আব্দুর রাজ্জাক, (ঘিওর) মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এর অনেক কক্ষেই থেমে নেই পাঠদান। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। অনেক জায়গায় কক্ষসংকটে পুরোনো টিনশেড ঘর কিংবা বারান্দায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাঠে মনোযোগ দিতে পারছে না শিশুরা। দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
উপজেলার বাঠইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একতলা ভবনের বিম ও কলামের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বেরিয়ে এসেছে মরচে ধরা রড। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। গত বছরের অক্টোবরে এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এর দুটি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে আসছিলেন শিক্ষকেরা। তবে চলতি মাসে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খালেদা মঞ্জুর এ খোদা জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এক বছর ধরে প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির শিশুদের ক্লাস নেওয়া বন্ধ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছোট একটি ছাপড়া ঘর এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বারান্দায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
১৯৭৩ সালে নির্মিত এ ভবন পরিদর্শন করা ঘিওর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, বিম ও স্তম্ভে বড় বড় ফাটলের কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে ভবনটিতে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ, মুগ্ধ ও নাবিল জানায়, একতলা ভবনের দুটি রুমে ক্লাস করা যায় না। ছাদ ফেটে গেছে। তাই তারা বারান্দায় ক্লাস করে।
উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিসকক্ষ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে পুরোনো টিনশেড ঘরে শিশুদের ক্লাস নেওয়া হয়। এই ঘরের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে। এখানে কমছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। গত বছর শিক্ষার্থী ছিল ২৭৬ জন। চলতি বছর কমেছে অন্তত ৩০ জন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলে, বৃষ্টি হলে টিনশেড ঘরটিতে পানি পড়ে। নতুন ভবন নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কোনো সুরাহা হয়নি।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘মেয়ে প্রতিদিন বলে অন্য স্কুলে ভর্তি করতে। কিন্তু দূরে যাওয়া আমার জন্য কষ্টকর। তাই বাধ্য হয়ে এখানেই পড়াচ্ছি। প্রায় আড়াই শ ছাত্রছাত্রীর জন্য এখানে মাত্র একটি টয়লেট।’
সাইংজুরী রামেশ্বরপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের তিনটি কক্ষে পাঠদান ও একটি কক্ষে অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বছরখানেক আগে মেরামত করে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনেই চলছে সব কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আজাদ বলেন, ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলেও নতুন ভবন হয়নি। এতে শিশুদের ঝুঁকির মধ্যেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে আসছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিদ্যালয় ভবনগুলোর নির্মাণ খুব বেশি আগে না হলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হওয়ায় বেহাল হয়ে পড়েছে। তাঁরা দ্রুত এসব পরিত্যক্ত ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণে গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির (প্রস্তাবিত সভাপতি আবু সোহেল খান বলেন, ভবন বা শ্রেণি-সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শিশুর শিক্ষার প্রাথমিক ভিত তৈরি হয়। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আখতার বলেন, ‘সাত উপজেলার ৬৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি ভবনকে ঝুঁকি বিবেচনায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। এর মধ্যে ঘিওরে ১৬, সিংগাইরে চার, হরিরামপুর ও সাটুরিয়ায় দুটি করে এবং শিবালয় ও দৌলতপুরে একটি করে রয়েছে। পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, তবে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর গুরুত্ব অনুসারে বিদ্যালয়গুলোতে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এর অনেক কক্ষেই থেমে নেই পাঠদান। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। অনেক জায়গায় কক্ষসংকটে পুরোনো টিনশেড ঘর কিংবা বারান্দায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে পাঠে মনোযোগ দিতে পারছে না শিশুরা। দিন দিন কমে যাচ্ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
উপজেলার বাঠইমুড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একতলা ভবনের বিম ও কলামের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বেরিয়ে এসেছে মরচে ধরা রড। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। গত বছরের অক্টোবরে এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এর দুটি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে আসছিলেন শিক্ষকেরা। তবে চলতি মাসে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খালেদা মঞ্জুর এ খোদা জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এক বছর ধরে প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির শিশুদের ক্লাস নেওয়া বন্ধ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছোট একটি ছাপড়া ঘর এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বারান্দায় ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
১৯৭৩ সালে নির্মিত এ ভবন পরিদর্শন করা ঘিওর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, বিম ও স্তম্ভে বড় বড় ফাটলের কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে ভবনটিতে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ, মুগ্ধ ও নাবিল জানায়, একতলা ভবনের দুটি রুমে ক্লাস করা যায় না। ছাদ ফেটে গেছে। তাই তারা বারান্দায় ক্লাস করে।
উভাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনে তিনটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি অফিসকক্ষ রয়েছে। শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে পুরোনো টিনশেড ঘরে শিশুদের ক্লাস নেওয়া হয়। এই ঘরের দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে। এখানে কমছে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা। গত বছর শিক্ষার্থী ছিল ২৭৬ জন। চলতি বছর কমেছে অন্তত ৩০ জন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন বলে, বৃষ্টি হলে টিনশেড ঘরটিতে পানি পড়ে। নতুন ভবন নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে কোনো সুরাহা হয়নি।
বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘মেয়ে প্রতিদিন বলে অন্য স্কুলে ভর্তি করতে। কিন্তু দূরে যাওয়া আমার জন্য কষ্টকর। তাই বাধ্য হয়ে এখানেই পড়াচ্ছি। প্রায় আড়াই শ ছাত্রছাত্রীর জন্য এখানে মাত্র একটি টয়লেট।’
সাইংজুরী রামেশ্বরপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের তিনটি কক্ষে পাঠদান ও একটি কক্ষে অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ছাদ ও দেয়ালে ফাটল ধরে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বছরখানেক আগে মেরামত করে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনেই চলছে সব কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম আজাদ বলেন, ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হলেও নতুন ভবন হয়নি। এতে শিশুদের ঝুঁকির মধ্যেই ক্লাস নিতে হচ্ছে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে আসছে।
শিক্ষকদের অভিযোগ, বিদ্যালয় ভবনগুলোর নির্মাণ খুব বেশি আগে না হলেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হওয়ায় বেহাল হয়ে পড়েছে। তাঁরা দ্রুত এসব পরিত্যক্ত ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণে গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির (প্রস্তাবিত সভাপতি আবু সোহেল খান বলেন, ভবন বা শ্রেণি-সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশুরা। অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শিশুর শিক্ষার প্রাথমিক ভিত তৈরি হয়। শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবন নির্মাণ করা জরুরি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিনা আখতার বলেন, ‘সাত উপজেলার ৬৫০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৬টি ভবনকে ঝুঁকি বিবেচনায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। এর মধ্যে ঘিওরে ১৬, সিংগাইরে চার, হরিরামপুর ও সাটুরিয়ায় দুটি করে এবং শিবালয় ও দৌলতপুরে একটি করে রয়েছে। পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে, তবে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর গুরুত্ব অনুসারে বিদ্যালয়গুলোতে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
খুলনায় দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে এস এম সাজিদ হাসান (২২) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। রোববার (১৫ জুন) রাত ৯টার দিকে নগরীর ময়লাপোতা মোড় সংলগ্ন খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। একই সময়ে ময়লাপোতা সোনাপোতা স্কুলের বিপরীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন নয়ন শেখ (২২) নামে এক
৬ মিনিট আগেবরিশালে বিএনপির বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় রোববার তোপের মুখে পড়েছেন জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান। আওয়ামীঘেঁষা নেতাদের দলে যুক্ত করার চেষ্টা করায় কেন্দ্রীয় টিম তাঁকে ভর্ৎসনা করেছেন। এদিকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির একাংশ বর্তমান কমিটিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং অকার্যকর দাবি করে তা ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি
১ ঘণ্টা আগেআসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোসহ ৩ দফা দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টায় নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকার বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা আগামী ২৬ জুনের এইচএসসি পরীক্ষা ২ মাস পেছনোর দাবি জানায়।
২ ঘণ্টা আগেনরসিংদীর পলাশে শোডাউনকে কেন্দ্র করে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের সমর্থক ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে ইসমাইল হোসেন (২৬) নামের এক ছাত্রদলের কর্মী গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে