Ajker Patrika

ভৈরবে একই ঘরে মা-সন্তানের লাশ, শাশুড়ি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মে ২০২৩, ১৮: ৩৫
ভৈরবে একই ঘরে মা-সন্তানের লাশ, শাশুড়ি গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গৃহবধূ জোনাকি আক্তার ও তাঁর তিন বছর বয়সী সন্তান আলিফের ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুর ঘটনায় গৃহবধূর শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হারুয়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ভৈরব থানা-পুলিশের যৌথ টিম।

আত্মহত্যায় প্ররোচনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি হিসেবে বেবী আক্তার (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর শান্তিপাড়া এলাকার ফারুক মিয়ার স্ত্রী।

বুধবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন। গ্রেপ্তারকৃতের বরাত দিয়ে তিনি জানান, প্রায় ছয় বছর আগে পারিবারিকভাবে জোনাকি আক্তার ও ফরহাদ মিয়ার বিয়ে হয়। ফরহাদ বিয়ে আগে থেকেই ইতালি থাকতেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে আলিফ নামে তিন বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান ছিল। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। শাশুড়ি বেবী বেগম বিভিন্ন সময় জোনাকি আক্তারকে গরিব পরিবারের মেয়ে বলে উপহাস করতেন। এ ছাড়া প্রথম দিকে ফরহাদ মিয়া তাঁর স্ত্রী জোনাকির কথা শুনলেও, পরে মায়ের কথায় বেশি সায় দিতেন। ফলে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি জোনাকি আক্তারকে ভরণ-পোষণও দিতেন না তাঁর শাশুড়ি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গত রোববার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জোনাকি আক্তারকে গালিগালাজ ও মারধর করে গলায় ফাঁস দিয়ে মরে যেতে বলেন শাশুড়ি বেবী আক্তার। বেবী আক্তারের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই রাতেই জোনাকি আক্তার তাঁর ছেলে আলিফকে নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিহত গৃহবধূ জোনাকি আক্তারের বাবা রইছ বাবুর্চি বাদী হয়ে ভৈরব থানায় শাশুড়ি বেবী আক্তার ও স্বামী ফরহাদ মিয়াসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ভৈরব থানা-পুলিশের যৌথ টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজহারনামীয় প্রধান আসামি শাশুড়ি বেবী আক্তারকে গ্রেপ্তার করে।

এ মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল আমিন হোসাইন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত