Ajker Patrika

আজকের পত্রিকার সঙ্গেই মিশে থাকবেন ফাহির ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ২১: ০৩
আজকের পত্রিকার সঙ্গেই মিশে থাকবেন ফাহির ফখরুল

তরুণ সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা (ফাহির ফখরুল) আজকের পত্রিকার সঙ্গে আজীবন মিশে থাকবে। আমরা সবাই হয়তো বাস্তবতার বেড়াজালে বন্দী হয়ে কোথাও না কোথাও চলে যাব। কিন্তু তরুণ এই সাংবাদিক আজীবন আজকের পত্রিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। বিশেষ করে আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সে। 

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় ফাহিরের স্মৃতিচারণায় আজকের পত্রিকা অফিসে আয়োজিত এক শোকসভায় কথাগুলো বলছিলেন ফাহিরের সহকর্মী আজকের পত্রিকার সহকারী বার্তা সম্পাদক ফজলুল কবির।

চিকিৎসার জন্যও সময় দেননি ফাহির। এ নিয়ে আফসোস করেন আজকের পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সেলিম খানকান্নাজড়িত কণ্ঠে ফজলুল কবির বলছিলেন, ‘ফাহিরের বিয়ের দিন ধার্য ছিল আগামী জানুয়ারি মাসে। এ জন্য এক মাসের একটা লম্বা ছুটি চেয়েছিল সে। কিন্তু আমি কখনোই বুঝতে পারিনি এত লম্বা ছুটি সে নেবে, যেখান থেকে সে আর কখনোই আমাদের মাঝে ফিরে আসবে না।’ 

আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘এই সভাটি অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। মৃত্যু বাস্তব এবং অনিবার্য সত্য। কিন্তু সেই সত্য যে ২৪ বছর বয়সের একজন সহকর্মীকে হারিয়ে মেনে নিতে হবে, তা কখনোই ভাবিনি। ফাহিরের এই মৃত্যু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’ 

ফাহির ছিলেন পরিবারের সদস্যের মতো। শোকসভায় বলেন আজকের পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক মামুন আবদুল্লাহআজকের পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সেলিম খান বলেন, ‘দশ মাস না পেরোতেই এই ধরনের একটি সভা আমাদের করতে হবে, তা কখনো ভাবিনি। ফাহির যেদিন মারা গেল, সেদিন সে সকালে এসে অফিস করে গেছে। এর পর বাসায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা গেল। আমার কেন জানি বারবার খুব আফসোস হচ্ছে, ফাহির কেন অফিসে অসুস্থ হলো না। তাহলে অন্তত ফাহিরকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টার আক্ষেপটা মিটত।’ 

এ সময় সেলিম খান সবার উদ্দেশে নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন। 

আজকের পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক মামুন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় সাড়ে ছয় শ কর্মীর একটি পরিবার আমরা। এর ভেতর থেকে ফাহির চলে গেল। শোক আর কান্না ছাড়া আমাদের এখন আর কিছুই করার নেই। তবু বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’ 

আজকের পত্রিকার সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, ফাহির সবাইকে আপন করে নিতে পারতেনআজকের পত্রিকার সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, ‘ফাহিরের সঙ্গে আমার তেমন কোনো পরিচয় না থাকলেও মারা যাওয়ার দিন সে আমার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছিল। সব সময় ছেলেটাকে হাসিখুশি দেখেছি। ছেলেটি যেভাবে এই অল্প সময়ে আমাদের সবাইকে অত্যন্ত আপন করে নিয়েছে, তার সেই শিক্ষা থেকেই আমরা সবাইকে যেন আপন করে নিতে পারি।’ 

আজকের পত্রিকার সহকারী বার্তা সম্পাদক অর্ণব সান্যাল বলেন, ‘ফাহির সেদিন অফিসে এসেছিল। ওপরে ক্যানটিনে যখন খাচ্ছিলাম তখন সে বলেছিল, ভাই, আমি এখন যাই? তার সেই যাওয়াটাই শেষ যাত্রা ছিল কখনোই ভাবিনি। জানলে তাঁকে কখনো যেতে দিতাম না।’ 

শোকসভায় স্মৃতিচারণ করেন ফাহিরের বন্ধু ফয়সাল আহমেদ।ফাহিরের বন্ধু ফয়সাল আহমেদ স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমি আর ফাহির এক বেডে ঘুমিয়েছি। কত শত স্মৃতি ওর সঙ্গে আমার। মৃত্যুর দিন অফিস থেকে আসার পরই বলছিল, আমার শরীর খারাপ করছে। সঙ্গে সঙ্গে ফাহিরকে নিচে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বের হই। কিন্তু ১ কিলোমিটারের পথও দেরি সইল না আমার বন্ধুর। পথেই আমার হাতে মারা গেল।’ 

এর আগে ফাহিরকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন তাঁর সহকর্মী সুপ্রিয় সিকদার ও গোলাম ওয়াদুদ। 

শোকসভার শুরুতেই ফাহিরের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শোকসভা শেষে ফাহিরের জন্য দোয়া করা হয়। এ সময় আজকের পত্রিকায় ফাহিরের সহকর্মী ও তাঁর বন্ধুদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত