শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
১৮ বছর ধরে বিচার কার্য চলার পর মাদারীপুরে আশরাফ আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৪৪ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন।
এ সময় ৯৫ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেন, পূর্বের শত্রুতা ও পুরোনো চারটি মামলা থেকে মুক্তি পেতে এই হত্যা মামলায় আসামিদের জড়ানো হয়েছে। যা সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। বাদীপক্ষে সাক্ষীর কেউই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি।
এমনকি নিহতের স্ত্রীও তার সাক্ষীতে তিন রকম কথা বলেছেন। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছে এই হত্যাকাণ্ড এজাহারনামীয় আসামিদের মাধ্যমে সংগঠিত হয়নি। এই ঘটনায় অন্যরা দায়ী, যা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। তাই সব আসামিই খালাস পেয়েছে।
এর আগে ২০০৫ সালের ১২ মার্চ পূর্ব শত্রুতার জেরে মাদারীপুর সদর উপজেলার আমড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা আশরাফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই সিদ্দিকুর রহমান বেপারী বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২২ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জাফর আলী মিয়া বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে আসামিপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। আশরাফকে হত্যা করা হলেও মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা জড়িত ছিলেন না। পূর্ব শত্রুতার বশেই এই মামলায় আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন আসামিরা এই মামলায় হয়রানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। তবে, এ রায়ে আসামিরা সন্তুষ্ট।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি গোলাম আজম শামীম গৌড়া বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ আপিল করবে। বাদীপক্ষ মামলায় যথেষ্ট সাক্ষ্য ও প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছে। তাই রায় নিয়ে বাদীপক্ষ ক্ষুব্ধ।’
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০০৫ সালের ১২ মার্চ সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামের হামিদ বেপারীর ছেলে আশরাফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ভাই সিদ্দিকুর রহমান বেপারী বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২২ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরপর ২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহ নেওয়াজ খালেদ ৪৬ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ সময় এজাহারনামীয় চার আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও উল্লেখ করেন। পরে বিভিন্ন সময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত এজাহারনামীয় সব আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের রায়কে ঘিরে পুরো আদালত জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রায়ের আগে আদালত পাড়া থেকে অপরিচিত লোকজন ও আদালতের কাজে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করা ও রায় শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।’
১৮ বছর ধরে বিচার কার্য চলার পর মাদারীপুরে আশরাফ আলী বেপারী হত্যা মামলায় ৪৪ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস এ রায় দেন।
এ সময় ৯৫ পৃষ্ঠার রায়ে আদালত বলেন, পূর্বের শত্রুতা ও পুরোনো চারটি মামলা থেকে মুক্তি পেতে এই হত্যা মামলায় আসামিদের জড়ানো হয়েছে। যা সমাজের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। বাদীপক্ষে সাক্ষীর কেউই ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেনি।
এমনকি নিহতের স্ত্রীও তার সাক্ষীতে তিন রকম কথা বলেছেন। আদালত সবকিছু বিবেচনা করে দেখেছে এই হত্যাকাণ্ড এজাহারনামীয় আসামিদের মাধ্যমে সংগঠিত হয়নি। এই ঘটনায় অন্যরা দায়ী, যা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। তাই সব আসামিই খালাস পেয়েছে।
এর আগে ২০০৫ সালের ১২ মার্চ পূর্ব শত্রুতার জেরে মাদারীপুর সদর উপজেলার আমড়াতলা গ্রামের বাসিন্দা আশরাফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনায় পরদিন নিহতের ভাই সিদ্দিকুর রহমান বেপারী বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২২ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জাফর আলী মিয়া বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে আসামিপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। আশরাফকে হত্যা করা হলেও মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা জড়িত ছিলেন না। পূর্ব শত্রুতার বশেই এই মামলায় আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘদিন আসামিরা এই মামলায় হয়রানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছেন। তবে, এ রায়ে আসামিরা সন্তুষ্ট।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি গোলাম আজম শামীম গৌড়া বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ আপিল করবে। বাদীপক্ষ মামলায় যথেষ্ট সাক্ষ্য ও প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছে। তাই রায় নিয়ে বাদীপক্ষ ক্ষুব্ধ।’
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২০০৫ সালের ১২ মার্চ সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামের হামিদ বেপারীর ছেলে আশরাফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পরদিন নিহতের বড় ভাই সিদ্দিকুর রহমান বেপারী বাদী হয়ে ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০-২২ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এরপর ২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহ নেওয়াজ খালেদ ৪৬ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ সময় এজাহারনামীয় চার আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও উল্লেখ করেন। পরে বিভিন্ন সময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত এজাহারনামীয় সব আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের রায়কে ঘিরে পুরো আদালত জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রায়ের আগে আদালত পাড়া থেকে অপরিচিত লোকজন ও আদালতের কাজে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করা ও রায় শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।’
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি পরিপূর্ণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নতুন করে কয়েকটি অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে যাত্রী, কর্মরত সদস্য এবং অবকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
১ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরে ধর্ষণ মামলায় স্বপন আলী নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন মেহেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
৩ ঘণ্টা আগেকুমিল্লার মুরাদনগরের বহুল আলোচিত ধর্ষণ ও নির্যাতন-কাণ্ডে নতুন করে আরও একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ আলী সুমনের নেতৃত্বে দলবদ্ধভাবে এক নারী ও পুরুষকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন শপে লোহার বাবরি চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট (টিএলআর) মো. জাবেদকে (৩৫) আটক করেছে সৈয়দপুর কারখানার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগে