আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
ওপরে শরতের নীল আকাশ, নিচে যৌবনা নদী। আছড়ে পড়ছে একের পর এক ঢেউ। নদীতে যেন মেলা বসেছে বাহারি রং আর আকৃতির নৌকার। হরেক সাজের পোশাকে মাঝি-মাল্লাদের সমবেত কণ্ঠের ‘হেইয়ো হেইয়ো’ শব্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে নদীজলে বইঠার ঘাত। দুপাড়ে হাজার হাজার দর্শকের উত্তেজনা, উৎসুক দৃষ্টি আর মুহুর্মুহু চিৎকার-করতালি।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার হেলাচিয়া এলাকায় কান্তাবতী নদীতে হওয়া নৌকাবাইচে চোখে পড়েছে এমন দৃশ্য। নৌকাবাইচ দেখতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, গত কয়েক মাস ধরেই দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সরকারের পালাবদল আর নানা ঘটনার পর এমন চমৎকার আয়োজন নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দিয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, হেলাচিয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ বার্ষিক নৌকা বাইচ চলে আসছে প্রায় ২০০ বছর ধরে।
বাইচ শেষে বিজয়ী নৌকার মালিকদের টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, চার্জার লাইট, কলসসহ বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও বিবাহিত মেয়েরা বাবার বাড়িতে নাইওরে আসেন, সেই সঙ্গে আসেন জামাই ও নাতি-নাতনিরা। এলাকাজুড়ে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। তবে আগের তুলনায় নৌকা বাইচ ও অতিথি আপ্যায়নে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
বাইচে ছোট-বড় ২২টি নৌকা অংশ নেয়। এ উপলক্ষে নদীর তীরে এবং নদীর বুকে ভাসমান শতাধিক নৌকায় বসে রকমারি পণ্যের মেলা। উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় এসব পণ্য কিনতে।
নৌকার নামকরণেও দেখা যায় ভিন্নতা। আল্লাহর দান, হারানো মানিক, গায়না তরী, সোনার চান, মায়ের দোয়া, জয়নগর, দাদা-নাতি, সোনার বাংলাসহ আরও হরেক নাম চোখে পড়ে। দর্শক দূর থেকে নৌকার অবয়ব থেকেই বলে দিতে পারে এটি কোন নৌকা।
নদী আর নৌকা বাইচের সঙ্গে মানিকগঞ্জের মানুষের আশৈশব মিতালি। এই মৌসুমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় কমপক্ষে ৩০ স্থানে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে নদীতে পানি কম থাকা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব এবং দেশের পরিস্থিতির কারণে এবার সংখ্যাটা কম।
নৌকাবাইচের অন্যতম আয়োজক গাজী হাবিব হাসান রিন্টু বলেন, ‘মানিকগঞ্জের ঐতিহ্য রয়েছে নদী ও নৌকার সরব উপস্থিতি। শত শত বছর ধরে এটি চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান যান্ত্রিক যুগে এসে অনেকেই প্রাচীন এই ঐতিহ্য ভুলে যেতে বসেছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে সচেতন ও এগিয়ে আসতে হবে।’
ওপরে শরতের নীল আকাশ, নিচে যৌবনা নদী। আছড়ে পড়ছে একের পর এক ঢেউ। নদীতে যেন মেলা বসেছে বাহারি রং আর আকৃতির নৌকার। হরেক সাজের পোশাকে মাঝি-মাল্লাদের সমবেত কণ্ঠের ‘হেইয়ো হেইয়ো’ শব্দের সঙ্গে যোগ হয়েছে নদীজলে বইঠার ঘাত। দুপাড়ে হাজার হাজার দর্শকের উত্তেজনা, উৎসুক দৃষ্টি আর মুহুর্মুহু চিৎকার-করতালি।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার হেলাচিয়া এলাকায় কান্তাবতী নদীতে হওয়া নৌকাবাইচে চোখে পড়েছে এমন দৃশ্য। নৌকাবাইচ দেখতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, গত কয়েক মাস ধরেই দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সরকারের পালাবদল আর নানা ঘটনার পর এমন চমৎকার আয়োজন নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দিয়েছে।
আয়োজকেরা জানান, হেলাচিয়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে এ বার্ষিক নৌকা বাইচ চলে আসছে প্রায় ২০০ বছর ধরে।
বাইচ শেষে বিজয়ী নৌকার মালিকদের টেলিভিশন, মোবাইল ফোন, চার্জার লাইট, কলসসহ বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় বাড়িতে আত্মীয়স্বজন ও বিবাহিত মেয়েরা বাবার বাড়িতে নাইওরে আসেন, সেই সঙ্গে আসেন জামাই ও নাতি-নাতনিরা। এলাকাজুড়ে শুরু হয় উৎসবের আমেজ। তবে আগের তুলনায় নৌকা বাইচ ও অতিথি আপ্যায়নে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
বাইচে ছোট-বড় ২২টি নৌকা অংশ নেয়। এ উপলক্ষে নদীর তীরে এবং নদীর বুকে ভাসমান শতাধিক নৌকায় বসে রকমারি পণ্যের মেলা। উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় এসব পণ্য কিনতে।
নৌকার নামকরণেও দেখা যায় ভিন্নতা। আল্লাহর দান, হারানো মানিক, গায়না তরী, সোনার চান, মায়ের দোয়া, জয়নগর, দাদা-নাতি, সোনার বাংলাসহ আরও হরেক নাম চোখে পড়ে। দর্শক দূর থেকে নৌকার অবয়ব থেকেই বলে দিতে পারে এটি কোন নৌকা।
নদী আর নৌকা বাইচের সঙ্গে মানিকগঞ্জের মানুষের আশৈশব মিতালি। এই মৌসুমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় কমপক্ষে ৩০ স্থানে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে নদীতে পানি কম থাকা, পৃষ্ঠপোষকতার অভাব এবং দেশের পরিস্থিতির কারণে এবার সংখ্যাটা কম।
নৌকাবাইচের অন্যতম আয়োজক গাজী হাবিব হাসান রিন্টু বলেন, ‘মানিকগঞ্জের ঐতিহ্য রয়েছে নদী ও নৌকার সরব উপস্থিতি। শত শত বছর ধরে এটি চলে আসছে। কিন্তু বর্তমান যান্ত্রিক যুগে এসে অনেকেই প্রাচীন এই ঐতিহ্য ভুলে যেতে বসেছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সংরক্ষণে আমাদের সবাইকে সচেতন ও এগিয়ে আসতে হবে।’
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান সড়ক রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক। এ মহাসড়কের রংপুরের পাগলাপীর থেকে মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশ এখন পথচারী ও যানবাহনের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজারো গর্তে ভরা এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। ভোগান্তির শেষ নেই যাত্রী ও চালকদের।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানী ঢাকার কোরবানির অস্থায়ী ও স্থায়ী পশুর হাটগুলোতে ক্রেতার অপেক্ষায় ব্যাপারীরা। গরু-ছাগলে হাটগুলো ভরে উঠলেও ক্রেতা কম। তাঁদের মধ্যেও বেশির ভাগ আসছেন দাম যাচাই করতে। ধারণা করা হচ্ছে, আজ বুধবার অফিস শেষে ঈদের সরকারি ছুটি শুরু হলে হাটে অনেক ক্রেতা আসবেন, মূল বেচাকেনা শুরু হবে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফোরণের তিন বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। এই তিন বছরে ডিপো এলাকায় আগের চিত্র ফিরলেও এখন পর্যন্ত থামেনি স্বজন হারানোর কান্না। ভয়াবহ এ বিস্ফোরণে যেনতেন বিচারে যেমন নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের মনে স্বস্তি ফেরেনি, তেমনি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার...
২ ঘণ্টা আগে