Ajker Patrika

‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐকমত্য প্রয়োজন’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬: ১৬
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য: বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: আজকের পত্রিকা
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য: বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে মতাদর্শগত বিভাজন কাটিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন। সংস্কারের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে ’৭১ ও ’৯০-এর মতো ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান বৃথা যাবে।

আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য: বিরোধ সুরাহার পথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘বহু মতাদর্শের মধ্যকার বিরোধ কীভাবে নিরসন করা যায়, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। রাষ্ট্রধর্ম, সংবিধানে “বিসমিল্লাহ” থাকবে কি না, এসব ইস্যু বিভক্তি তৈরি করছে। রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিচ্ছে—কেউ বলছে বেশি সময় নিন, কেউ বলছে দ্রুত নির্বাচন দিন। এই বিরোধের মধ্যে আমরা সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় স্থান তৈরি করতে পারছি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে সব শ্রেণি, পেশা ও ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়েছিল। আজ যদি কেউ ডানপন্থী বা সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করেন, সেটি সম্ভব নয়। আমাদের মতভেদ সত্ত্বেও একটি নির্দিষ্ট মধ্যবিন্দুতে পৌঁছাতে হবে, যেখান থেকে বাংলাদেশ নতুন অভিযাত্রা শুরু করতে পারবে।’

স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই রাষ্ট্র ও সমাজের মঙ্গল চাই—এটাই আমাদের ঐকমত্যের ভিত্তি। কয়েক বছর আগে এমন পরিস্থিতি হবে, তা কেউ কল্পনাও করেনি। মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। এখন আমরা কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছি, তবে তার মানে এই নয় যে, যা ইচ্ছা তাই বলা যাবে। নীতিনির্ধারকদের সবদিক বিবেচনা করতে হবে।’

চট্টগ্রামে একজন আইনজীবী হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ড. তোফায়েল বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ যদি প্রতিশোধ নিতে মন্দির জ্বালিয়ে দিত, তবে কী হতো? কিন্তু তারা তা করেনি। এটাই জাতির পরিপক্বতা। গণতন্ত্র থাকলে সবাই কথা বলার সুযোগ পাবে এবং সবাই ভালো থাকবে। গণতন্ত্র না থাকলে কিছুই থাকবে না।’

তিনি যোগ করেন, ‘শুধু অর্থনীতি দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চালাতে হলে রাজনৈতিক অর্থনীতি দরকার। অর্থনীতি ও রাজনীতির মধ্যে একটি মেলবন্ধন থাকা প্রয়োজন। সংস্কার ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।’

২০০৭ সালের উদাহরণ টেনে ড. তোফায়েল বলেন, ‘সেই সময় সবাই সংস্কারের কথা বলছিল, কিন্তু কিছুই করা সম্ভব হয়নি। যারা সংস্কারের পক্ষে কথা বলেছিলেন, তাঁরা দলের বাইরে ছিটকে পড়েছিলেন। সংস্কার করার চেষ্টার কারণে “সংস্কারপন্থী” শব্দটি গালি হয়ে গিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিবিদেরা দেশ চালাতে পারবেন, কিন্তু গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট শিগগিরই প্রকাশিত হবে। তিন মাসের মধ্যে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, নির্বাচিত সরকার কী করবে এবং ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করা যাবে।’

বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের আগে দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না। ৫ আগস্টে দেখলাম, সবাই আছে, শুধু আওয়ামী লীগ নেই। এই বৈচিত্র্যের ঐক্যই বাংলাদেশের পরিচয়।’

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, জনগণের শক্তির সামনে কোনো শক্তিই টিকে থাকতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে ফ্যাসিবাদের বৈশিষ্ট্য দূর করা যাবে না, যদি না মূল কারণগুলো সমাধান করা হয়।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি একা সামলানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যথেষ্ট নয়। সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র শক্তি একত্রিত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে বৈরী প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখেছে। বিগত সরকার ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থের কাছে বাংলাদেশকে সমর্পণ করেছে।’

সাইফুল হক আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্কার অপরিহার্য। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জানুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে, তবে সেটি একটি বড় সাফল্য হবে।’

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের সভাপতি শেখ আব্দুন নূর বলেন, ‘দেশ সঠিক পথে না পৌঁছানো পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। রাজনৈতিক দলগুলো যেন সঠিক পথে থাকে, আমরা সেই লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সড়কে বিকল ট্রাকে সিএনজির ধাক্কা, নিহত ২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনার পূর্বধলায় সড়কে বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বালুবাহী ট্রাকের পেছনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় নারীসহ আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের নারান্দিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার চায়না মোড় এলাকার আব্দুল জলিল (৪৫) ও নেত্রকোনা সদর উপজেলার আসাদআটি গ্রামের শহীদ মিয়া (৪২)। আহত শহীদ মিয়ার স্ত্রী রেজিয়া আক্তার (৪০) এবং আরেক অজ্ঞাতনামা নারী যাত্রীকে স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বালুভর্তি একটি ট্রাক সড়কের পাশে বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। রাতের আঁধারে ময়মনসিংহগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ট্রাকটি দেখতে না পেয়ে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী মারা যান।

শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ নান্নু খান বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুমিল্লা সীমান্তে ৬৮ লাখ টাকার ভারতীয় শাড়ি-শাল জব্দ

 কুমিল্লা প্রতিনিধি 
কুমিল্লা সীমান্তে জব্দ করা ভারতীয় শাড়ি-শাল। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুমিল্লা সীমান্তে জব্দ করা ভারতীয় শাড়ি-শাল। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ শাড়ি ও শাল জব্দ করেছে কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি)। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) গভীর রাতে আদর্শ সদর উপজেলার বিবিরবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে এসব চোরাচালানের পণ্য জব্দ করা হয়। কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ জানান, আন্তসীমান্ত চোরাচালান ও অবৈধ মাদক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিবিরবাজার বিওপির কটকবাজার পোস্টের একটি বিশেষ টহল দল অভিযান শুরু করে।

অভিযান চলাকালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পালপাড়া এলাকায় একটি মিনি পিকআপ পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখতে পান বিজিবির সদস্যরা। গাড়িটি তল্লাশি করে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শাড়ি ও শাল জব্দ করা হয়। জব্দ মালপত্রের আনুমানিক বাজারমূল্য ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।

বিজিবি সূত্র জানায়, মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করা এসব পণ্য যে পথে আনা হয়েছে, সেটি ফেনসিডিল, গরু, সোনা, মাদক ও অন্যান্য চোরাচালানের জন্য ব্যবহৃত একটি সক্রিয় পয়েন্ট। চোরাচালান প্রতিরোধে ওই এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

জব্দ মালপত্র পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাংনীতে কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরের গাংনীতে বিপ্লব হোসেন (৫০) নামের এক কাঠমিস্ত্রির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে গাংনী থানা-পুলিশ পৌর শহরের ফতাইপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে। বিপ্লব হোসেন বগুড়া সদর উপজেলার মো. আনিসুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিপ্লব হোসেন তিন মাস ধরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আরও দুজন মিস্ত্রিসহ বসবাস করছিলেন। বিপ্লবের পরিবার তাঁর কাছে ফোন দিয়ে সাড়া না পাওয়ায় বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে। বাড়ির মালিক গিয়ে দেখতে পান বিপ্লবের শয়নকক্ষে তালা ঝোলানো এবং আরেকটি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তালা ভেঙে দেখতে পায় বিছানায় বিপ্লবের মরদেহ পড়ে রয়েছে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা দুজনকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা জিনারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় তিন মাস ধরে তারা এখানে রয়েছে। তারা স্থানীয় একটি দোকানে চা খেতে আসত। তাদের সবার বাড়ি বগুড়ায় বলত। বৃহস্পতিবার রাতে শুনতে পাই, বিপ্লব হোসেন নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা দুজনের কেউই নেই। এর বেশি কিছু আমরা জানি না।’

গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তালা ভেঙে বিপ্লব হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, না অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনের আশা পূরণে ফাতেমা রা‌নী তীর্থোৎসবে মোমবাতি হাতে হাজারো ভক্ত

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রায় ৩০ হাজার তীর্থযাত্রী হাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে দুই কিলোমিটারের বেশি আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল—‘মা মারিয়া’র প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর আশীর্বাদ প্রার্থনা করা।

বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্ম পল্লিতে অনুষ্ঠিত হলো দুই দিনব্যাপী ‘ফাতেমা রানী তীর্থোৎসবের’ বর্ণাঢ্য আলোক শোভাযাত্রা। আজ (শুক্রবার) দুপুরে মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে এ বছরের তীর্থোৎসব। এই উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলসহ বিদেশ থেকেও রোমান ক্যাথলিক তীর্থযাত্রীরা অংশ নেন।

শেরপুর-২
শেরপুর-২

পবিত্র খ্রিস্টযোগের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় তীর্থোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে রাত ৮টায় আলোক শোভাযাত্রা, ১১টায় মা মারিয়ার মূর্তিকে সামনে রেখে বিশাল প্যান্ডেলে আরাধনা এবং রাত ১২টায় নিরাময় অনুষ্ঠান ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রথম দিনের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান। শুক্রবার সকাল ৮টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও সকাল ১০টায় মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের তীর্থোৎসব।

প্রধান অতিথি হিসেবে এবারের উৎসব উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র‌্যান্ডেল। এবারের তীর্থের মূল সুর ছিল—‘আশার তীর্থযাত্রী: ফাতেমা রানী মা মারিয়া, বারমারী।’

রাজশাহী থেকে আগত তীর্থযাত্রী রোজিনা চাম্বুগং বলেন, ‘এখানে ভক্তরা মনের আশা পূরণের জন্য এবং অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করেন। এতে তাঁদের মনোবাসনা পূরণ হয়।’

খাগড়াছড়ি থেকে আসা জুয়েল ত্রিপুরা বলেন, ‘আমি প্রথমবারের মতো এখানে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে।’

মুক্তাগাছা থেকে আসা কারিশমা চাম্বুগং বলেন, ‘মারিয়ার কাছে এলে মনে এক ধরনের শান্তি পাই। আমরা এখানে প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতিবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।’

আয়োজক কমিটির সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই তীর্থযাত্রা প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়।

তীর্থোৎসব সমন্বয়কারী রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারি বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় সুন্দরভাবে সবকিছু সম্পন্ন হচ্ছে। এ জন্য আমরা খুবই আনন্দিত।’

তীর্থের সার্বিক বিষয়ে জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, এই উৎসবে সতর্কতা ও শতভাগ পেশাদারত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করেছেন সকল বাহিনীর সদস্যরা। চার স্তরের নিরাপত্তা বিধানে সাদাপোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত