ঢাবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগের নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইনামুল ইসলাম নোমানকে হল ছাড়া করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাইনুল ইসলাম অনিক এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।
অনিক আসন্ন হল ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী।
হল ছাড়া করার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইনামুল। তিনি লেখেন, ‘প্রোগ্রাম করিনি বলে আমার শ্রদ্ধেয় সিনিয়রগণ নাকি আমার সিট ক্যান্সেল করে আরেকজনকে দিয়েছেন। অতি চমৎকার ব্যাপার!’
আরেক স্ট্যাটাসে ইনামুল লেখেন, ‘অবশেষে হল লাইফের সমাপ্তি ঘটানো হলো। ইচ্ছা ছিল ডিসেম্বরে মাস্টার্স শেষ করেই হল ত্যাগ করব, কিন্তু মাস্টার্স শেষ হওয়ার আগেই হল ছাড়তে বাধ্য করা হলো। করোনা প্যানডেমিকের সময় বাদ দিয়ে একটা লম্বা সময় হলে থেকেছি। এই সময়ে অনেক সিনিয়র, জুনিয়র ও বন্ধু পেয়েছি। পলিটিক্যাল ভাব ধরা সিনিয়রদের প্রতি আমার কখনো মন থেকে সম্মান আসেনি, ওনাদের দেখলেও কোনো দিন মন থেকে সম্মান করতে পারব বলেও মনে হয় না। তবে অনেক সিনিয়রকে পেয়েছি, যাঁরা কখনোই সিনিয়রিটি দেখানোর চেষ্টা করেননি, বরং ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করেছেন, তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। হল লাইফে ১০৪, ১০৯, ১২০, ২১৮, ৫০৪, ৫০৬, ৪১৩ (ক) ও টিভি রুমে থেকেছি। এর মধ্যে ১০৪ ও ৫০৬ নম্বর রুমে অতিবাহিত করা সময়গুলো বেশ ভালো ছিল এবং রুমমেট ভাই ও বন্ধুরা ছিল অসাধারণ।’
ঢাবির এই শিক্ষার্থী আরও লেখেন, ‘হলে অবস্থানকালে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের দাসত্ব স্বীকার করেই থাকতে হতো। ক্লাসের থেকেও তাদের রাজনৈতিক প্রোগ্রামকে বেশি গুরুত্ব দিতে হতো। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমর্থনের বিনিময়ে তারা সিট দিত; যদিও সিট দেওয়া বা নেওয়ার তারা কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষ নয়। খুব মজার ব্যাপার হলো, যে সিনিয়ররা আমার সিট বাতিল করেছে, তাদের নিজেদেরই হলে বৈধতা নেই; অথচ আমার আরও চার মাস বৈধতা ছিল হলে থাকার। আমার সিট বাতিল করার কারণ, আমি নাকি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত হয়ে সমর্থন দিতে ব্যর্থ হয়েছি, তাই তারা চাইছে না তাদের একটি সিট দখল করে রাখি। যাই হোক, আশা করি একদিন এই জঘন্য সংস্কৃতির অবসান ঘটবে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঠিক অক্সফোর্ডের মতোই রূপ ফিরে পাবে।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাইনুল ইসলাম অনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও (ইনামুল) নিজে থেকে হল ছেড়ে দিয়েছে। তাকে বলেছি হলে এসে আমার সঙ্গে দেখা করতে, কিন্তু সে করেনি। বর্তমানে তার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারছি না।’
বিষয়টি নিয়ে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘ছাত্রলীগে এ ধরনের কাজ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখব এবং অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
সার্বিক বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার সিট ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
ছাত্রলীগের নিয়মিত কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইনামুল ইসলাম নোমানকে হল ছাড়া করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাইনুল ইসলাম অনিক এই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ।
অনিক আসন্ন হল ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী।
হল ছাড়া করার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইনামুল। তিনি লেখেন, ‘প্রোগ্রাম করিনি বলে আমার শ্রদ্ধেয় সিনিয়রগণ নাকি আমার সিট ক্যান্সেল করে আরেকজনকে দিয়েছেন। অতি চমৎকার ব্যাপার!’
আরেক স্ট্যাটাসে ইনামুল লেখেন, ‘অবশেষে হল লাইফের সমাপ্তি ঘটানো হলো। ইচ্ছা ছিল ডিসেম্বরে মাস্টার্স শেষ করেই হল ত্যাগ করব, কিন্তু মাস্টার্স শেষ হওয়ার আগেই হল ছাড়তে বাধ্য করা হলো। করোনা প্যানডেমিকের সময় বাদ দিয়ে একটা লম্বা সময় হলে থেকেছি। এই সময়ে অনেক সিনিয়র, জুনিয়র ও বন্ধু পেয়েছি। পলিটিক্যাল ভাব ধরা সিনিয়রদের প্রতি আমার কখনো মন থেকে সম্মান আসেনি, ওনাদের দেখলেও কোনো দিন মন থেকে সম্মান করতে পারব বলেও মনে হয় না। তবে অনেক সিনিয়রকে পেয়েছি, যাঁরা কখনোই সিনিয়রিটি দেখানোর চেষ্টা করেননি, বরং ছোট ভাইয়ের মতো স্নেহ করেছেন, তাঁদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। হল লাইফে ১০৪, ১০৯, ১২০, ২১৮, ৫০৪, ৫০৬, ৪১৩ (ক) ও টিভি রুমে থেকেছি। এর মধ্যে ১০৪ ও ৫০৬ নম্বর রুমে অতিবাহিত করা সময়গুলো বেশ ভালো ছিল এবং রুমমেট ভাই ও বন্ধুরা ছিল অসাধারণ।’
ঢাবির এই শিক্ষার্থী আরও লেখেন, ‘হলে অবস্থানকালে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের দাসত্ব স্বীকার করেই থাকতে হতো। ক্লাসের থেকেও তাদের রাজনৈতিক প্রোগ্রামকে বেশি গুরুত্ব দিতে হতো। তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমর্থনের বিনিময়ে তারা সিট দিত; যদিও সিট দেওয়া বা নেওয়ার তারা কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষ নয়। খুব মজার ব্যাপার হলো, যে সিনিয়ররা আমার সিট বাতিল করেছে, তাদের নিজেদেরই হলে বৈধতা নেই; অথচ আমার আরও চার মাস বৈধতা ছিল হলে থাকার। আমার সিট বাতিল করার কারণ, আমি নাকি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিত হয়ে সমর্থন দিতে ব্যর্থ হয়েছি, তাই তারা চাইছে না তাদের একটি সিট দখল করে রাখি। যাই হোক, আশা করি একদিন এই জঘন্য সংস্কৃতির অবসান ঘটবে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঠিক অক্সফোর্ডের মতোই রূপ ফিরে পাবে।’
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে মাইনুল ইসলাম অনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও (ইনামুল) নিজে থেকে হল ছেড়ে দিয়েছে। তাকে বলেছি হলে এসে আমার সঙ্গে দেখা করতে, কিন্তু সে করেনি। বর্তমানে তার সঙ্গে কোনোভাবে যোগাযোগ করতে পারছি না।’
বিষয়টি নিয়ে শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘ছাত্রলীগে এ ধরনের কাজ করার সুযোগ নেই। বিষয়টি দেখব এবং অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
সার্বিক বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তার সিট ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’
সরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে এবং আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
১ সেকেন্ড আগেঅভিযোগ থেকে জানা যায়, গাজিয়া গ্রামের মৃত নগেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে নৃপেন মন্ডল একসময় পোশাক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গ্রামে ফিরে এসে মাথায় তিলক লাগিয়ে নিজেকে ’সাধু’ হিসেবে পরিচয় দিতে থাকেন। এভাবে সবার আস্থা অর্জন করে তিনি ‘আরামকাঠি সঞ্চয় ও ঋনদান সমবায় সমিতি’-এর পরিচালক পরিচয়ে গ্রামের মানুষদের কাছ...
২৮ মিনিট আগেউল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মনিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ট্রেনের সময়সূচিতে বিপর্যয় ঘটতে পারে। রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস এবং চিলাহাটি ও কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ননস্টপ ট্রেনগুলোর চলাচলে বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায়
৩৪ মিনিট আগেস্থানীয়রা জানান, রাত ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা রেজাউল ইসলামকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তারা বাড়ির পাশেই তাকে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
৩৬ মিনিট আগে