ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর অব্যাহত হুমকিতে সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল। এ সময় তিনি কাঁদতে কাঁদতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শহিদুল ইসলাম বাবুল। এ সময় তিনি ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন নিক্সন সমর্থক কাজী শফিকুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার একটি অডিও রেকর্ড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে নিক্সন চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ‘সদরপুরের ৬৮ কেন্দ্রে বাবুলের অস্তিত্ব দেখতে চাই না।’ যা গত ২৫ মে সংসদ সদস্যের ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামে নিজ বাসভবনে সদরপুরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময়কালে বলা হয়েছে বলে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ করেন। নিক্সন চৌধুরীর বাসভবনে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় গোপনে অডিও রেকর্ড করা হয়েছে বলে দাবি ওই প্রার্থীর।
ওই অডিও রেকর্ডে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা ওয়াদা করবেন, যার যার সেন্টারে সকাল বেলা চলে যাবেন। নির্বাচন আর শফি কাজীর নেই, নির্বাচন আমার। আমি দেখতে চাই, ৬৮ কেন্দ্রে ওর (বাবুল) অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবেন। যার সেন্টারে যা লাগে আমি আছি। নির্বাচনের পরে আমি সদরপুরে বাবুলের অস্তিত্ব দেখতে চাই না।’
এ ধরনের হুমকিতে আতঙ্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কাছে আমার একটিই চাওয়া, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে আমি হেরে গেলে মাথা পেতে নেব। কিন্তু আমার ওপর এত চাপ, আমার জীবননাশের হুমকি আসছে। আমি এখন আর টিকে থাকতে পারছি না। আমার ৬৮ কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ আসছে। প্রতিনিয়ত ফোন আসছে, তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেবে না, এজেন্ট দিতে দেবে না, প্রকাশ্যে ভোট সিল মেরে নিবে।’
শহিদুল ইসলাম বাবুল আরও বলেন, ‘এমপি সাহেবের এ ধরনের বক্তব্যের পরে তাঁর নেতা-কর্মীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারাও প্রতিনিয়ত হুমকি দিতেছে। তারা প্রকাশ্যে সিল মেরে নিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাঁর নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া ভাবে আমি জীবন নিয়ে হুমকিতে আছি, আমার সমর্থকেরাও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।’
এ ছাড়া ওই বক্তব্যে বাবুলকে জারজ সন্তান বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমাকে জারজ বললে উনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জারজ বলেছেন।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন নিক্সন চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি ছড়িয়ে বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘২৫ তারিখে আমি ঢাকায় ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করতেই পারে। ভোটের মাধ্যমে জয় পরাজয় হবে। এখানে আমাকে এসব জিজ্ঞাসা করে লাভ নেই।’
এদিকে গত ২১ মে এই প্রার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জিম্মি করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ফেসবুকে লাইভ করতে বাধ্য করেন নিক্সন চৌধুরী। পরদিন জনগণের চাপে নির্বাচনে ফেরার ঘোষণা দেন বাবুল। এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন সকাল ১০টার দিকে তিনি (নিক্সন চৌধুরী) আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমার বাড়িতে আসবেন। আমি তাঁকে আসতে বলি। কারণ একজন এমপি আসতেই পারেন। পরে তিনি আমার বাড়িতে আসেন। আসার পর এমপি আমার অসুস্থ মাকে বলেন, ‘আপনার ছেলেকে আমার হাতে ওঠায় দেন।’ তখন আমার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে তাঁর সম্মানার্থে আমি গাড়িতে উঠি। তখন তাঁর সঙ্গে গানম্যানসহ পুলিশ সদস্যরা ছিল। একপর্যায়ে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী বাশারকে বলেন, আমার স্টেটমেন্ট নিতে। তখন আমি একাই ছিলাম। পরে বাধ্য হই স্টেটমেন্ট দিতে, ‘আমি আর নির্বাচন করব না।”
এসব অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন শহিদুল ইসলাম বাবুল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে। আজই তিনি শোকজ লেটার পেয়ে যাবেন।’
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর অব্যাহত হুমকিতে সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সব কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজ সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল। এ সময় তিনি কাঁদতে কাঁদতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শহিদুল ইসলাম বাবুল। এ সময় তিনি ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন নিক্সন সমর্থক কাজী শফিকুর রহমান।
এর আগে গতকাল রোববার একটি অডিও রেকর্ড এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে নিক্সন চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ‘সদরপুরের ৬৮ কেন্দ্রে বাবুলের অস্তিত্ব দেখতে চাই না।’ যা গত ২৫ মে সংসদ সদস্যের ভাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামে নিজ বাসভবনে সদরপুরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মতবিনিময়কালে বলা হয়েছে বলে ওই চেয়ারম্যান প্রার্থী অভিযোগ করেন। নিক্সন চৌধুরীর বাসভবনে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার সময় মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় গোপনে অডিও রেকর্ড করা হয়েছে বলে দাবি ওই প্রার্থীর।
ওই অডিও রেকর্ডে আরও বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা ওয়াদা করবেন, যার যার সেন্টারে সকাল বেলা চলে যাবেন। নির্বাচন আর শফি কাজীর নেই, নির্বাচন আমার। আমি দেখতে চাই, ৬৮ কেন্দ্রে ওর (বাবুল) অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলবেন। যার সেন্টারে যা লাগে আমি আছি। নির্বাচনের পরে আমি সদরপুরে বাবুলের অস্তিত্ব দেখতে চাই না।’
এ ধরনের হুমকিতে আতঙ্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কাছে আমার একটিই চাওয়া, সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে আমি হেরে গেলে মাথা পেতে নেব। কিন্তু আমার ওপর এত চাপ, আমার জীবননাশের হুমকি আসছে। আমি এখন আর টিকে থাকতে পারছি না। আমার ৬৮ কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ আসছে। প্রতিনিয়ত ফোন আসছে, তাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেবে না, এজেন্ট দিতে দেবে না, প্রকাশ্যে ভোট সিল মেরে নিবে।’
শহিদুল ইসলাম বাবুল আরও বলেন, ‘এমপি সাহেবের এ ধরনের বক্তব্যের পরে তাঁর নেতা-কর্মীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারাও প্রতিনিয়ত হুমকি দিতেছে। তারা প্রকাশ্যে সিল মেরে নিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তাঁর নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া ভাবে আমি জীবন নিয়ে হুমকিতে আছি, আমার সমর্থকেরাও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।’
এ ছাড়া ওই বক্তব্যে বাবুলকে জারজ সন্তান বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমাকে জারজ বললে উনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জারজ বলেছেন।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন নিক্সন চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে তিনি ছড়িয়ে বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘২৫ তারিখে আমি ঢাকায় ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করতেই পারে। ভোটের মাধ্যমে জয় পরাজয় হবে। এখানে আমাকে এসব জিজ্ঞাসা করে লাভ নেই।’
এদিকে গত ২১ মে এই প্রার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জিম্মি করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ফেসবুকে লাইভ করতে বাধ্য করেন নিক্সন চৌধুরী। পরদিন জনগণের চাপে নির্বাচনে ফেরার ঘোষণা দেন বাবুল। এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, “ওই দিন সকাল ১০টার দিকে তিনি (নিক্সন চৌধুরী) আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমার বাড়িতে আসবেন। আমি তাঁকে আসতে বলি। কারণ একজন এমপি আসতেই পারেন। পরে তিনি আমার বাড়িতে আসেন। আসার পর এমপি আমার অসুস্থ মাকে বলেন, ‘আপনার ছেলেকে আমার হাতে ওঠায় দেন।’ তখন আমার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে তাঁর সম্মানার্থে আমি গাড়িতে উঠি। তখন তাঁর সঙ্গে গানম্যানসহ পুলিশ সদস্যরা ছিল। একপর্যায়ে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী বাশারকে বলেন, আমার স্টেটমেন্ট নিতে। তখন আমি একাই ছিলাম। পরে বাধ্য হই স্টেটমেন্ট দিতে, ‘আমি আর নির্বাচন করব না।”
এসব অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন শহিদুল ইসলাম বাবুল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক খান বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে। আজই তিনি শোকজ লেটার পেয়ে যাবেন।’
রাজশাহীতে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগেমাদারীপুরের শিবচরে বাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার শিরুয়াইল বাজারে এ আগুন লাগে। তা নেভাতে গিয়ে এক ব্যবসায়ী দগ্ধ হয়েছেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
১৪ মিনিট আগেনেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক যুবককে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় রেলস্টেশন পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩২ মিনিট আগেনগরের হালিশহর এইচ-ব্লক জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি প্রফেসর নুরুল আবছার গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মসজিদে মুসল্লিদের উদ্দেশে তাঁর এক বক্তব্যে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি রমজান মাস ঘিরে এলাকায় পুলিশের টহল ও নজরদারি চেয়ে নিকটবর্তী থানায় একটি আবেদন করেছিলেন
৮ ঘণ্টা আগে