Ajker Patrika

শামীম মোল্লাকে পানিও খেতে দেয়নি পাষণ্ডরা

জাবি সংবাদদাতা
আপডেট : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫: ০৮
শামীম মোল্লাকে পানিও খেতে দেয়নি পাষণ্ডরা

গত ১৫ জুলাই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে বেধড়ক পেটানো হয়।

গত বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটকসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাঁকে মারধর করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, লাঠি হাতে তাঁকে মারছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব। এ সময় লাথি দিতে দেখা যায় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিককে। আহসান লাবিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার অন্যতম একজন সমন্বয়ক। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তাঁকে এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এদিকে শামীমকে মারধরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আবার দফায় দফায় তাঁকে মারধর করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ‘আমি যখন সবাইকে আটকাতে যাব, তখন আমাকে আহসান লাবিব আটকে রাখে। শামীম যখন পানি খেতে চায়, তখন আমি তাকে পানি দিতে গেলে আমার হাত থেকে পানির বোতল ফেলে দেওয়া হয়।’

এদিকে নিরাপত্তা শাখার কার্যালয়ের ভিডিও ফুটেজ থেকে পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া, রাজু আহমেদ, রাজন হাসান, হামিদুল্লাহ সালমান এবং এম এন সোহাগ। সবাই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সাঈদ হোসেন ভুঁইয়া ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া রাজু আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, রাজন হাসান একই বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, হামিদুল্লাহ সালমান ইংরেজি ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও এম এন সোহাগ কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মারধরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

এদিকে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় মারধরের পর শামীকে সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, হাসপাতালে তাঁকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত