নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন নিহতের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে তাদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় তারা। সমাবেশ শেষে উপ-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে আট দফা দাবিসহ স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে বরিশাল হোটেলের ছয় শ্রমিক নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে শ্রমিকদের মারা যাওয়ার কারণ স্পষ্ট। সারা রাত ডিউটি শেষে হোটেলের এক কোণে অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ জায়গায় ঘুমাতে দেওয়া হয়। ঘুমন্ত অবস্থায়ই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।
সভাপতি আরও বলেন, দেশের হোটেল শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই খাতে প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত ও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল রয়েছে পরিবার। অথচ এই খাতের মালিকদের শুধু মুনাফাকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা ও শ্রমিকদের দায়িত্ব গ্রহণ না করার মানসিকতার কারণে শ্রমিকদের জীবনযাপন আজ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। অথচ শ্রমিকদের মজুরি আগের চেয়ে কমানো হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের অন্যান্য গরিব মানুষের মতো হোটেল শ্রমিক পরিবারগুলোকেও অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকার ঘোষিত বিগত ১৭ মার্চ ২০২২ নিম্নতম মজুরিকাঠামোর মেয়াদ অতিক্রম করেছে। কিন্তু নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে হোটেল শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি ঘোষণার কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এ সময় স্মারকলিপিতে শ্রমিকদের স্বার্থসংবলিত আট দফা দাবি পেশ করা হয়। তাঁদের দাবিগুলো হলো—
১. প্রতিষ্ঠান আইন যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে এবং অনিয়ম দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রতিটি শ্রমিক পরিবারকে এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. শ্রমিক ও তার পরিবারের নিশ্চয়তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল গঠন করতে হবে।
৪. শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থাসহ তাদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বিধি অনুযায়ী নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সব হোটেল শ্রমিকের জন্য স্বল্পমূল্যে পর্যাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও ৭০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।
৭. অবিলম্বে হোটেল সেক্টরে মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে বাঁচার মতো নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে।
৮. ছাঁটাই, নির্যাতন বন্ধ ও শ্রম আইন স্বীকৃত সব অধিকার ও সুবিধা শ্রমিকদের দিতে হবে।
চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন নিহতের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে তাদের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল-রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায় তারা। সমাবেশ শেষে উপ-মহাপরিদর্শক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে আট দফা দাবিসহ স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।
সমাবেশে সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল খালেক বলেন, গত ১৫ আগস্ট রাজধানীর চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে বরিশাল হোটেলের ছয় শ্রমিক নিহত হন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে শ্রমিকদের মারা যাওয়ার কারণ স্পষ্ট। সারা রাত ডিউটি শেষে হোটেলের এক কোণে অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ জায়গায় ঘুমাতে দেওয়া হয়। ঘুমন্ত অবস্থায়ই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের।
সভাপতি আরও বলেন, দেশের হোটেল শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই খাতে প্রায় ৩০ লাখেরও বেশি শ্রমিক কর্মরত ও তাঁদের ওপর নির্ভরশীল রয়েছে পরিবার। অথচ এই খাতের মালিকদের শুধু মুনাফাকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা ও শ্রমিকদের দায়িত্ব গ্রহণ না করার মানসিকতার কারণে শ্রমিকদের জীবনযাপন আজ অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে। অথচ শ্রমিকদের মজুরি আগের চেয়ে কমানো হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের অন্যান্য গরিব মানুষের মতো হোটেল শ্রমিক পরিবারগুলোকেও অর্ধাহারে-অনাহারে জীবন কাটাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকার ঘোষিত বিগত ১৭ মার্চ ২০২২ নিম্নতম মজুরিকাঠামোর মেয়াদ অতিক্রম করেছে। কিন্তু নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে হোটেল শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি ঘোষণার কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এ সময় স্মারকলিপিতে শ্রমিকদের স্বার্থসংবলিত আট দফা দাবি পেশ করা হয়। তাঁদের দাবিগুলো হলো—
১. প্রতিষ্ঠান আইন যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে এবং অনিয়ম দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. চকবাজারের বরিশাল হোটেলে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত প্রতিটি শ্রমিক পরিবারকে এক জীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. শ্রমিক ও তার পরিবারের নিশ্চয়তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তা তহবিল গঠন করতে হবে।
৪. শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থাসহ তাদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বিধি অনুযায়ী নিয়োগপত্র-পরিচয়পত্র প্রদানসহ শ্রম আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সব হোটেল শ্রমিকের জন্য স্বল্পমূল্যে পর্যাপ্ত রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও ৭০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে।
৭. অবিলম্বে হোটেল সেক্টরে মজুরি বোর্ড গঠন করে বাজারদরের সঙ্গে সংগতি রেখে বাঁচার মতো নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করতে হবে।
৮. ছাঁটাই, নির্যাতন বন্ধ ও শ্রম আইন স্বীকৃত সব অধিকার ও সুবিধা শ্রমিকদের দিতে হবে।
রাজশাহীতে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে বাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিরুয়াইল বাজারে এ আগুন লাগে। তা নেভাতে গিয়ে এক ব্যবসায়ী দগ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
২২ মিনিট আগেনেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় রেলস্টেশন পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪০ মিনিট আগেনগরের হালিশহর এইচ-ব্লক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবছার গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে তাঁর এক বক্তব্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি রমজান মাস ঘিরে এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি চেয়ে নিকটবর্তী থানায় একটি আবেদন করেছিলেন
৮ ঘণ্টা আগে