Ajker Patrika

পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩

ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শহিদা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার রাতে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের বর্তমান চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার বাড়ি থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (৫০), আয়নাল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৮), ইদ্রিস আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম। 

ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের মুদি দোকানি শহিদা খাতুনকে বিভিন্ন ধরনের মামলার ভয় দেখানো এবং পুলিশকে টাকা দিতে হবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন স্থানীয় আব্দুল মান্নান, জহিরুল, শফিকুল ও সালাউদ্দিন। টাকা না দিলে তাঁর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়াসহ পরিবারের ক্ষতি করবেন বলেও হুমকি দেন তারা। আতঙ্কে শহিদা খাতুন তাদের ৩০ হাজার টাকাও দিয়েছেন। পরে আরও ৫ হাজার টাকা দাবি করেন জহিরুল। ভয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শহিদা খাতুন।

পুলিশ বলছে, পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবির বিষয়টি পুলিশ জানার পর অভিযুক্তদের খুঁজতে থাকে। পরে সোমবার বিকেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার বাড়িতে অভিযুক্তরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে রয়েছেন জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে মামলা রেকর্ড হলে বুধবার সকালের দিকে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। 

ভুক্তভোগী শহিদা খাতুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মান্নান–জহিরুল গংরা আমাকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। পুলিশকে টাকা না দিলে মামলা হবে, পরিবার নিয়ে চলতে ঝামেলায় পড়তে হবে। এ ছাড়াও নানা ধরনের ক্ষতি করবে বলে জানায়। আমি ভয়ে ধার করে ৩০ হাজার টাকা দিলেও জহিরুল আরও ৫ হাজার টাকা দাবি করে। তখন পরিবার ও নিজেকে বাঁচানোর জন্য থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।’ 

এ বিষয়ে গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, ‘শহিদা খাতুনের ছেলে একজন মাদক কারবারি। নিজেদের বাঁচানোর জন্য সে থানায় অভিযোগ করেছে। পুলিশ যখন প্রথমে ওদের খোঁজ করে এরপর মান্নান, জহিরুলেরা আমার বাড়িতে আসে পরামর্শ করার জন্য। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না। বাড়ি আসতে আসতেই পুলিশ তাদের নিয়ে যায়।’ 

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এলাকার সবাই জানে শহিদা খাতুনের ছেলে একজন মাদক কারবারি। আমি হাজারো মানুষের সামনে বলতে পারব। শহিদা খাতুন মান্নান, জহিরুল গংদের টাকা দেয় তারা যেন বিষয়টি নিয়ে আর কোনো কথা না বলে। পরে নিজের মাদকের ব্যবসা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে। মাসিক সভায় মাদক নিয়ে আর কোনো কথা বলব না। কারণ পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে না।’ 

এ বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) নিউটন মৃধা বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত