নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ষাটোর্ধ্ব হনুফা বেগম দীর্ঘক্ষণ ধরে ইভিএমে আঙুলের ছাপ দিয়েই যাচ্ছেন, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কোনোভাবেই ভোট নিতে না পেরে তাঁকে আবার আসার অনুরোধ করে ফিরিয়ে দেন ভোটকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা। কারণ, এর মধ্যেই আধা ঘণ্টা পার হয়ে গেছে, ভোট দিতে আসা নারীদের সারিও দীর্ঘতর হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিরক্ত প্রকাশ করে হনুফা বেগম বলেন, ‘আবার কহন আইব? আমি একটা বয়স্ক মানুষ।’
এই কক্ষের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. এ কে এম ফজলুল হক বলেন, অনেক বয়স্ক নারী ভোটার চোখে দেখেন কম, এ জন্য সঠিক জায়গায় তাঁরা চাপ দিতে পারছেন না। বারবার বুঝিয়ে দিলেও জড়তার কারণে তাঁরা সেগুলো বোঝেন না। অনেকের তো আঙুলের চাপই নিচ্ছে না মেশিন। তাঁদের কয়েকবার করে ভ্যাসলিন মাখিয়েও কাজ হচ্ছে না। এজন্য দেরি হচ্ছে। অন্য কোনো কারণ নেই।
বেলা সাড়ে ১১টায় এমন চিত্র দেখা যায় জয়দেবপুর নীলেরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের নারী ভোটারদের জন্য নির্ধারিত চারটি কক্ষেই।
ভোট নিতে এমন ধীরগতির কারণে সঠিক সময়ে ভোট শেষ করার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৮ নম্বর কক্ষে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর এজেন্ট মোছা. আসুফা আকতার। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে বয়স্ক নারী ভোটারদের ভোট দিতে সময় লাগছে অনেক। কম করে আধা ঘণ্টা লাগছে। এভাবে ভোট নিলে তো সঠিক সময়ে ভোট শেষ হবে না। আমরা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বারবার অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁদের বলেছি, একজন মানুষ বুথে রেখে দিলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা আমলে নিচ্ছেন না।’
ভোট গ্রহণের এই ধীরগতির কারণে অনেকেই প্রখর রোদের মধ্যে দুই-আড়াই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমন একজন রাহেলা খাতুন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আইসা লাইনে খাড়াইছি। এহন বাজে সাড়ে ১১টা। আমি ভোট দেওয়ার লাইগা এহনো ঘরের (ভোট কক্ষের) দুয়ারে যাইতে পারি নাই। গরমে অবস্থা খারাপ হয়া যাইতাছে।’
আখি রানী মণ্ডল নামে আরেক নারীও একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। তিনি বলেন, ‘আর খাড়ায়া থাকতে পারতাছি না। এমনে হইলে কেমনে কী!’
অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে কেন্দ্রের মাঠে ছায়ার মধ্যে বসে পড়েছেন। তাঁদের একজন নীলেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসি বেগম। তিনি বলেন, ‘রোদ অনেক। লাইন আগাচ্ছে না। এখনো সামনে অনেক মানুষ। আর বেশি দেরি হইলে চইলা যাব।’
এ বিষয়ে নীলেরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, বয়স্ক নারীদের ইভিএম মেশিনের মতো কারিগরি বিষয়ে জ্ঞান কিছুটা কম। তাঁদের ভোট দিতে সময় বেশি লাগছে ৷ আঙুলের ছাপ মেলাতেও সময় যাচ্ছে। তবে লাইনে দাঁড়িয়ে যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য বয়স্ক নারীদের আগে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৯৯ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৬৫৪টি। অর্থাৎ, ভোট গ্রহণ শুরুর চার ঘণ্টা পরে এই কেন্দ্রে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে নারীদের ভোটের হার কম। এই কেন্দ্রে প্রথম চার ঘণ্টায় নারীদের ভোটের হার ২০ শতাংশ। বিপরীতে পুরুষদের ভোটের হার ৩০ শতাংশ।
ষাটোর্ধ্ব হনুফা বেগম দীর্ঘক্ষণ ধরে ইভিএমে আঙুলের ছাপ দিয়েই যাচ্ছেন, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কোনোভাবেই ভোট নিতে না পেরে তাঁকে আবার আসার অনুরোধ করে ফিরিয়ে দেন ভোটকক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা। কারণ, এর মধ্যেই আধা ঘণ্টা পার হয়ে গেছে, ভোট দিতে আসা নারীদের সারিও দীর্ঘতর হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বিরক্ত প্রকাশ করে হনুফা বেগম বলেন, ‘আবার কহন আইব? আমি একটা বয়স্ক মানুষ।’
এই কক্ষের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. এ কে এম ফজলুল হক বলেন, অনেক বয়স্ক নারী ভোটার চোখে দেখেন কম, এ জন্য সঠিক জায়গায় তাঁরা চাপ দিতে পারছেন না। বারবার বুঝিয়ে দিলেও জড়তার কারণে তাঁরা সেগুলো বোঝেন না। অনেকের তো আঙুলের চাপই নিচ্ছে না মেশিন। তাঁদের কয়েকবার করে ভ্যাসলিন মাখিয়েও কাজ হচ্ছে না। এজন্য দেরি হচ্ছে। অন্য কোনো কারণ নেই।
বেলা সাড়ে ১১টায় এমন চিত্র দেখা যায় জয়দেবপুর নীলেরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের নারী ভোটারদের জন্য নির্ধারিত চারটি কক্ষেই।
ভোট নিতে এমন ধীরগতির কারণে সঠিক সময়ে ভোট শেষ করার বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৮ নম্বর কক্ষে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর এজেন্ট মোছা. আসুফা আকতার। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে বয়স্ক নারী ভোটারদের ভোট দিতে সময় লাগছে অনেক। কম করে আধা ঘণ্টা লাগছে। এভাবে ভোট নিলে তো সঠিক সময়ে ভোট শেষ হবে না। আমরা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বারবার অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁদের বলেছি, একজন মানুষ বুথে রেখে দিলে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, কিন্তু তাঁরা আমাদের কথা আমলে নিচ্ছেন না।’
ভোট গ্রহণের এই ধীরগতির কারণে অনেকেই প্রখর রোদের মধ্যে দুই-আড়াই ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমন একজন রাহেলা খাতুন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আইসা লাইনে খাড়াইছি। এহন বাজে সাড়ে ১১টা। আমি ভোট দেওয়ার লাইগা এহনো ঘরের (ভোট কক্ষের) দুয়ারে যাইতে পারি নাই। গরমে অবস্থা খারাপ হয়া যাইতাছে।’
আখি রানী মণ্ডল নামে আরেক নারীও একই রকম অভিজ্ঞতার কথা জানালেন। তিনি বলেন, ‘আর খাড়ায়া থাকতে পারতাছি না। এমনে হইলে কেমনে কী!’
অনেকেই দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে কেন্দ্রের মাঠে ছায়ার মধ্যে বসে পড়েছেন। তাঁদের একজন নীলেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাসি বেগম। তিনি বলেন, ‘রোদ অনেক। লাইন আগাচ্ছে না। এখনো সামনে অনেক মানুষ। আর বেশি দেরি হইলে চইলা যাব।’
এ বিষয়ে নীলেরপাড়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, বয়স্ক নারীদের ইভিএম মেশিনের মতো কারিগরি বিষয়ে জ্ঞান কিছুটা কম। তাঁদের ভোট দিতে সময় বেশি লাগছে ৷ আঙুলের ছাপ মেলাতেও সময় যাচ্ছে। তবে লাইনে দাঁড়িয়ে যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য বয়স্ক নারীদের আগে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৫৯৯ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৬৫৪টি। অর্থাৎ, ভোট গ্রহণ শুরুর চার ঘণ্টা পরে এই কেন্দ্রে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে নারীদের ভোটের হার কম। এই কেন্দ্রে প্রথম চার ঘণ্টায় নারীদের ভোটের হার ২০ শতাংশ। বিপরীতে পুরুষদের ভোটের হার ৩০ শতাংশ।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চলছে ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। অভিযোগ রয়েছে, যেসব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে, তাঁদের অনেকেরই প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ
৭ ঘণ্টা আগেদুই দশক কিছুটা শান্ত থাকার পর কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী-রাজিবপুর নৌপথে আবার ডাকাতের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে দুবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রতিরোধেও কার্যকর উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় ১৪ কিলোমিটার এই নৌপথের নৌযান, যাত্রী
৭ ঘণ্টা আগেরাত ১০টার দিকে ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে আড়ংঘাটা থানার লতার বাইপাস মোড় লিংক রোড থেকে বাইপাস মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে আফিলগেট থেকে খুলনাগামী একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়।
৮ ঘণ্টা আগেনোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরে আগুন লেগে নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী মিলনবালার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে বিকেল ৫টায় নিমাই চন্দ্রের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছার পর রাত ৯টার দিকে মিলন বালাও মারা যান।
৮ ঘণ্টা আগে