Ajker Patrika

ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ২৭
ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত 

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে চারজনের করা আপিল মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এম এ আউয়াল জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর এই আদেশ দেন।

অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

ড. ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্যারিস্টার মামুন বলেন, ‘মঙ্গলবার ড. ইউনুসসহ চারজন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন স্থায়ী করার আবেদন করেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল জামিন স্থায়ী না করে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন বর্ধিত করেন। একই সঙ্গে ওই দিন আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন।’

জামিন স্থায়ী না করার বিষয়ে ব্যারিস্টার মামুন শুনানি শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনুসকে টার্গেট করে হয়রানি করে যাচ্ছে সরকার। জামিন স্থায়ী না করাই হচ্ছে তার বড় প্রমাণ।

গত ৩ মার্চ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এম এ আউয়াল জামিনের মেয়াদ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য একই দিন ধার্য করেন। 

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি এই চারজনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল ৩ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন ড. ইউনুসসহ চারজনকে।

এই মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকেই এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এই মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের অভিযোগ আনা হয়।

আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত