Ajker Patrika

ব্রয়লার কিনতে হিমশিম, কমেছে বিক্রি

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৪: ৫২
ব্রয়লার কিনতে হিমশিম, কমেছে বিক্রি

মাদারীপুরের শিবচরে দাম বাড়ায় ব্রয়লার মুরগি কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। উপজেলার বাজারগুলোতে কমেছে মুরগি বেচাকেনা। বেশির ভাগ দোকানে এখন মুরগির পরিমাণ কম দেখা যাচ্ছে। বিক্রি কম থাকায় ব্যবসায়ীরাও ফার্ম থেকে মুরগি আনা কমিয়ে দিয়েছেন।

উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ব্রয়লার মুরগির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ দোকানে মুরগির সংখ্যা কম। বিক্রিও কম হচ্ছে। অনেকে দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন। অধিক প্রয়োজন ছাড়া ব্রয়লার মুরগি এড়িয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

গ্রামের বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৩০ থেকে ৩৫০ এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা করে। এ ছাড়া দেশি মুরগির দাম আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে ব্রয়লারসহ সব মুরগির দাম বাড়ায় গ্রাম পর্যায়ের হাটবাজারে বিক্রি কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা। মুরগির পাশাপাশি গরুর মাংস, মাছ এবং সবজির বাজারও চড়া। আসন্ন রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভোক্তারা। ক্রমাগত দাম বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাত্রার মান ধরে রাখা কষ্টকর হয়ে পড়বে বলে সাধারণ মানুষ জানান।

শিবচরের পাঁচ্চরে বাজার করতে আসা ফয়জুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘মাংস খেতে ইচ্ছে করলেই মুরগি কিনতাম। কারণ গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি। ফার্মের মুরগি ঘরের বাচ্চারাও পছন্দ করত। সেই মুরগির দাম এখন ২৫০ টাকা কেজি! বাচ্চারা মাংস খেতে চায়, কিন্তু এই দামে মুরগি কেনার সাধ্য নেই আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের।’

হাবিব নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘দাম বেশি থাকায় গরুর মাংস সহজে কেনা হয় না। মুরগির মাংস মাঝেমধ্যে কেনা হতো। এখন যে পরিস্থিতি, এতে মুরগি কেনাও দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। গরিবের মাংসের চাহিদা মিটত ব্রয়লার মুরগিতে। এটিও এখন ধরাছোঁয়ার বাইরে।’

মো. কাইয়ুম নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘দাম বাড়ায় চাহিদা অনেক কমে গেছে। আগে দোকানভর্তি মুরগি থাকত। প্রতিদিন অনেক মুরগি বিক্রি হতো। এখন তেমন বিক্রি হয় না।’

এদিকে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের সতর্কও করা হচ্ছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাদারীপুরের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, ‘ভোক্তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলার বাজারগুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত দামে বিক্রেতারা যেন পণ্য বিক্রি না করেন, সে জন্য তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে। শাস্তি হিসেবে জরিমানাও করা হচ্ছে। রমজান সামনে রেখে নিয়মিত বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নজরদারি থাকছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইস্পাহানে বাংকার বাস্টার মারেনি যুক্তরাষ্ট্র, অক্ষত ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম

বাবুই পাখির কান্না কেউ শুনল না, কেটে ফেলা হলো তালগাছটি

ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভারতের সংসদীয় কমিটির দীর্ঘ বৈঠক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা: নান্দাইলে সাবেক এমপি-মন্ত্রীকন্যার বিরুদ্ধে মামলা

গোষ্ঠীস্বার্থে বহু মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করেছে এই প্ল্যাটফর্ম: দায়িত্ব ছেড়ে উমামা ফাতেমার পোস্ট

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত