ঢাবি প্রতিনিধি ও ঢামেক প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ছয় বা সাততলা থেকে লাফ দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার সময় ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী কাজী ফিরোজ। জানা যায়, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিষণ্নতার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ফিরোজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের ছয় বা সাততলা থেকে কোনো কিছু একটা পড়ার শব্দ হলে সবাই দৌড়ে আসে। পরবর্তী সময় রিকশা নিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফিরোজের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুখরিয়া গ্রামে। বাবা চুন্নু কাজী কৃষিকাজ করেন। মা আনোয়ারা বেগম একজন গৃহিণী। আজ বুধবার বেলা ১টার সময়ে পোস্টমর্টেম শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবারের তত্ত্বাবধানে ফিরোজের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় বলে জানায় তাঁর সহপাঠীরা।
কাজী ফিরোজের রুমমেট ও বন্ধু বিন ইয়ামিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্পর্কের জেরে ফিরোজ বেশ কয়েক দিন যাবৎ বিষণ্ন ছিলেন। তাকে বিভিন্ন সময় বুঝিয়েছি। তাকে সব সময় দেখেশুনে রাখতাম। বেশ কয়েক দিন আগে তার মা এসেছিল, ওই মেয়ের (যার সঙ্গে ফিরোজের সম্পর্ক) সঙ্গে কথা বলতে কিন্তু মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তখনই আমরা ফিরোজকে তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম, যেন সে স্বাভাবিক থাকে। গতকাল রাতে সে হঠাৎ করে রুম থেকে বের হয়ে যায়, পরে শুনি একাত্তর হল থেকে লাফ দিয়েছে। সে খুবই ভালো ছেলে, তার সঙ্গে কারও কোনো মনোমালিন্য ছিল না।’
কাজী ফিরোজের টেবিলে হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা আছে ‘মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই, এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই। আমার মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’ এ লেখার নিচে মাঝ বরাবর লেখা, ‘ফিরোজ।’ নিচে লেখা হয়েছে, ‘রাত: ১১টা ৩। ওপরে ১/০৯/২৩ লেখা রয়েছে।
পৃষ্ঠার বাকি অর্ধেকে আরও আছে—‘আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইল মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড ৮০৭৯, আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’ এই লেখার নিচে আবারও লেখা, ‘ফিরোজ।’ এর নিচে লেখা হয়েছে, ‘রাত ১১টা ৫।’
মৃত ফিরোজ কাজীর বড় ভাই ফেরদৌস কাজী বলেন, ‘আমি এলাকার একটি কলেজে অনার্স পড়তাম। ফিরোজ ঢাবিতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় আমার আর পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। পরিবার অসচ্ছলতার কারণে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে চাকরি নিই। অনেক কষ্ট করে ফিরোজকে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। সেই ভাই এভাবে মারা গেল!’
এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাওয়া হলে তাঁর চাচা এনামুল কাজী বলেন, ‘আপাতত মামলার বিষয়ে ভাবছি না। পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে রাখতে হবে। পরে পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে বিবেচনা করা হবে।’
কাজী ফিরোজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী বলে জানান তাঁর বন্ধুরা। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা হলের সামনে ওই মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে ফিরোজকে ‘অপমান’ করা হয় বলে আজকের পত্রিকাকে জানান বঙ্গমাতা হলের একাধিক শিক্ষার্থী।
সার্বিক বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দুজন শিক্ষকের মাধ্যমে ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি কোনো পদক্ষেপ পরিবার নিবে কি না—এমন বিষয়ে কথা বলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে পরবর্তীকালে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হলে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের ছয় বা সাততলা থেকে লাফ দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টার সময় ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়নিজ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী কাজী ফিরোজ। জানা যায়, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিষণ্নতার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ফিরোজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২০৩ নম্বর কক্ষে থাকতেন এবং হল শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হলের ছয় বা সাততলা থেকে কোনো কিছু একটা পড়ার শব্দ হলে সবাই দৌড়ে আসে। পরবর্তী সময় রিকশা নিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফিরোজের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুখরিয়া গ্রামে। বাবা চুন্নু কাজী কৃষিকাজ করেন। মা আনোয়ারা বেগম একজন গৃহিণী। আজ বুধবার বেলা ১টার সময়ে পোস্টমর্টেম শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবারের তত্ত্বাবধানে ফিরোজের লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয় বলে জানায় তাঁর সহপাঠীরা।
কাজী ফিরোজের রুমমেট ও বন্ধু বিন ইয়ামিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সম্পর্কের জেরে ফিরোজ বেশ কয়েক দিন যাবৎ বিষণ্ন ছিলেন। তাকে বিভিন্ন সময় বুঝিয়েছি। তাকে সব সময় দেখেশুনে রাখতাম। বেশ কয়েক দিন আগে তার মা এসেছিল, ওই মেয়ের (যার সঙ্গে ফিরোজের সম্পর্ক) সঙ্গে কথা বলতে কিন্তু মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তখনই আমরা ফিরোজকে তার মায়ের সঙ্গে বাড়িতে পৌঁছে দিতে চেয়েছিলাম, যেন সে স্বাভাবিক থাকে। গতকাল রাতে সে হঠাৎ করে রুম থেকে বের হয়ে যায়, পরে শুনি একাত্তর হল থেকে লাফ দিয়েছে। সে খুবই ভালো ছেলে, তার সঙ্গে কারও কোনো মনোমালিন্য ছিল না।’
কাজী ফিরোজের টেবিলে হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা আছে ‘মানুষ বাঁচে তার সম্মানে। আজ মানুষের সামনে আমার যেহেতু সম্মান নাই, এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আমার কোনো অধিকার নাই। আমার মৃত্যুর দায়ভার একান্ত আমার। সরি মা! বাড়ি থেকে তোমাকে দিয়ে আসা কথা রাখতে পারলাম না। আমার জীবন নিয়ে হতাশ।’ এ লেখার নিচে মাঝ বরাবর লেখা, ‘ফিরোজ।’ নিচে লেখা হয়েছে, ‘রাত: ১১টা ৩। ওপরে ১/০৯/২৩ লেখা রয়েছে।
পৃষ্ঠার বাকি অর্ধেকে আরও আছে—‘আমার ওয়ালেটের কার্ডে কিছু টাকা আছে। বন্ধুদের কাছে অনুরোধ রইল মায়ের হাতে দিতে। কার্ডের পাসওয়ার্ড ৮০৭৯, আর ফোনের লক খুলে দিয়ে গেলাম। আমার লাশের পোস্টমর্টেম না করে যেন বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনোরূপ আইনি ঝামেলায় কাউকে যেন জড়ানো না হয়। সবাই বাঁচুক। শুধু শুধু পৃথিবীর অক্সিজেন আর নষ্ট করতে চাই না।’ এই লেখার নিচে আবারও লেখা, ‘ফিরোজ।’ এর নিচে লেখা হয়েছে, ‘রাত ১১টা ৫।’
মৃত ফিরোজ কাজীর বড় ভাই ফেরদৌস কাজী বলেন, ‘আমি এলাকার একটি কলেজে অনার্স পড়তাম। ফিরোজ ঢাবিতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ায় আমার আর পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। পরিবার অসচ্ছলতার কারণে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে চাকরি নিই। অনেক কষ্ট করে ফিরোজকে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। সেই ভাই এভাবে মারা গেল!’
এ বিষয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না জানতে চাওয়া হলে তাঁর চাচা এনামুল কাজী বলেন, ‘আপাতত মামলার বিষয়ে ভাবছি না। পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে রাখতে হবে। পরে পরিবেশ-পরিস্থিতির আলোকে বিবেচনা করা হবে।’
কাজী ফিরোজের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থী বলে জানান তাঁর বন্ধুরা। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গমাতা হলের সামনে ওই মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে ফিরোজকে ‘অপমান’ করা হয় বলে আজকের পত্রিকাকে জানান বঙ্গমাতা হলের একাধিক শিক্ষার্থী।
সার্বিক বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের দুজন শিক্ষকের মাধ্যমে ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি কোনো পদক্ষেপ পরিবার নিবে কি না—এমন বিষয়ে কথা বলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে পরবর্তীকালে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়া হলে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কয়েক দিন ধরে উত্তাল সাগর। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে কূলে। এতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে। এরই মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর থেকে সাবরাং ইউনিয়নের খুরেরমুখ জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত অন্তত ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গত ৬ মাসে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৪৪ জন নারী-পুরুষ। এর মধ্যে বিষ পান করে ১৮৩, গলায় দড়ি দিয়ে ২৬ আর ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ৩৫ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত হলেও বেহাল রাজধানীর দোলাইরপাড় থেকে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত সড়ক। এমনিতে অপ্রশস্ত সড়কটির বেশির ভাগ অংশই এখন ভাঙাচোরা, খানাখন্দে ভরা। সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে হেলেদুলে চলাচল করছে যানবাহন।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানটি মাত্র সাত মিনিট উড়েছিল। ২১ জুলাই বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পর যুদ্ধবিমানটি ১টা ১৩ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি একাডেমিক ভবনে আছড়ে পড়ে।
৪ ঘণ্টা আগে