Ajker Patrika

বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভে হামলার অভিযোগ

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করছেন শ্রমিকেরা। এ সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনরত শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ ওঠেছে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটি গ্রামের সওফটেক্স লিমিটেড কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শ্রমিকদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।

মারধরের শিকার শ্রমিকদের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন—সওফটেক্স লিমিটেড কারখানার সুয়িং সেকশনের শ্রমিক মো. আজাহার (২২), কাটিং সেকশনের লিটন (১৯), কাটিং সেকশনের লিপি (২১) ও মান্নান (২৪)।

আহত শ্রমিক লিটন অভিযোগ করে বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া পাওনা। দেয় দিচ্ছি করে দুই মাস যাবৎ ঘুরাচ্ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। একদিকে দোকান বাকি, অপরদিকে বাসাভাড়া বাকি। আমরা খুবই চাপে আছি। খাওয়ার মতো ঘরে চালডাল নেই। দোকানি বাকি দিচ্ছে না। বাসার মালিক বাসা ছেড়ে দিতে চাপ দিচ্ছে। আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকেছে।’

কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকদের বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

তিনি আরও বলেন, ‘আজ বকেয়া বেতন দেওয়ার তারিখ চূড়ান্ত থাকলেও বেতন দেয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তায় এসেছি। আন্দোলন করার সময় কারখানা সুপারভাইজার মেহেদী আমার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে।’

একই কারখানার সুয়িং সেকশনের শ্রমিক লিপি বলেন, দুই মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে। কমপক্ষে ১০টি তারিখ দিয়েছে। তবুও বেতন পরিশোধ করেনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় এসে আন্দোলন করছি। আন্দোলন চলাকালে আমাদের নারী শ্রমিকের ওপর হামলা করে মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সোহেল রানা। আমাদের চেয়ার দিয়ে মারধর করে। বেতন না পাওয়ার কারণে আমাদের সংসার চালতে অনেক সমস্যা হচ্ছে, এটা কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজন বুঝতে পারছে না। দুমাস বেতন না পেলে কি করে চলি আমার মতো শ্রমিক?’

কারখানার শ্রমিক আজাহার হোসেন বলেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখ আমাদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। এরপর অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ দুমাসের বেতন পরিশোধের কথা দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেতন পরিশোধ করেনি। এভাবে দুমাস চলে যায়। আজ আন্দোলন করার সময় কিছু শ্রমিককে বেতন দেওয়ার কথা বলে কারখানা গেট আটকিয়ে মারধর করে।’

কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা সোহেল রানা শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শ্রমিকদের দুমাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। ব্যাংকের সমস্যার কারণে বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে না। কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো শ্রমিকদের মারধর করেনি। বেতন বিষয়ে কারখানার মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত