গাজীপুর প্রতিনিধি
পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে বিভিন্ন শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সাময়িক ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষিত সব পোশাক কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকেরা নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কারখানা এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করেছে।
পুলিশসহ অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, পোশাকশ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। পরে এ আন্দোলন জেলার চন্দ্রা এবং মহানগরীর কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, নাওজোর, ভোগরা বাইপাসসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শ্রমিকেরা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ছাড়াও বিভিন্ন কারখানা, পুলিশের গাড়িসহ যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
গত ৭ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু ঘোষিত মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন কারখানা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, মহাসড়ক অবরোধ, শ্রমিক-পুলিশ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ ও শ্রমিকসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। পরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ কারখানা সাময়িক ও ১৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি উত্তর, মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনায় ১৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে চারটিতে বাদী পুলিশ, বাকিগুলোতে বাদী ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ১০৭ এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২২ জনকে। আর অজ্ঞাতপরিচয় আসামি ১২ হাজারের বেশি। যার অধিকাংশই পোশাকশ্রমিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহানগর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি টহল জোরদার করা হয়। সবার চেষ্টায় গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসে। নিরাপত্তা নিয়ে কারখানা মালিকদের উদ্বেগ দূর হওয়ার পর সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা কারখানা। এটিসহ একই মালিকের পাঁচটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার এসব কারখানাও খুলেছে।
ওই কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন বলেন, ভেতরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও চলমান আন্দোলনের কারণে বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় কারখানা আজ চালু করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছে। তিনি কারখানার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলকারখানা অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক সঞ্জয় দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প অঞ্চলের সব পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে যেসব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল, সেসব প্রতিষ্ঠানেও আজ মঙ্গলবার স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।
পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে বিভিন্ন শিল্প এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সাময়িক ও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষিত সব পোশাক কারখানা খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকেরা নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কারখানা এলাকায় স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করেছে।
পুলিশসহ অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, পোশাকশ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২৩ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। পরে এ আন্দোলন জেলার চন্দ্রা এবং মহানগরীর কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, নাওজোর, ভোগরা বাইপাসসহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শ্রমিকেরা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ ছাড়াও বিভিন্ন কারখানা, পুলিশের গাড়িসহ যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
গত ৭ নভেম্বর ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করে সরকার। কিন্তু ঘোষিত মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার গাজীপুর মহানগরীর কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন কারখানা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, মহাসড়ক অবরোধ, শ্রমিক-পুলিশ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ ও শ্রমিকসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। পরে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় অধিকাংশ কারখানা সাময়িক ও ১৭টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি উত্তর, মিডিয়া) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গাজীপুরে পোশাক কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনায় ১৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে চারটিতে বাদী পুলিশ, বাকিগুলোতে বাদী ক্ষতিগ্রস্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ। এসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা ১০৭ এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২২ জনকে। আর অজ্ঞাতপরিচয় আসামি ১২ হাজারের বেশি। যার অধিকাংশই পোশাকশ্রমিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মহানগর পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি টহল জোরদার করা হয়। সবার চেষ্টায় গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসে। নিরাপত্তা নিয়ে কারখানা মালিকদের উদ্বেগ দূর হওয়ার পর সব কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী এলাকার তুসুকা কারখানা। এটিসহ একই মালিকের পাঁচটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার এসব কারখানাও খুলেছে।
ওই কারখানার মহাব্যবস্থাপক মাসুম হোসেন বলেন, ভেতরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও চলমান আন্দোলনের কারণে বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় কারখানা আজ চালু করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছে। তিনি কারখানার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলকারখানা অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক সঞ্জয় দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প অঞ্চলের সব পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে যেসব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল, সেসব প্রতিষ্ঠানেও আজ মঙ্গলবার স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীর পাড় থেকে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চিংড়িজোনের চিলখালী কাটাবুনিয়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১১ মিনিট আগেআজ শনিবার ফরিদপুরে ‘মাদারস অব জুলাই’ অনুষ্ঠানে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন শহরের পূর্ব খাবাসপুর এলাকার শামসু মোল্যার স্ত্রী মেঘলা বেগম। গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ফরিদপুরে নিহত হন শামসু। ফরিদপুর জেলা প্রশাসন এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে
২২ মিনিট আগেনরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের ওপর হামলার চেষ্টার অভিযোগে এক ক্লিনিকের মালিককে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিরাজ খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২৯ মিনিট আগেসেদিনের ঘটনা স্মরণ করে অধ্যক্ষ বলেন, ‘দুপুর ১টায় ছুটির সময় কখনো কখনো আমি বাইরে যাই না। বারান্দায় দাঁড়াই। হাঁটাহাঁটি করি। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালন দেখি। স্টুডেন্টদের দেখি। সেদিন প্রধান শিক্ষিকা ডেকে নিয়ে গেলেন, ১টার সময় দুজন নতুন শিক্ষকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। বেলা ১টা ৪ মিনিটের দিকে
৩৮ মিনিট আগে