Ajker Patrika

নামের মিলে জেলখাটা মানিককে মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ জুন ২০২১, ২০: ১৯
নামের মিলে জেলখাটা মানিককে মুক্তির নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা: শরীয়তপুরের একটি মাদক মামলায় মানিক নামের এক ব্যক্তির বদলে একই নামের আরেকজন কারাভোগকারী মানিক হাওলাদারের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ মামলার প্রকৃত আসামি মো. মানিক মিয়াকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার এ বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপনের পর শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ ছাড়া ওই মাদক মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করতে শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ মামলায় মানিকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট পার্থ সারথি রায়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তুষার কান্তি রায় আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৭ মার্চ মাদক মামলায় মানিক নামে এক আসামির বদলে একই নামের আরেক ব্যক্তি কারাভোগ করছেন এমন অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করতে বলা হয়। একই সঙ্গে কারাভোগকারী মানিকের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ওই মামলার আসামি মো. মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছুদিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক। ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মানিকসহ চার আসামিকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেন সিরাজগঞ্জ আদালত। তবে আদালতের রায়ের আগেই পালিয়ে যান জামিনে থকা মানিক। পরে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই পরোয়ানা নিয়ে গত ১৩ জানুয়ারি শরীয়তপুর পুলিশ ভেদরগঞ্জ থানার আলম চান বেপারীকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মানিক হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। অথচ মূল আসামি মানিক মিয়ার বাবার নাম ইব্রাহিম মৃধা। তার বাড়ি ভেদরগঞ্জের মালতকান্দি।

সংশ্লিষ্ট আদালতে মানিকের প্রকৃত পরিচয় দিয়ে মুক্তির আবেদন করা হয়। কিন্তু মুক্তির নির্দেশ না দেওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয় মানিকের পক্ষে। পরে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচার বিভাগীয় তদন্তে বলা হয়, যে মানিককে গ্রেপ্তার করে আটক রাখা হয়েছে, তিনি সিরাজগঞ্জের আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি মানিক মিয়া নন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

৬ জ্যান্ত হাতি নিয়ে রাশিয়ায় মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান, উচ্ছ্বসিত পুতিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত