মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দালালদের থেকে রক্ষায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর হাসপাতালের এক নিরাপত্তা কর্মী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় অভিযোগ দেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতালের সামনে এবং আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিযোগকৃত দালালেরা অবস্থান করে। এরপর জেলার সাতটি উপজেলাসহ আশপাশ জেলা থেকে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে এবং কম খরচে চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এতে রোগী এবং তাদের স্বজনদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ ছাড়াও ভুল চিকিৎসায় অনেক সময় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে সম্প্রতি মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক আকস্মিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু দালাল হাসপাতালে প্রবেশ করে রোগী বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার সদর হাসপাতালে আসা এক রোগীর সঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতালের নিয়োগকৃত দালাল চক্রের কিছু সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতালের বাইরে নিজেদের প্রাইভেট ক্লিনিকে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিষয়টি হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী দুলাল ও রাজার নজরে আসলে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে বেসরকারি হাসপাতালের ১৫–২০ জন দালাল এক জোট হয়ে বিভিন্ন লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে হাসপাতালের ভেতর ঢুকে দুই প্রহরীকে গালিগালাজসহ মারধর করে।
অভিযোগকারী হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী দুলাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল সোমবার সকালের দিকে দুজন রোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য আসছিলাম। হাসপাতালের ভেতর থেকে দুজন দালাল আমাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে চিকিৎসককে আমার মাথা ব্যথার কথা বলি। তারা আমার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে ৬ হাজার টাকা বিল করে নিয়ে নেয়। যে ডাক্তার দেখেছে তাকে ৫শ টাকা ভিজিট দিতে হয়েছে।’ ’ এরপর রোগীদের দেখিয়ে দেওয়া দালালদের ধরতে গেলে তাঁরা এক জোট হয়ে আমাদের ওপর তেড়ে আসে এবং নানা ধরনের হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ক স্যারকে জানালে স্যার আমাকে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন।’
অভিযোগে বেশ কয়েকজন দালাল সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—পাপ্পু (৩৫), রানা (৫২), শাহিন (৫০), দয়াল (৩৬), ফারুক (৩৮), মনির (৩৭), ইলিয়াস (৫০), জাবেদ (৫০), রায়হান (৫০), শিলা আক্তার (৩৬), আলেয়া বেগম (৪০), বিউটি (৫০), সেলিনা আক্তার (৫০), রেহেনা আক্তার (৫০) ও রওশন আরা (৪৫)।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন বলেন, ‘প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল চক্রের সদস্যরা এর আগেও আমাদের নিরাপত্তা প্রহরীদের নানাভাবে শারীরিক লাঞ্ছিত করেছেন। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে কিছু দালাল ধরা হয়েছে। কিন্তু দালালের উৎপাত কমেনি। নিরাপত্তাকর্মীদের হুমকির বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে বহিরাগত দালালদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে দালালদের থেকে রক্ষায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর হাসপাতালের এক নিরাপত্তা কর্মী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় অভিযোগ দেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল সদর হাসপাতালের সামনে এবং আশপাশ এলাকায় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিযোগকৃত দালালেরা অবস্থান করে। এরপর জেলার সাতটি উপজেলাসহ আশপাশ জেলা থেকে সদর হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে এবং কম খরচে চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এতে রোগী এবং তাদের স্বজনদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ ছাড়াও ভুল চিকিৎসায় অনেক সময় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এ নিয়ে সম্প্রতি মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক আকস্মিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু দালাল হাসপাতালে প্রবেশ করে রোগী বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যায়।
গতকাল সোমবার সদর হাসপাতালে আসা এক রোগীর সঙ্গে প্রাইভেট হাসপাতালের নিয়োগকৃত দালাল চক্রের কিছু সদস্য রোগীদের ভুল বুঝিয়ে হাসপাতালের বাইরে নিজেদের প্রাইভেট ক্লিনিকে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বিষয়টি হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী দুলাল ও রাজার নজরে আসলে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে বেসরকারি হাসপাতালের ১৫–২০ জন দালাল এক জোট হয়ে বিভিন্ন লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে হাসপাতালের ভেতর ঢুকে দুই প্রহরীকে গালিগালাজসহ মারধর করে।
অভিযোগকারী হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী দুলাল হোসেন বলেন, ‘গতকাল সোমবার সকালের দিকে দুজন রোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য আসছিলাম। হাসপাতালের ভেতর থেকে দুজন দালাল আমাকে ভুল বুঝিয়ে তাদের ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে চিকিৎসককে আমার মাথা ব্যথার কথা বলি। তারা আমার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলে ৬ হাজার টাকা বিল করে নিয়ে নেয়। যে ডাক্তার দেখেছে তাকে ৫শ টাকা ভিজিট দিতে হয়েছে।’ ’ এরপর রোগীদের দেখিয়ে দেওয়া দালালদের ধরতে গেলে তাঁরা এক জোট হয়ে আমাদের ওপর তেড়ে আসে এবং নানা ধরনের হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ক স্যারকে জানালে স্যার আমাকে থানায় অভিযোগ দিতে পরামর্শ দেন।’
অভিযোগে বেশ কয়েকজন দালাল সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন—পাপ্পু (৩৫), রানা (৫২), শাহিন (৫০), দয়াল (৩৬), ফারুক (৩৮), মনির (৩৭), ইলিয়াস (৫০), জাবেদ (৫০), রায়হান (৫০), শিলা আক্তার (৩৬), আলেয়া বেগম (৪০), বিউটি (৫০), সেলিনা আক্তার (৫০), রেহেনা আক্তার (৫০) ও রওশন আরা (৪৫)।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন বলেন, ‘প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দালাল চক্রের সদস্যরা এর আগেও আমাদের নিরাপত্তা প্রহরীদের নানাভাবে শারীরিক লাঞ্ছিত করেছেন। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে কিছু দালাল ধরা হয়েছে। কিন্তু দালালের উৎপাত কমেনি। নিরাপত্তাকর্মীদের হুমকির বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেছেন, বিষয়টি তদন্ত করে বহিরাগত দালালদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে সাক্ষী আব্দুল মান্নান চুন্নু মৃধা (৫৫) হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ দুপুরে আদালত চত্বরেই মামলার আসামিপক্ষ লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁকে বেদম মারধর করে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
৩ মিনিট আগেসমাপনী অনুষ্ঠানে বলা হয়, গত ২৫ জুন থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। এতে মোট ১১২টি স্টল অংশ নেয়। এর মধ্যে সরকারি ৮টি, বেসরকারি ৮টি, সিঙ্গেল নার্সারি ৯২টি এবং ১৮টি ডাবল নার্সারি ছিল। বিক্রি হওয়া চারার মধ্যে ফলজ ছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪০, বনজ ২ লাখ ৪৮ হাজার
৬ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নে ১২ ও ১৬ বছরের দুই শিশুকে মারধরের পর চুরি মামলা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ দুই শিশুকে ১৮ বছর দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে। গ্রেপ্তারের সময় শিশুদের হাতে হাতকড়া পরিয়ে থানায় আনা হয়।
৮ মিনিট আগেজানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় তিনি বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মঙ্গলবার থেকে ক্লাস শুরু হবে ইনশা আল্লাহ। এ জন্য তিনি মঙ্গলবারের আগে শিক্ষার্থীদের হলসহ যাঁর যাঁর আবাসনে এসে অবস্থান নেওয়ার আহবান জানান।
১৫ মিনিট আগে