Ajker Patrika

ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস: বুয়েট শিক্ষক নিখিলসহ ১৬ জনের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস: বুয়েট শিক্ষক নিখিলসহ ১৬ জনের বিচার শুরু

রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন। 

ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মনিরুজ্জামান বলেন, অভিযোগ গঠনের ফলে মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। 

এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম ওরফে স্বপন, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা শামসুল হক ওরফে শ্যামল ও আবদুল্লাহ আল জাবের, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ওরফে রয়েল, পিয়ন দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাশেদ আহমেদ ওরফে বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ রবিউল ইসলাম ওরফে রবি ও রূপালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানে আলম ওরফে মিলন। 

গত ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের এসআই শামীম আহমেদ আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) পদে এক হাজার ৫১১ জনকে নিয়োগ দিতে ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর বিকেলে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। 

পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে—২০২১ সালের ৫ নভেম্বর রাতে এমন তথ্য আসে ডিবির কাছে। ডিবির টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে পরীক্ষার্থী সেজে ৬ নভেম্বর সকাল সাতটার দিকে প্রশ্নপত্রসহ উত্তর পাওয়ার জন্য চক্রের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। অগ্রিম টাকা পরিশোধের পর প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের অন্যতম হোতা রাইসুল ইসলাম স্বপন ডিবির ছদ্মবেশী পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যান। এরপর পরীক্ষার উত্তরপত্রসহ স্বপনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। 

২০২১ সালের ৬ নভেম্বর পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সঙ্গে সকালে পাওয়া প্রশ্ন ও উত্তর হুবহু মিলে গেলে স্বপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপালী ব্যাংকের সাভার শাখার শ্রীনগর থেকে জানে আলম মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র সরবরাহকারী শামসুল হক শ্যামলকে ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত