Ajker Patrika

দোহার পৌর এলাকায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া

দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২২, ১২: ৩৮
দোহার পৌর এলাকায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া

দীর্ঘ ২২ বছর পর ঢাকার দোহার উপজেলার পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। আগামী ২৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই ঈদের পরদিন থেকেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন মেয়র, কাউন্সিল ও মহিলা কাউন্সিল প্রার্থীরা। তাঁদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তাঘাট। চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ ও পাড়া-মহল্লায় চলছে প্রার্থী ও তাঁদের প্রতীক নিয়ে আলোচনা। 

প্রচার-প্রচারণা তালিকায় রয়েছে-মাইকিং, উঠান বৈঠক ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়া। এই ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, নারীরা বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন এবং দেওয়া হচ্ছে চকলেট।

জানা যায়, দীর্ঘ ২২ বছর পর দোহার পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ জুলাই। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ায় এবার মেয়র পদে ৮ জন লড়বেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে লোক রয়েছেন ৬ জন। বাংলাদেশ ইসলামি আন্দোলন হাতপাখার হয়ে মেয়র পদে আমজাদ হোসেন এবং বিএনপির সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদার প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম ইস্ত্রি মার্কা নিয়ে লড়বেন। এ ছাড়া দোহার পৌরসভার কাউন্সিল পদে ৬১ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ১২ জন প্রার্থী লড়বেন পৌরসভা নির্বাচনে। 
থেমে নেই পৌর প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণাও। তেমনি পৌর নির্বাচনের প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। 

 ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন খান রাজিব বলেন, ‘আমি কাউন্সিলর হলে ১০০ শতাংশ বয়স ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করব। যুবসমাজকে ধ্বংস করছে মাদক। আমি নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডকে মাদকমুক্ত করব ইনশা আল্লাহ।’ 

 পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শেখ সেলিম বলেন, ‘মানুষের চাওয়া অল্প, বেশি নয়। তারা চায় তাদের জন্য যে সরকারি বরাদ্দ থাকে, সেগুলো যেন সঠিকভাবে বণ্টন করা হয়। তাই আমি নির্বাচিত হলে বয়স্ক ভাতা, ভিজিএফের চাল, সরকারি ত্রাণ, নাগরিক সনদ ইত্যাদি সঠিকভাবে বণ্টন করব।’ 

 ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. রাজিব শরীফ বলেন, ‘গতকাল সোমবার ঢাকা-১ আসনের সংসদ সালমান এফ রহমান আমাদের ডেকেছিলেন। তিনি আমাদের বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনী কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা থাকবে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও থাকবে।’ 

এ বিষয়ে দোহার পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থী মো. আলমাছ তাঁর ১ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে বলেন, ‘পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমস্যা রয়েছে। আমি বিগত ২২ বছর দোহার পৌরসভায় কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই স্থান থেকে আমি যতটুকু পেরেছি কাজ করেছি। আশা করছি, আবারও পৌর মেয়র হতে পারলে পৌরবাসীর জন্য আরও বেশি উন্নয়ন করতে পারব। তাই আপনারা আমাকে জগ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’ 

নির্বাচন সম্পর্কে দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ব্যক্তি হিসেবে যে কাউকে আমার পছন্দ হতে পারে। তবে দলীয় নেতা হিসেবে নির্বাচনে যাঁরা অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরা সবাই আমার প্রার্থী।’ 

দোহার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, দীর্ঘ বছর পর পৌরসভা নির্বাচন হবে। তাই ভোটারদের মাঝে ভোটের আনন্দ ফিরে এসেছে। আগামী ২৭ জুলাই ইভিএমের মাধ্যমে পৌর নির্বাচন হবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

‘৫ মিনিট রুলস’ যেভাবে ইলন মাস্কের জীবনে সাফল্য আনল

যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের বাজার দখলের চেষ্টা ভারতে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত