অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে মতাদর্শগত বিভাজন কাটিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন। সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে ’৭১ ও ’৯০-এর মতো ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান বৃথা যাবে।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য: বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘বহু মতাদর্শের মধ্যকার বিরোধ কীভাবে নিরসন করা যায়, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাষ্ট্রধর্ম, সংবিধানে “বিসমিল্লাহ” থাকবে কি না, এসব ইস্যু বিভক্তি তৈরি করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিচ্ছে—কেউ বলছে বেশি সময় নিন, কেউ বলছে দ্রুত নির্বাচন দিন। এই বিরোধের মধ্যে আমরা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান তৈরি করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সব শ্রেণি, পেশা ও ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়েছিল। আজ যদি কেউ ডানপন্থী বা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করেন, সেটি সম্ভব নয়। আমাদের মতভেদ সত্ত্বেও একটি নির্দিষ্ট মধ্যবিন্দুতে পৌঁছাতে হবে, যেখান থেকে বাংলাদেশ নতুন অভিযাত্রা শুরু করতে পারবে।’
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই রাষ্ট্র ও সমাজের মঙ্গল চাই—এটাই আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তি। কয়েক বছর আগে এমন পরিস্থিতি হবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি। মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এখন আমরা কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে তার মানে এই নয় যে, যা ইচ্ছা তাই বলা যাবে। নীতিনির্ধারকদের সবদিক বিবেচনা করতে হবে।’
চট্টগ্রামে একজন আইনজীবী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ড. তোফায়েল বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ যদি প্রতিশোধ নিতে মন্দির জ্বালিয়ে দিত, তবে কী হতো? কিন্তু তারা তা করেনি। এটাই জাতির পরিপক্বতা। গণতন্ত্র থাকলে সবাই কথা বলার সুযোগ পাবে এবং সবাই ভালো থাকবে। গণতন্ত্র না থাকলে কিছুই থাকবে না।’
তিনি যোগ করেন, ‘শুধু অর্থনীতি দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চালাতে হলে রাজনৈতিক অর্থনীতি দরকার। অর্থনীতি ও রাজনীতির মধ্যে একটি মেলবন্ধন থাকা প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
২০০৭ সালের উদাহরণ টেনে ড. তোফায়েল বলেন, ‘সেই সময় সবাই সংস্কারের কথা বলছিল, কিন্তু কিছুই করা সম্ভব হয়নি। যারা সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছিলেন, তাঁরা দলের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন। সংস্কার করার চেষ্টার কারণে “সংস্কারপন্থী” শব্দটি গালি হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা দেশ চালাতে পারবেন, কিন্তু গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট শিগগিরই প্রকাশিত হবে। তিন মাসের মধ্যে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, নির্বাচিত সরকার কী করবে এবং ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করা যাবে।’
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের আগে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না। ৫ আগস্টে দেখলাম, সবাই আছে, শুধু আওয়ামী লীগ নেই। এই বৈচিত্র্যের ঐক্যই বাংলাদেশের পরিচয়।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, জনগণের শক্তির সামনে কোনো শক্তিই টিকে থাকতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য দূর করা যাবে না, যদি না মূল কারণগুলো সমাধান করা হয়।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি একা সামলানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথেষ্ট নয়। সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র শক্তি একত্রিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে বৈরী প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেছে। বিগত সরকার ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থের কাছে বাংলাদেশকে সমর্পণ করেছে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্কার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জানুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে, তবে সেটি একটি বড় সাফল্য হবে।’
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের সভাপতি শেখ আব্দুন নূর বলেন, ‘দেশ সঠিক পথে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেন সঠিক পথে থাকে, আমরা সেই লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকব।’
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে মতাদর্শগত বিভাজন কাটিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন। সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে ’৭১ ও ’৯০-এর মতো ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান বৃথা যাবে।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য: বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘বহু মতাদর্শের মধ্যকার বিরোধ কীভাবে নিরসন করা যায়, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাষ্ট্রধর্ম, সংবিধানে “বিসমিল্লাহ” থাকবে কি না, এসব ইস্যু বিভক্তি তৈরি করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিচ্ছে—কেউ বলছে বেশি সময় নিন, কেউ বলছে দ্রুত নির্বাচন দিন। এই বিরোধের মধ্যে আমরা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান তৈরি করতে পারছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সব শ্রেণি, পেশা ও ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়েছিল। আজ যদি কেউ ডানপন্থী বা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করেন, সেটি সম্ভব নয়। আমাদের মতভেদ সত্ত্বেও একটি নির্দিষ্ট মধ্যবিন্দুতে পৌঁছাতে হবে, যেখান থেকে বাংলাদেশ নতুন অভিযাত্রা শুরু করতে পারবে।’
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই রাষ্ট্র ও সমাজের মঙ্গল চাই—এটাই আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তি। কয়েক বছর আগে এমন পরিস্থিতি হবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি। মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এখন আমরা কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে তার মানে এই নয় যে, যা ইচ্ছা তাই বলা যাবে। নীতিনির্ধারকদের সবদিক বিবেচনা করতে হবে।’
চট্টগ্রামে একজন আইনজীবী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ড. তোফায়েল বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ যদি প্রতিশোধ নিতে মন্দির জ্বালিয়ে দিত, তবে কী হতো? কিন্তু তারা তা করেনি। এটাই জাতির পরিপক্বতা। গণতন্ত্র থাকলে সবাই কথা বলার সুযোগ পাবে এবং সবাই ভালো থাকবে। গণতন্ত্র না থাকলে কিছুই থাকবে না।’
তিনি যোগ করেন, ‘শুধু অর্থনীতি দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চালাতে হলে রাজনৈতিক অর্থনীতি দরকার। অর্থনীতি ও রাজনীতির মধ্যে একটি মেলবন্ধন থাকা প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’
২০০৭ সালের উদাহরণ টেনে ড. তোফায়েল বলেন, ‘সেই সময় সবাই সংস্কারের কথা বলছিল, কিন্তু কিছুই করা সম্ভব হয়নি। যারা সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছিলেন, তাঁরা দলের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন। সংস্কার করার চেষ্টার কারণে “সংস্কারপন্থী” শব্দটি গালি হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা দেশ চালাতে পারবেন, কিন্তু গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট শিগগিরই প্রকাশিত হবে। তিন মাসের মধ্যে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, নির্বাচিত সরকার কী করবে এবং ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করা যাবে।’
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের আগে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না। ৫ আগস্টে দেখলাম, সবাই আছে, শুধু আওয়ামী লীগ নেই। এই বৈচিত্র্যের ঐক্যই বাংলাদেশের পরিচয়।’
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, জনগণের শক্তির সামনে কোনো শক্তিই টিকে থাকতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য দূর করা যাবে না, যদি না মূল কারণগুলো সমাধান করা হয়।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি একা সামলানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথেষ্ট নয়। সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র শক্তি একত্রিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে বৈরী প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেছে। বিগত সরকার ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থের কাছে বাংলাদেশকে সমর্পণ করেছে।’
সাইফুল হক আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্কার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জানুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে, তবে সেটি একটি বড় সাফল্য হবে।’
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের সভাপতি শেখ আব্দুন নূর বলেন, ‘দেশ সঠিক পথে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেন সঠিক পথে থাকে, আমরা সেই লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকব।’
রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে মাথা থেঁতলে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
২২ মিনিট আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে, লগি-বইঠার বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন। কিন্তু আজ দেশে আবার নতুন করে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দেখা যাচ্ছ
২৬ মিনিট আগে‘তিন বছরের একটি ছোট শিশুর একা একা এ ধরনের প্রবল বর্ষণের সময় বাইরে অবস্থান এবং খেলাধুলা করার ক্ষেত্রে পরিবারের উচিত ছিল তার দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা। নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যুর পেছনে এটি একটি অন্যতম কারণ।’ চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের আনন্দিপুর এলাকায় গত বুধবার নালায় পড়ে শিশু হুমায়রার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান
৩২ মিনিট আগেপাবনার চাটমোহর উপজেলায় চলনবিলে অভিযান চালিয়ে বিপুল চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুসা নাসের চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযান চলে। জব্দ করা জালের মূল্য ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
৪০ মিনিট আগে