Ajker Patrika

নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন করছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ৫৭
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন করছে পুলিশ

রাজধানীর নয়াপল্টনে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে পুলিশ। বিএনপির কার্যালয়ের সামনের দুই পাশের রাস্তায় নজরদারি বাড়াতে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। দুপুর ১টার দিকে দলটির কার্যালয়ের সামনের অংশে পুলিশ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে এসব ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করতে দেখা গেছে।

সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কার্যালয় ছাড়াও এখানে অনেক অফিস আছে। তাদেরও নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হয়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা-ই করছি।’ 

কত দিন পর্যন্ত এই সড়ক বন্ধ রাখা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই রাস্তা বন্ধ থাকবে। যেহেতু বিএনপি কার্যালয় থেকে প্রচুর ককটেল পাওয়া গিয়েছে, সো এখানে আরও ককটেল থাকতে পারে। নাশকতা চালানোর মতো আরও উপাদান থাকতে পারে। আমাদের কাছে বেশ কিছু গোয়েন্দা তথ্য আছে। সেটার ভিত্তিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা (পুলিশ) যতক্ষণ পর্যন্ত এই এলাকাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ মনে না করব, ততক্ষণ এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে।’ 

মির্জা ফখরুলকে কেন কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হলো না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো ব্যক্তিকে হিসাব করে এখানে ঢুকতে দেই নাই এমন না। সাধারণ মানুষের জন্য বা একেবারেই যারা জরুরি কর্মকাণ্ডের জন্য বের হয় তাদের ছাড়া। কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখানে পরিচালনা করার অবকাশ নেই। এটি (বিএনপি কার্যালয়) একটি প্লেস অব অকারেন্স হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা ছাড়া অন্য কারও যাওয়ার সুযোগ নেই। 

বিএনপি কার্যালয়ের সামনের অংশে পুলিশ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করতে দেখা গেছেগতকাল বুধবার নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কিছু মামলা হয়েছে বলে জানান বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরক আইন, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে। আরও কিছু মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।’ 

গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত তিন-চার শ লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘এখনো গোনা হয় নাই। আজ বা কাল...গ্রেপ্তারের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া। তবে জোর দিয়ে বলছি, যে বা যারাই নাশকতার চেষ্টা করবে, জনসাধারণকে হুমকির মুখে ফেলবে, সাধারণ মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা চালাবে, তাদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

সমাবেশের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপির এই যুগ্ম-কমিশনার বলেন, ‘এটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। যাঁরা সমাবেশের আয়োজন করেছেন, তাঁদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হয় এমন কোনো স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেবে না ডিএমপি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈশাখী মেলার নাগরদোলায় চড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে আগুন

জেলা প্রশাসনের আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া সেই আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১ কিমি খোঁড়ার পর ঠিকাদার বুঝলেন, ভুল সড়কে কাজ করছেন

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ৪ কোটি টাকা নেন সিআইডি কর্মকর্তা: সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত