Ajker Patrika

কোটি টাকায় সংস্কারের পর ভাড়া মিলছে ৩৯ হাজার

তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা 
রাজধানীর গুলশানের ১৫৭ নম্বর রোডের একটি বাড়ি। এক সচিবের থাকার জন্য কয়েক মাস ধরে চলছে বিশাল সংস্কারকাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর গুলশানের ১৫৭ নম্বর রোডের একটি বাড়ি। এক সচিবের থাকার জন্য কয়েক মাস ধরে চলছে বিশাল সংস্কারকাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের ১৫৭ নম্বর রোডের বাড়িটির আয়তন কমবেশি ২৪ কাঠা। এক সচিবের থাকার জন্য কয়েক মাস ধরে চলছে বিশাল সংস্কারকাজ। সচিবকে পরিত্যক্ত তালিকাভুক্ত এ বাড়ির ভাড়া হিসেবে মাসে সরকারকে দিতে হবে প্রায় ৩৯ হাজার টাকা।

সরকারি আরও কয়েকটি বাড়ির ক্ষেত্রে সম্প্রতি এমন বরাদ্দের ঘটনা ঘটেছে। ‘সচিব নিবাসে’ বিলাসবহুল সুপরিসর ফ্ল্যাট বরাদ্দ থাকলেও বিপুল অর্থ ব্যয়ে আমলাদের এমন বাংলো বাড়ি বরাদ্দ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ বাড়িগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের পেছনে বছরে কমপক্ষে ৭-৮ কোটি টাকা খরচ করা হয়।

গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আবাসন পরিদপ্তর ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের ৪৮ নম্বর বাড়ি সংস্কার করে বরাদ্দ দেয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. মহিউদ্দিনকে। ৯০ লাখ টাকারও বেশি খরচ করে আধুনিকায়ন করা হয় বাড়িটির। একই ঘটনা ঘটে আরেক সরকারি কর্মকর্তা আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক সচিব শেখ আবু তাহেরের ক্ষেত্রেও। ধানমন্ডির ৫ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাড়িটি কোটি টাকা খরচ করে তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব

বাড়িতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মাসিক কমবেশি ৩৯ হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে বাস করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সচিবদের জন্য রাজধানীর ইস্কাটনের সচিব নিবাসে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। তারপরও কোনো কোনো কর্মকর্তাকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এমনই বিশাল বাংলো ধরনের বাড়ি। অথচ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার অনেক কর্মকর্তাও মিনিস্টার অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে থাকছেন। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তার মন্তব্য, সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় করে এমন ‘আমলা তোষণনীতি’ পরিহার করা দরকার। এটা একধরনের অপচয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে থাকা সরকারি বাংলোগুলো বিভিন্ন শীর্ষ কর্মকর্তা যে যাঁর মতো করে বরাদ্দ নিয়েছেন। বিশেষ করে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রভাবশালী কিছু আমলা ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের কর্মকর্তা নামমাত্র সরকারি হারের ভাড়ার বিনিময়ে এসব বাংলো বাড়িতে থাকছেন।

ধানমন্ডি ও গুলশানসহ কয়েকটি এলাকায় অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, ২৪টি পরিত্যক্ত তালিকাভুক্ত বাংলো বাড়ির মধ্যে এখন ১১টিতেই বাস করছেন আমলারা। এর মধ্যে গুলশানের ১১৭ নম্বর রোডের ৩০ নম্বর বাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব-২ খাইরুল ইসলাম, ১৬ নম্বর রোডের ৩ নম্বর বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক গোলাম রসুল, ৮৪ নম্বর রোডের ২৬ নম্বর বাড়িতে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব জসিম উদ্দিন, ৭/১ নিউ বেইলি রোডের বাড়িতে প্রধান উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব শাব্বীর আহমদ, মোহাম্মদপুরের ৭/১০ স্যার সৈয়দ রোডে অতিরিক্ত সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, ধানমন্ডির ২ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আক্তার জাহান, ১৭, কলেজ স্ট্রিটের বাড়িতে যুগ্ম সচিব কামরুল ইসলাম, ধানমন্ডি ৫/এ-এর ৬১ নম্বর বাড়িতে অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রউফ বাস করছেন। এ ছাড়া গুলশানের ৭৪ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাড়ি ও ৩৬ নম্বর রোডের ১৩ নম্বর বাড়িতে সরকারি কর্মকর্তারা থাকেন।

বাড়িগুলোর বরাদ্দপ্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামানকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। কথা বলার আগ্রহ জানিয়ে এসএমএস করলেও গতকাল রাত পর্যন্ত জবাব পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলো বাড়িগুলো মূলত আবাসন পরিদপ্তর থেকে ভাড়াভিত্তিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপর গণপূর্ত তা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। এর বেশি কিছু নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ গ্রেপ্তার ২১

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন অপরাধে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, নলছিটি পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. ফারুক হোসেনসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ফারুক হোসেন (৬১), মো. রুবেল (২৮), মো. খোকন (৪০), মো. সাগর (৪০) ও মো. শান্ত (২৪)। গতকাল সোমবার বিকেলে ডিবি পুলিশ ভাটারা এলাকা থেকে রুবেল, খোকন, সাগর ও শান্তকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ সকালে সবুজবাগের বাসাবো এলাকা থেকে ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাঁরা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার মিছিল করেছেন। তাঁরা ‘শেখ হাসিনা সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারেও মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন।

অন্যদিকে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ বিশেষ অভিযানে মাদক ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলার আসামি, মাদক মামলার আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় জোড়া খুনের মামলায় ৭ আসামির মৃত্যুদণ্ড

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় জোড়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনায় জোড়া হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মহানগরীর দৌলতপুরে পারভেজ হাওলাদার ও সুপর্ণা সাহা নামের দুজনকে হত্যা মামলায় সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত মহানগর ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক সুমি আহমেদ এই জোড়া খুনের মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারহানা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন তুহিন, ইমামুল কবীর জীবন ওরফে শবে কাদির, রাজ, শহীদ শাহরিয়ার মিথুন, তুষার গাজী, শোয়েব ও শাকিল। তাঁদের মধ্যে তুহিন, শহীদ শাহরিয়ার মিথুন ও তুষার গাজী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য চারজন পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি কুটি ও শামীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি রাতে দৌলতপুরের দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে সাহাপাড়ায় সন্ত্রাসীরা গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পারভেজ হাওলাদারকে। এ সময় এলাকাবাসীর ওপর গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে সুপর্ণা সাহা, তাঁর বাবা দিলিপ সাহা ও তাঁর স্ত্রী রেখা সাহা গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুপর্ণা সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা নিজামউদ্দিন ২০০৯ সালের ৪ জানুয়ারি বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ৯ জনের নাম উল্লেখ করে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্রে আদালতে দাখিল করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদকভর্তি বিছানায় ঘুমাতেন তিনি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার মশিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার মশিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় মশিউর রহমান (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। অভিযানে গ্রেপ্তার যুবকের বিছানার নিচ থেকে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান রংপুর র‍্যাব-১৩-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।

গ্রেপ্তার যুবক মশিউর রহমান উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, ভারতীয় সীমান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার করে এনে নিজ বাড়িতে রেখে সারা দেশে পাইকারি বিক্রি করেন মশিউর রহমান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে অভিযান চালায় রংপুর র‍্যাব-১৩-এর একটি দল। এ সময় মশিউর রহমানের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে বিছানার নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৬৩৭ বোতল এসক্যাপ এবং ৪ কেজি দেড় শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে র‍্যাব। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তাঁকে আটক করা হয়।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে র‍্যাব।

রংপুর র‍্যাব-১৩-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ দমনে র‍্যাবের অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া রংপুর র‍্যাব-১৩-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসান বলেন, আটক মশিউরের নিজ শোয়ারঘরের বিছানার নিচ থেকে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে শিশুসহ নারীকে আটকে রেখে হেনস্তা, থানায় অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চোর সন্দেহে মাদারীপুরে শিশুসন্তানসহ নারীকে আটকে রেখে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার শহরের পুরান বাজারের স্বর্ণকারপট্টিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আদিল হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভুক্তভোগী জানান, সদর উপজেলার তালতলা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে তিনি শিশুকন্যাকে নিয়ে রুপার চুড়ি কেনার জন্য পুরান বাজারের স্বর্ণকার পট্টিতে যান। এ সময় স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র ঘোষ তাঁকে চোর সন্দেহে একটি দোকানে নিয়ে দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন।

ঘটনা জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যরা দোকানে গিয়ে কারণ জানতে চান। তখন স্বর্ণ ব্যবসায়ী দাবি করেন, ঘটনাটি সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। পরে আবার তিনি জানান, ক্যামেরাটি নষ্ট। কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় ভুক্তভোগী নারী রাতেই মাদারীপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘আমাকে ও আমার শিশুকে বিনা অপরাধে আটকে রেখে মানহানি করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই।’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী গোপাল চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমার সন্দেহ হয়েছিল, তাই আমাদের সংগঠনের সেক্রেটারিকে জানিয়েছিলাম। পরে সেক্রেটারিই তাদের কিছু সময়ের জন্য আটকে রেখে পরে ছেড়ে দেন।’ আর সংগঠনের সেক্রেটারি কামাল হোসেন বলেন, গোপাল চন্দ্র ঘোষের নির্দেশেই নারী ও শিশুকে দোকানে আটকে রাখা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত