নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোভিডের সময়ে বাল্যবিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে শতকরা ৭৮ জনই ছিলেন অভিভাবক। শুধু কোভিডের সময়ে নয়, অন্যান্য সময়েও বাল্যবিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকাই থাকে মুখ্য। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শিশুর ওপর বাল্যবিয়ের শারীরিক, মানসিক ভয়াবহতা সম্পর্কে অভিভাবকেরা সচেতন নন, সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এবং কন্যাশিশুর বোঝা থেকে মুক্তির উপায় বলে বাল্যবিয়েকে মনে করেন।
এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আজ আয়োজন করেছিল, ‘অভিভাবকরাই পারে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সমাজের সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। বাল্যবিয়ের কারণে কন্যাশিশুরা যে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, এ কথাটিও ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নিচের সকল শিশুর বাল্যবিয়ে নির্মূল করার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, কোভিড আসার কারণে তা বিঘ্নিত হয়েছে। এরপরেও সরকার পরিকল্পনা করেছে ২০৪১ সালের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সের কন্যাশিশুর বিয়ে বন্ধ করা।’
কোভিড চলাকালে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) পরিচালিত বাল্যবিয়ে বিষয়ক জরিপে যে তথ্যগুলো উঠে এসেছে, তা হচ্ছে, সমাজে ছেলে ও মেয়ে শিশুর মধ্যে প্রচলিত বৈষম্য খুব শক্তিশালী, বাল্যবিয়ে দেওয়ার জন্য প্রবল সামাজিক চাপ, সমাজে ধারণা প্রচলিত আছে যে অল্প বয়সে বিয়ে হলে যৌতুক কম দিতে হবে, ভালো পাত্র পাওয়া যাবে ইত্যাদি।
এ ছাড়া অনেক অভিভাবক মনে করেন যে বাল্যবিয়ে দিলে তার মেয়ে শিশুটির যৌনতা সুরক্ষিত থাকবে। অথচ তারা বুঝতেও পারে না যে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে তাকে একটি অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় যার পরিণতিতে অনেক সময় শিশুটির মৃত্যু ঘটে থাকে। এই সব কারণে বাল্যবিয়ের ধারণা মানুষের কাছে গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। এই গবেষণায় সহায়তা করেছে ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘অভিভাবকেরা প্রায় সবাই মনে করেন যে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের সন্তান এবং এই কারণেই তারা সন্তানের দ্রুত বিয়ে দিতে চান। কিন্তু তারা হয়তো বুঝতে পারেন না যে বাল্যকালে এই বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মেয়েটি আরও অনেক বেশি ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, ‘পরিবারের দায়িত্ব সন্তানের হাতে বই তুলে দেওয়া। তিনি মনে করেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় থেকে সেলাইমেশিন, প্রশিক্ষণ সহায়তাসহ আরও যেসব প্রণোদনা দেয় হয়, সেগুলো যেন ছাত্রীদের নামেই দেওয়া হয়, তাহলেই বাল্যবিয়ে অনেক কমে আসবে। । শর্ত থাকবে যে যারা পড়াশোনা করবে, তারাই এই সুবিধা পাবে।’
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমীন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান।
অতিথি বক্তা ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার-জেন্ডার, তাহমিনা হক এবং কানাডা হাইকমিশনের উন্নয়ন উপদেষ্টা সিলিভিয়া ইসলাম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন এমজেএফেরর প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর অর্পিতা দাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রোধে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) বাস্তবায়নে চালাতে হবে ব্যাপক প্রচারণা। সবচেয়ে আগে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় এবং বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে শহরের বস্তি এলাকায়, গ্রামে, সাধারণ পরিবারগুলোর অভিভাবকদের এবং কিশোর কিশোরীদের কাছে।
কোভিডের সময়ে বাল্যবিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাদের মধ্যে শতকরা ৭৮ জনই ছিলেন অভিভাবক। শুধু কোভিডের সময়ে নয়, অন্যান্য সময়েও বাল্যবিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকাই থাকে মুখ্য। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শিশুর ওপর বাল্যবিয়ের শারীরিক, মানসিক ভয়াবহতা সম্পর্কে অভিভাবকেরা সচেতন নন, সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ এবং কন্যাশিশুর বোঝা থেকে মুক্তির উপায় বলে বাল্যবিয়েকে মনে করেন।
এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আজ আয়োজন করেছিল, ‘অভিভাবকরাই পারে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘অভিভাবকদের সচেতন করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সমাজের সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে। বাল্যবিয়ের কারণে কন্যাশিশুরা যে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, এ কথাটিও ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ১৫ বছরের নিচের সকল শিশুর বাল্যবিয়ে নির্মূল করার যে উদ্যোগ নিয়েছিল, কোভিড আসার কারণে তা বিঘ্নিত হয়েছে। এরপরেও সরকার পরিকল্পনা করেছে ২০৪১ সালের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সের কন্যাশিশুর বিয়ে বন্ধ করা।’
কোভিড চলাকালে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) পরিচালিত বাল্যবিয়ে বিষয়ক জরিপে যে তথ্যগুলো উঠে এসেছে, তা হচ্ছে, সমাজে ছেলে ও মেয়ে শিশুর মধ্যে প্রচলিত বৈষম্য খুব শক্তিশালী, বাল্যবিয়ে দেওয়ার জন্য প্রবল সামাজিক চাপ, সমাজে ধারণা প্রচলিত আছে যে অল্প বয়সে বিয়ে হলে যৌতুক কম দিতে হবে, ভালো পাত্র পাওয়া যাবে ইত্যাদি।
এ ছাড়া অনেক অভিভাবক মনে করেন যে বাল্যবিয়ে দিলে তার মেয়ে শিশুটির যৌনতা সুরক্ষিত থাকবে। অথচ তারা বুঝতেও পারে না যে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে তাকে একটি অনিরাপদ যৌন সম্পর্কের দিকে ঠেলে দেওয়া হয় যার পরিণতিতে অনেক সময় শিশুটির মৃত্যু ঘটে থাকে। এই সব কারণে বাল্যবিয়ের ধারণা মানুষের কাছে গ্রহণীয় হয়ে উঠেছে। এই গবেষণায় সহায়তা করেছে ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ‘অভিভাবকেরা প্রায় সবাই মনে করেন যে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের সন্তান এবং এই কারণেই তারা সন্তানের দ্রুত বিয়ে দিতে চান। কিন্তু তারা হয়তো বুঝতে পারেন না যে বাল্যকালে এই বিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মেয়েটি আরও অনেক বেশি ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, ‘পরিবারের দায়িত্ব সন্তানের হাতে বই তুলে দেওয়া। তিনি মনে করেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয় থেকে সেলাইমেশিন, প্রশিক্ষণ সহায়তাসহ আরও যেসব প্রণোদনা দেয় হয়, সেগুলো যেন ছাত্রীদের নামেই দেওয়া হয়, তাহলেই বাল্যবিয়ে অনেক কমে আসবে। । শর্ত থাকবে যে যারা পড়াশোনা করবে, তারাই এই সুবিধা পাবে।’
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমীন এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফারজানা রহমান।
অতিথি বক্তা ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার-জেন্ডার, তাহমিনা হক এবং কানাডা হাইকমিশনের উন্নয়ন উপদেষ্টা সিলিভিয়া ইসলাম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন এমজেএফেরর প্রোগ্রাম কো–অর্ডিনেটর অর্পিতা দাস।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রোধে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) বাস্তবায়নে চালাতে হবে ব্যাপক প্রচারণা। সবচেয়ে আগে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন, এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় এবং বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে শহরের বস্তি এলাকায়, গ্রামে, সাধারণ পরিবারগুলোর অভিভাবকদের এবং কিশোর কিশোরীদের কাছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সব আন্তনগর ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
৩ মিনিট আগেপ্রায় ১১০০ কোটি টাকার মূল্যের সার আত্মসাতের অভিযোগে নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৩ মিনিট আগেনিহত ব্যক্তির স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আরব আলি মণ্ডল তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ও বেধড়ক মারধর করছিলেন। এ সময় বড় ভাই আব্দুল ওহাব নিষেধ করেন। তিনি ছোট ভাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, স্ত্রীকে মারধর করার দরকার নেই। শ্বশুর বাড়িতে খবর দিয়ে নিয়ে যেতে বলো। স্ত্রী যদি মারা
১৯ মিনিট আগেচাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর এলাকায় দৌড়ে রাস্তা পার হতে যাওয়া এক শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে সিএনজিচালিত দুটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এনাম হোসেন (২১) নামের যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে শিশুসহ আরও পাঁচজন। আজ বুধবার (৭ মে) বেলা ১টার দিকে দেবপুর মাদ্রাসার সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
২২ মিনিট আগে