Ajker Patrika

দইয়ের বদলে সাপ উপহার, দেখেই অজ্ঞান

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২২, ১০: ৩০
Thumbnail image

ফরিদপুরের নগরকান্দায় রামনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাইমুদ্দিন মণ্ডলকে বাক্সবন্দী সাপ উপহার পাঠানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে বাক্সের ওপরে লেখা ছিল এটি দইয়ের বাক্স। দই ভেবে বাক্স খুলতেই সাপ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন চেয়ারম্যানের এক কর্মচারী। গতকাল সোমবার বিকেলে নগরকান্দা ও কোতোয়ালি থানার সীমান্ত এলাকা গজারিয়া বাজারে চেয়ারম্যানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাপটি লম্বায় সাড়ে ৮ ফুট। এটি দাঁড়াশ অথবা গোখরা সাপ। 

চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কর্মচারী শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, বিকেলের দিকে বয়স্ক একজন ভ্যানচালক কাগজের কার্টনটি এনে বলেন, এটি চেয়ারম্যান সাহেবের উপহার, আমার কাছে একজন পাঠিয়েছেন। আপনারা এটি রাখেন। 

শ্যামল কুমার বলেন, ‘উপহারের কার্টনের ওপরে লেখা ছিল দই। আমি ও আমার আরেক সহযোগী বাবুল শেখ মিলে কার্টনটি খুলে সাপ দেখতে পাই। এ সময় বাবুল সাপ দেখে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।’ 

চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কর্মচারী বলেন, তাৎক্ষণিক পাশেই ভ্যানস্ট্যান্ডে ওই ভ্যানচালককে দেখতে পেয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভ্যানচালক জানান, রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর বাজারের কীটনাশকের একটি দোকান থেকে কার্টনটি তাঁকে দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যানকে দেওয়ার জন্য। পরে চেয়ারম্যানের লোকজন ভ্যানচালককে সঙ্গে নিয়ে গোপালপুর বাজারে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে খুঁজে পান। তাঁর নাম জহুরউদ্দিন ব্যাপারী। তিনি গোপালপুর গ্রামের আদেল উদ্দীনের ছেলে। পরে তাঁকে ধরে এনে গজারিয়া বাজারে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে যায়। 

রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. কাইমুদ্দিন মন্ডল বলেন, ‘আমি দুপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমার কর্মচারী শ্যামল কুমার আমাকে মোবাইলে জানান, আপনার একটা উপহার এসেছে। বাক্সের ওপর দই লেখা। আমি তখন তাঁকে খুলে দেখতে বলি। পরে জানতে পারি তার মধ্যে সাপ। ভ্যানওয়ালাকে নিয়ে পরে ওই লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। তাকে ধরে আনা হয়। তবে কেন, কী কারণে সে এমন কাজ করেছে তা স্বীকার করেনি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে গেছে। তবে কোন থানার পুলিশ আসামি নিয়েছে তা বলতে পারছি না।’ 

চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার তেমন কোনো শত্রু নেই। কিন্তু কেন যে সে এমন কাজ করল আমি বুঝে উঠতে পারছি না।’ 

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। সাপটা নাকি মৃত। চেয়ারম্যান সাহেবকে লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে নগরকান্দা থানায় এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।’ 

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।’ 

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। চেয়ারম্যানকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমরাও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখব।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত