Ajker Patrika

রাতে বান্ধবীকে নিয়ে ওঠেন হোটেলে, ভোরে মিলল যুবকের লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাতে বান্ধবীকে নিয়ে ওঠেন হোটেলে, ভোরে মিলল যুবকের লাশ

রাজধানীর কলাবাগানে ইমেজ আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষে প্রেমিকাকে নিয়ে ওঠেন মো. সাব্বির (২৬) নামে এক যুবক। সকাল হওয়ার আগে সেই আবাসিক হোটেলেই পাওয়া যায় তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ। 

পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে এটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে আসল কারণ জানা যাবে। 

আজ শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর মোহাম্মদ মাসুদুল কবির। 

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সাব্বির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক থাকা এক বান্ধবীর সঙ্গে হোটেলটিতে ওঠেন। তাঁদের মধ্যে কলহ ছিল। হোটেলটিতে যেই কক্ষে তাঁরা ছিলেন ছোট আরেকটি কক্ষ ছিল। রাতে দুজন দুই কক্ষে অবস্থান করেন। পরে সাব্বিরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে বান্ধবী বন্ধুদের ডেকে আনেন। সেখান থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সাব্বিরকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। 

কলাবাগান থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) মিঠুন দাস জানান, গতকাল মধ্যরাতে বেসরকারি একটি হাসপাতাল থেকে ফাঁস নিয়ে ঝুলন্ত একটি মরদেহের তথ্য জানানো হয়। পরে সেখান গিয়ে সাব্বির নামের এক যুবককে উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

আজ বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ সাব্বিরের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

হাসপাতালে সাব্বিরের ফুপাতো ভাই মো. রায়হান জানান, তাঁদের বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রামে। সাব্বিরের বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম। পরিবারের সঙ্গে কলাবাগান শুক্রাবাদ এলাকায় থাকতেন। 

তিনি আরও জানান, রাতে পুলিশের মাধ্যমে খবর পান, স্কয়ার হাসপাতালের পাশে একটি আবাসিক হোটেলে সাব্বির তাঁর বান্ধবীসহ উঠেছিলেন। দুজনেই হোটেলে থাকা অবস্থায় গলায় ফাঁস নেন সাব্বির। তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে সাব্বিরকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান রায়হান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিংগাইরে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ উচ্চবিদ্যালয়ে আল রোমান নামের এক শিক্ষককে শ্রেণিকক্ষে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী মানিকগঞ্জ-হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের জয়মন্টপ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষক আল রোমানকে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে স্থানীয় সাদ্দাম হোসেনসহ একদল বহিরাগত ব্যক্তি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভে নামে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরেছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। খুব দ্রুত শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় ২২ বোতল উইন কোরেক্স ও ১০৫টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

খুলনা প্রতিনিধি
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও খালিশপুর থানা-পুলিশ আলাদাভাবে দুটি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়।

কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে খালিশপুর থানাধীন নুরনগর মেইন রোড এলাকায় অভিযান চালায়।

মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত
মাদকসহ গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম সরদার। ছবি: সংগৃহীত

অভিযানে মো. আবুল কালাম সরদার (৩৫) নামের এক ব্যক্তির শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে ২২ বোতল কোডিন ফসফেটযুক্ত উইন কোরেক্স উদ্ধার করা হয় এবং তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আবুল কালাম ঝালকাঠি জেলার ভাংগাদেওলা গ্রামের মৃত আমির আলী সরদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে খুলনা মহানগর এলাকায় এই মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে খালিশপুর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

এদিকে কেএমপির অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খালিশপুর থানা-পুলিশ একই রাতে খালিশপুর হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০৫টি ইয়াবাসহ জয় কাজী ওরফে জুবায়ের (২৫) নামের এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে। তিনি ফরিদপুর জেলার রতনদিয়া গ্রামের ইসহাক কাজীর ছেলে। এই ঘটনায়ও সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

কেএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খোন্দকার হোসেন আহম্মদ এই বিষয়ে বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিযানের অংশ হিসেবে পৃথক পৃথকভাবে এই অভিযান দুটি পরিচালিত হয়। সমাজে মাদকের বিস্তার রোধে আমাদের এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ০১
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করায় বিদ্যালয়ে যান না। কিন্তু বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হচ্ছে নিয়মিত। এতে বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও মিলছে তাঁর। তবে নাজমা আক্তারের হয়ে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। খাতায় নাজমা আক্তারের স্বাক্ষর করছেন হেপি। এমন ঘটনা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনু নদের তীরঘেঁষা নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত তিনি। বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন নাজমা আক্তার। সঙ্গে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নাজমা আক্তার ঢাকায় বসবাস করেন। তবে স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’। ওই শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের হয়ে পাঠদানসহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। আর এই কাজে সাহায্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে নাজমা আক্তার ঢাকায় থাকেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

গত ২৮ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুজন উপস্থিত। আর অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় তিনি উপস্থিত রয়েছেন। জানতে চাইলে স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থী হেপি আক্তার বলেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এ জন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডাম বলাতে তাঁর শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি “নাজমা” লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার বলেন, ‘নাজমা আক্তার আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। আমি ভয়ে শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাইনি।’

অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে ঢাকায় আছি। হেপি আক্তারকে দিয়ে আমার শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো ঠিক হয়নি।’

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, ‘নাজমা আক্তার নামের এক শিক্ষক ঢাকায় আছেন। বিদ্যালয়ে না এসেও অন্যজনকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাচ্ছেন বলে শুনেছি। এটি নিয়মবহির্ভূত। নাজমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের যারা এই কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য সুপারিশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রিপোন মাখাল (৩৫) নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে পাইকগাছা থানার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনের একটি ডোবা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে তখন পানি ছিল না।

উদ্ধারের পর পুলিশ রিপোনকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রিপোন মাখাল পৌর সদরের খ্রিষ্টানপাড়ার বাসিন্দা মিখায়েল মাখালের ছেলে।

যুবকের বাবা মিখায়েল মাখাল বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তখন আমার ছেলেকে আমার ভাই ও ভাইপোরা বসতঘরে মারধর করে। তখন আমার ছেলে রিপোন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমি গিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে আসি।’

ছেলেকে পুনরায় মারধর করা হতে পারে আশঙ্কায় তিনি রিপোনকে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। এর পর থেকে ছেলে ঠিকমতো বাড়িতে যেত না। মিখায়েল মাখালের ভাষ্য অনুযায়ী, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই কাজ করা হতে পারে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিরাপদ মন্ডল জানান, পুলিশ রিপোন নামের এক যুবককে রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত