Ajker Patrika

মাদারীপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

মাদারীপুর প্রতিনিধি
সংর্ঘষে আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংর্ঘষে আহতরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদারীপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের ওসমান হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার (৩৫), মোকলেস হাওলাদারের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৬০), মোকলেছ হাওলাদারের মেয়ে আছিয়া বেগম (৪৫) ও ছেলে রাসেল হাওলাদার (২৭), এছহাক হাওলাদারের স্ত্রী সাহেদা বেগম (৪০), মানিক হাওলাদারের ছেলে দেলোয়ার হাওলাদার (৪৫), মাজেদ হাওলাদারের ছেলে এরশাদ হাওলাদার (৩৮), শাহাদাৎ আলী শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখ (৪০), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কালাচাঁন (২২), শাহেদ আলী শেখের ছেলে সলেমান শেখ (২৫)। অন্যদের নাম জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খামারাবাড়ি গ্রামের মজিবর হাওলাদারের ছেলে ইতালিপ্রবাসী শাহাদাৎ হাওলাদারের বিয়ে ঠিক হয় পাশের এলাকা ঘটকচরে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছেলেপক্ষ বউ আনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে জন্য আজ শুক্রবার দুপুরে গ্রামের অনেককেই অগ্রিম দাওয়াত করে খাওয়ানোর জন্য আয়োজন করা হয়। সেখানে দাওয়াত দেওয়া হয় একই গ্রামের নুরু হাওলাদারের ছেলে কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল হাওলাদার ও তার লোকজনকে। দাওয়াতে অসম্মতি জানায় ইউপি সদস্য ও তার লোকজন।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে ইউপি সদস্য রফিকুল ও তার লোকজন দাওয়াতে অনুপস্থিত থাকেন। এই ঘটনার জের ধরে বিকেলে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে বিয়েবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ ১৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

বর শাহাদাৎ হাওলাদারের আত্মীয় ডালিয়া আক্তার বলেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে এভাবে হঠাৎ হামলা চালানো হবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি। ইউপি মেম্বার রফিকুল ও তার লোকজন হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয়। তাই এই ঘটনার বিচার চাই।

অভিযুক্ত রফিকুলের মোবাইলে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া ও খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত