবশিষ্টাংশ বা কয়েলের আগুন থেকে মার্কেটে আগুন লাগার কথাও জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
আরও খবর পড়ুন:
মাথার ওপর চৈত্রের প্রখর রোদ। চারপাশে মানুষে গিজগিজ করছে। নতুন কেনা চৌকি পেতে তার ওপর কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বিক্রেতারা কেউ কেউ ঘেমে একাকার, রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় ছাতা ধরে তারা হাঁকডাক দিয়ে ক্রেতা খুঁজছেন। বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের পুড়ে যাওয়া চার মার্কেটের খোলা স্থানে অস্থায়ীভাবে সকাল থেকে ব্যবসা শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তারই চিত্র এটি।
অনেক ব্যবসায়ী আবার এখনো প্রস্তুতি শেষ করতে পারেননি। তাঁদের কেউ কেউ মাথায় করে চৌকি নিয়ে আসছেন। সমিতির দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় সেই চৌকি পাতছেন। অগ্নিকাণ্ডের আগে যাঁর যেখানে দোকান ছিল, সেখানেই চৌকি পাতছেন তাঁরা। পাশের আনন্দ বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসব চৌকি কিনে এনেছেন তাঁরা। একেকটি চৌকির আয়তন লম্বায় ৫ ফুট ও প্রস্থে সাড়ে ৩ ফুট। মানভেদে একেকটি চৌকির দাম পড়েছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। একজন ব্যবসায়ীকে আপাতত একটি চৌকি বসাতে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছেন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটের ২ হাজার ৯৬১ জন ব্যবসায়ী।
বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে লুঙ্গি, গেঞ্জি ও শীতের চাদরের দোকান ছিল মো. হালিম মিয়ার। আগুনে পুড়ে তাঁর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। তার পরও নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি। এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘আগুনে কিছুই বাঁচাতে পারিনি। এখন পার্টির থেকে বাকিতে পণ্য এনে এখানে অস্থায়ীভাবে বসব। ঈদের আগে আমাদের ভালো ব্যবসা হতো। এখন সেটি না হলেও আপাতত খেয়ে-পরে বাঁচার ব্যবস্থা হবে।’
আরেক ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার বলেন, দোকান মালিক সমিতি ও সিটি করপোরেশন আমাদের এখানে অস্থায়ীভাবে বসতে দেওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে ৷ তা না হলে ঈদের আগে না খেয়ে মরতে হতো।
মাথার ওপর ছায়া দেওয়ার মতো কিছু না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদ হোসেন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আপাতত চৌকি বসানো হচ্ছে ৷ তারপর মালিক সমিতি যদি মাথার ওপর ছায়া দেওয়ার মতো কিছু ব্যবস্থা না করে তাহলে নিজেরাই সেটি করবে।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী এই চৌকি বিছিয়ে ব্যবসা শুরুর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
এ ঘটনায় ডিএসসিসির পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে মোট ৩ হাজার ৮৪৫ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের চারটি মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ২ হাজার ৯৬১ জন। সিগারেটের অবশিষ্টাংশ বা কয়েলের আগুন থেকে মার্কেটে আগুন লাগার কথাও জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
আরও খবর পড়ুন:
মাঝনদীতে আটকা পড়া এসব ফেরিতে ১৫টির মতো যাত্রীবাহী বাস আছে। এসব বাসের যাত্রীরা কনকনে শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী বাস এবং শতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে।
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গীতে প্রথম ধাপের বিশ্ব ইজতেমায় ইয়াকুব আলী (৬০) নামের আরেক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইজতেমা ময়দানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। ইয়াকুব আলী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার রাধবপুর গ্রামের নওয়াব উল্লাহ ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর আদাবরে গত বৃহস্পতিবার দিনদুপুরে ছিনতাইকারীদের চাপাতির কোপে সুমন শেখ (২৬) নামে এক যুবকের হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। ভুক্তভোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
১ ঘণ্টা আগেঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই পথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। আজ শনিবার সকাল ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
২ ঘণ্টা আগে