Ajker Patrika

চেনা হাঁকডাক নেই, আছে উৎকণ্ঠা আর পুড়ে যাওয়া স্বপ্নের স্তূপ 

ফারুক ছিদ্দিক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ১২: ৩৩
Thumbnail image

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের সাতটি মার্কেটের ৫ হাজারের বেশি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কাপড়ের বড় মার্কেট হিসেবে পরিচিত এই বঙ্গবাজার। রমজানে থাকে জমজমাট, থাকে বিক্রয়কর্মীর হাঁকডাক। সেই চেনাজানা আর হাঁকডাক নেই, আছে উৎকণ্ঠা আর আগুনে পুড়ে যাওয়া স্বপ্নের স্তূপ। 

আজ বুধবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া মার্কেটের ভেতরে কেউ ঢুকে নিজের দোকানের কোনো কিছু পান কি না, দেখছেন। কেউ খুঁজছেন টাকার ডেস্ক, কেউ বা দোকানের কাগজপত্র। ফেরিওয়ালারা খুঁজছেন আগুনে পুড়ে যাওয়া ভাঙা লোহা ও টিনের জিনিস। মল্লিক গার্মেন্টসের মালিক নুর মোহাম্মদ মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাই, ফকির হইয়া গেছি। গতকাল আমার বাড়িতে অল্প বাজার ছিল, বাড়িতে পোলার মারে কইছি, আজকে কোনোমতে পোলাপান নিয়ে খা। আগামীকাল থেকে কী খাবি সেটা খোদা জানে। আমার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, দোকানে ৪০-৪৫ লাখ টাকার মালামাল আর নগদ টাকা কিছুই অবশিষ্ট নেই, আমি কী করব? কোথায় যাব! আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আমার কোথাও যাওয়ার রাস্তা নেই ভাই। সরকার যদি আমাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা করে, তাহলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব, না হয় কিছু করার নেই। ভিক্ষা করতে হবে।’ 

বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের তিনটি দোকানের মালিক শাহাদাত হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিনটি দোকানের কোনো কিছু নেই, আমি কোথায় যাব? ৭৫ লাখ টাকা ব্যাংকে লোন আছে, এই টাকা আমি কোথা থেকে দেব, আমার পোলাপানগুলারে মানুষ করব কী দিয়ে, ঘর চালাব কী দিয়ে! আমি তো নিঃস্ব হয়ে গেছি। সরকার যদি আমাদের ব্যাংকের লোনগুলো মাফ করে দেয়, তাহলে কিছু একটা হয়তো করতে পারব। যদি না করে, তাহলে কী করব ভাই?’

আগুন লাগার বিষয়ে কাউকে দায়ী করছেন কি না—জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সকালে আইসা দেখি মার্কেটে আগুন লাগছে, আধা ঘণ্টার ভেতরে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাবে—এটা কি আমরা জানি ভাই? আমরা কাকে দায়ী করব!’ 

এদিকে সকাল থেকে এনেক্সকো টাওয়ার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তাই ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি সকাল থেকে পানি ছিটাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এনেক্সকো টাওয়ারেও গতকাল অনেকক্ষণ আগুন জ্বলছিল, রাতে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আনার সুযোগ হলেও সকাল থেকে আবার ধোঁয়া বের হচ্ছিল, তাই পানি ছিটানো হচ্ছে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত